ETV Bharat / state

শিশুদের অপুষ্টির জন্য কেন্দ্র ও রাজ্যের গাফিলতিকে দায়ি বিরোধীদের - বিধানসভায় বিরোধীদলের সচেতক মনোজ চক্রবর্তী

বিশ্ব ক্ষুধা সূচকের 2020-র রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে । দেখা যাচ্ছে, 107টি দেশের মধ্যে 94তম স্থানে রয়েছে ভারত । শিশু অপুষ্টিও রয়েছে দেশে । এর জন্য কেন্দ্র ও রাজ্যকেই দায়ি করল বিরোধীরা ।

GHI
বিশ্ব ক্ষুধা সূচক
author img

By

Published : Oct 18, 2020, 2:42 PM IST

কলকাতা, 18 অক্টোবর : বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে ভারতের স্থান পাকিস্তান ও বাংলাদেশেরও পিছনে । সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে এই বছরের রিপোর্ট । তাতে স্পষ্ট দেশের শিশুরা ভয়ানক অপুষ্টির শিকার । এই পরিস্থতির জন্য কেন্দ্র এবং রাজ্যকেই দায়ি করল বিরোধীরা । রাজ্য এখনও শিশু পাচার এবং শিশু শ্রমিকের মতো বিষয়ের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে ব্যর্থ । কেন্দ্রের গাফিলতিও এই দুর্ভোগের কারণ বলে অভিযোগ বাম-কংগ্রেসের ।

বিশ্ব ক্ষুধা সূচকের 2020-র রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে । দেখা যাচ্ছে, 107টি দেশের মধ্যে 94তম স্থানে রয়েছে ভারত । ভারতের এই অবস্থান রীতিমতো 'উদ্বেগজনক' বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে । প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ, মায়ানমার, পাকিস্তানের মতো দেশও সূচকে স্থান ভারতের উপরে । ভারতের 14 শতাংশ মানুষ অপুষ্টিতে ভোগেন । এই পরিস্থিতির জন্য পরিকল্পনা অনুযায়ী সঠিক কাজ না হওয়া, পর্যবেক্ষণের অভাব, অপুষ্টি এবং বড় রাজ্যগুলির কাজের পরিকাঠামোকেই দায়ি করেছেন বিশেষজ্ঞরা ।

তবে বাস্তবে এই সংখ্যা আরও অনেক বেশি বলে বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে । দাবি করেন CPI(M) সাংসদ বিকাশ ভট্টাচার্য । বলেন, "প্যানডেমিকে খাদ্য সংকট আরও প্রকট হয়েছে । গোটা বিশ্বে 'চাইল্ড ওয়েস্টিং'-এ ভারত সবচেয়ে খারাপ জায়গায় রয়েছে ।" এক্ষেত্রে, শিশুদের উচ্চতা অনুযায়ী ওজন কম হয় । সেই ভিত্তিতে অপুষ্টির পরিমাপ হয় । তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে এদেশের প্রায় 18 শতাংশ শিশু । শিশুর পুষ্টির দিক থেকে এ দেশের অবস্থা নজিরবিহীনভাবে খারাপ বলে মন্তব্য করেন তিনি ।

কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারকেই দায়ি করে সমালোচনা করেছেন বিধানসভায় বিরোধীদলের সচেতক মনোজ চক্রবর্তীও । বলেন, পাঁচ বছরের নিচে শিশু মৃত্যুর হার ভারতে কিছুটা কমেছে । আপাতদৃষ্টিতে ভালো লক্ষণ হলেও শিশুদের মধ্যে গভীর অপুষ্টি রয়েছে । কারণ দেশের সরকারের অবহেলা । পাল্লা দিয়ে চলেছে রাজ্য সরকার । এখনও শিশু পাচার এবং শিশু-শ্রম বন্ধ করতে পারেনি রাজ্য । দুর্নীতিতে নিমগ্ন তারা ।

বাম পরিষদীয় দল নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, "চুরি করে খেতে খেতে জিভ বেড়ে গিয়েছে । পুরোহিত ভাতাতেও দুর্নীতি । মিড-ডে-মিলে শিশুর পুষ্টির টাকা বেহাত হয়ে যাচ্ছে । যেমনভাবে পুরোহিত ভাতার তালিকায় ব্রাহ্মণ ছাড়া অব্রাহ্মণদের স্থান হয়েছে । সাহা, ঘোষ, বিশ্বাসদের নাম রয়েছে তালিকায় । ভাতা পাওয়ার পুরোহিত তালিকায় তৃণমূল নেতাদের নাম রয়েছে । আমফান ত্রাণের তালিকায় বাছাই করে প্রধান, সদস্য নেতাদের নাম । রাজ্যজুড়ে সর্বত্রই চলছে লুট । কার তালিকা কে বানাচ্ছে? নবান্ন না কালীঘাট? রক্ষকই যে ভক্ষক । দুর্নীতি আর তৃণমূল যে সমর্থক ।"

কলকাতা, 18 অক্টোবর : বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে ভারতের স্থান পাকিস্তান ও বাংলাদেশেরও পিছনে । সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে এই বছরের রিপোর্ট । তাতে স্পষ্ট দেশের শিশুরা ভয়ানক অপুষ্টির শিকার । এই পরিস্থতির জন্য কেন্দ্র এবং রাজ্যকেই দায়ি করল বিরোধীরা । রাজ্য এখনও শিশু পাচার এবং শিশু শ্রমিকের মতো বিষয়ের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে ব্যর্থ । কেন্দ্রের গাফিলতিও এই দুর্ভোগের কারণ বলে অভিযোগ বাম-কংগ্রেসের ।

বিশ্ব ক্ষুধা সূচকের 2020-র রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে । দেখা যাচ্ছে, 107টি দেশের মধ্যে 94তম স্থানে রয়েছে ভারত । ভারতের এই অবস্থান রীতিমতো 'উদ্বেগজনক' বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে । প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ, মায়ানমার, পাকিস্তানের মতো দেশও সূচকে স্থান ভারতের উপরে । ভারতের 14 শতাংশ মানুষ অপুষ্টিতে ভোগেন । এই পরিস্থিতির জন্য পরিকল্পনা অনুযায়ী সঠিক কাজ না হওয়া, পর্যবেক্ষণের অভাব, অপুষ্টি এবং বড় রাজ্যগুলির কাজের পরিকাঠামোকেই দায়ি করেছেন বিশেষজ্ঞরা ।

তবে বাস্তবে এই সংখ্যা আরও অনেক বেশি বলে বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে । দাবি করেন CPI(M) সাংসদ বিকাশ ভট্টাচার্য । বলেন, "প্যানডেমিকে খাদ্য সংকট আরও প্রকট হয়েছে । গোটা বিশ্বে 'চাইল্ড ওয়েস্টিং'-এ ভারত সবচেয়ে খারাপ জায়গায় রয়েছে ।" এক্ষেত্রে, শিশুদের উচ্চতা অনুযায়ী ওজন কম হয় । সেই ভিত্তিতে অপুষ্টির পরিমাপ হয় । তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে এদেশের প্রায় 18 শতাংশ শিশু । শিশুর পুষ্টির দিক থেকে এ দেশের অবস্থা নজিরবিহীনভাবে খারাপ বলে মন্তব্য করেন তিনি ।

কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারকেই দায়ি করে সমালোচনা করেছেন বিধানসভায় বিরোধীদলের সচেতক মনোজ চক্রবর্তীও । বলেন, পাঁচ বছরের নিচে শিশু মৃত্যুর হার ভারতে কিছুটা কমেছে । আপাতদৃষ্টিতে ভালো লক্ষণ হলেও শিশুদের মধ্যে গভীর অপুষ্টি রয়েছে । কারণ দেশের সরকারের অবহেলা । পাল্লা দিয়ে চলেছে রাজ্য সরকার । এখনও শিশু পাচার এবং শিশু-শ্রম বন্ধ করতে পারেনি রাজ্য । দুর্নীতিতে নিমগ্ন তারা ।

বাম পরিষদীয় দল নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, "চুরি করে খেতে খেতে জিভ বেড়ে গিয়েছে । পুরোহিত ভাতাতেও দুর্নীতি । মিড-ডে-মিলে শিশুর পুষ্টির টাকা বেহাত হয়ে যাচ্ছে । যেমনভাবে পুরোহিত ভাতার তালিকায় ব্রাহ্মণ ছাড়া অব্রাহ্মণদের স্থান হয়েছে । সাহা, ঘোষ, বিশ্বাসদের নাম রয়েছে তালিকায় । ভাতা পাওয়ার পুরোহিত তালিকায় তৃণমূল নেতাদের নাম রয়েছে । আমফান ত্রাণের তালিকায় বাছাই করে প্রধান, সদস্য নেতাদের নাম । রাজ্যজুড়ে সর্বত্রই চলছে লুট । কার তালিকা কে বানাচ্ছে? নবান্ন না কালীঘাট? রক্ষকই যে ভক্ষক । দুর্নীতি আর তৃণমূল যে সমর্থক ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.