কলকাতা, 17 অগস্ট: শহরে পুরনো বাড়ির একাংশ ভেঙে বিপত্তি! চাপা পড়ে মৃত্যু হল একজনের। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর কলকাতার 64 পাথুরিয়াঘাটা স্ট্রিট এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পাথুরিয়াঘাটার প্রায় একশো বছরের পুরনো একটি পাঁচতলা বাড়ির তিনতলার একাংশ আচমকাই হুড়মুড়িয়ে ভাঙতে থাকে। দুর্ঘটনার মুহূর্তে বাড়িতে আটকে পড়েন এক দম্পতি এবং এক নাবালক।
রাত সাড়ে 10টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে বলে জানা গিয়েছে ৷ খবর পেয়ে রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ কলকাতা পুলিশের ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট গ্রুপের সদস্যরা এবং দমকলের আধিকারিকরা এসে গ্যাস কাটার দিয়ে পুরনো গ্রিল কেটে ভিতরে ঢোকেন। কোনওক্রমে সেই ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে তিনজনের দেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত্যু হয় মহিলার। এই ঘটনায় বাকি দু'জন এখনও কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন। দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাড়িটিতে প্রায় 30 থেকে 40 জন বাসিন্দা বহুকাল ধরে বসবাস করছেন বলে পৌরনিগম সূত্রে জানা গিয়েছে।
কলকাতা পৌরনিগম সূত্রের খবর, গত কুড়ি বছর ধরে বাড়িটি একবারও সংস্কার হয়নি। ঘটনাস্থলে কলকাতা পুলিশ এবং দমকলের পাশাপাশি আসে কলকাতা পৌরনিগমের আধিকারিকরা। বাড়ির মালিকের খোঁজ চালানো হচ্ছে। এছাড়াও ওই ভেঙে পড়া বাড়ির একাংশ কোনওরকমে গার্ড্রিল দিয়ে ঘিরে রেখেছেন পৌরনিগমের কর্মীরা। কলকাতা পৌরনিগম সূত্রের খবর, উত্তর কলকাতা এবং মধ্য কলকাতায় বেশ কিছু পুরনো বাড়ি রয়েছে যার মধ্যে অধিকাংশ বাড়িগুলিরই বহু বছর ধরে সংস্কার হয়নি এবং একাধিক বাড়িতে ইতিমধ্যেই বিপদজনক নোটিশ ধরানো হলেও বেশ কিছু বাসিন্দা তাঁরা বেআইনিভাবে সেখানে বসবাস করছেন।
ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই পৌরনিগমের বিরুদ্ধে একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। আর কত মৃত্যু হলে হুঁশ ফিরবে পৌরনিগমের? যদিও এই বিষয় কলকাতা পৌরনিগমের তরফ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। গতকাল গভীর রাতের পর আজ, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই পৌরনিগমের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাড়ির একাংশ ভেঙে ফেলার কাজ করছেন।
আরও পড়ুন: ফুটবল টুর্নামেন্ট চলাকালীন গাছ ভেঙে যুবকের মৃত্যু, আহত বেশ কয়েকজন