ETV Bharat / state

কোরোনায় আক্রান্ত শিশু হাসপাতালের চুক্তিভিত্তিক কর্মী, আতঙ্ক

এবার ফুলবাগানে অবস্থিত শিশু হাসপাতালের এক কর্মীর শরীরে কোরোনা মিলল কোরোনা ভাইরাস । গতকাল তাঁর নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসে । সেখান থেকেই জানা যায় ওই কর্মী COVID-19-এ আক্রান্ত ।

ছবি
ছবি
author img

By

Published : Apr 22, 2020, 11:59 AM IST

Updated : Apr 22, 2020, 12:14 PM IST

কলকাতা, 22 এপ্রিল : ফুলবাগানে অবস্থিত শিশু হাসপাতালের এক চুক্তিভিত্তিক কর্মীর শরীরে মিলল COVID-19-এর খোঁজ । ঘটনার জেরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে ওই হাসপাতালে । সূত্রের খবর, পরিষেবা স্বাভাবিক রাখতে প্রচেষ্টা জারি রেখেছেন কর্তৃপক্ষ ।

স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর, ওই শিশু হাসপাতালের যে কর্মী COVID-19-এ আক্রান্ত হয়েছেন, তিনি রাজাবাজার অঞ্চলের বাসিন্দা । গত সপ্তাহে জ্বর হয়। হাসপাতালে স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে । স্ক্রিনিংয়ের জেরেই জানা যায় যে ওই কর্মীর জ্বর রয়েছে। তাঁকে ছুটি দেওয়া হয় । তিনি যে অঞ্চলে বসবাস করেন, সেখানে COVID-19-এর সংক্রমণের সম্ভাবনা রয়েছে । হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ঝুঁকি নিতে চাননি । সেই কারণেই ওই কর্মীর সোয়াবের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় । গতকাল তাঁর নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টে জানা যায় তিনি কোরোনায় আক্রান্ত । এক এজেন্সির মাধ্যমে শিশু হাসপাতালটিতে চুক্তির ভিত্তিতে কাজে নিয়োজিত ছিলেন ওই কর্মী । তিনি COVID-19-এ আক্রান্ত হয়েছেন, এই খবর জানার পর আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে সহকর্মীদের মধ্যে । ওই সহকর্মীরাও এজেন্সির মাধ্যমে নিয়োজিত হয়েছিলেন । এরপর খবর দেওয়া হয় ওই এজেন্সিকে । বাকি 10 জন কর্মী যাঁরা এজেন্সির মাধ্যমে ওই হাসপাতালে কাজ করেন তাঁদেরও হাসপাতাল থেকে সরিয়ে নিয়েছে ওই এজেন্সি ।

এদিকে হাওড়ার হাসপাতাল, কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে যেভাবে সেখানকার চিকিৎসক-নার্সদের মধ্যে COVID-19-এর সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে দেখা যাচ্ছে, তার জেরে এই শিশু হাসপাতালের অন্য কর্মীদের মধ্যেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানা গেছে ।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত হাসপাতালে COVID-19-এ আক্রান্ত সন্দেহে এখনও পর্যন্ত 10 জন শিশুর চিকিৎসা চলছে । এদিকে এই হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড মিলিয়ে 130 জনের মতো শিশুর চিকিৎসা চলছে । গত সপ্তাহে এই সংখ্যাটা ছিল 150 । সূত্রের খবর, লকডাউনের এই সময়ে কোনও বড় মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালেও এত বেশি সংখ্যক রোগী ভরতি নেই বলেই মনে করছেন কর্তৃপক্ষ । এই অবস্থায় যেভাবে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে, তাতে কীভাবে পরিষেবা স্বাভাবিক রাখা সম্ভব হবে, সেই বিষয়ে কর্তৃপক্ষ প্রচেষ্টা জারি রেখেছেন । সব ধরনের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে ।

সূত্রের খবর, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মনে করছেন, হাসপাতাল থেকে ওই কর্মীর শরীরে COVID-19-এর সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েনি । কারণ, তিনি হাসপাতালের কোনও ওয়ার্ডে কাজ করতেন না । তবে এই সংক্রমণের বিষয়ে আগে থেকে এভাবে নিশ্চিত হওয়া যায় না । সেই জন্য পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে । কীভাবে আরও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়, সেই বিষয়ে ভাবনা-চিন্তা চলছে ।

কলকাতা, 22 এপ্রিল : ফুলবাগানে অবস্থিত শিশু হাসপাতালের এক চুক্তিভিত্তিক কর্মীর শরীরে মিলল COVID-19-এর খোঁজ । ঘটনার জেরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে ওই হাসপাতালে । সূত্রের খবর, পরিষেবা স্বাভাবিক রাখতে প্রচেষ্টা জারি রেখেছেন কর্তৃপক্ষ ।

স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর, ওই শিশু হাসপাতালের যে কর্মী COVID-19-এ আক্রান্ত হয়েছেন, তিনি রাজাবাজার অঞ্চলের বাসিন্দা । গত সপ্তাহে জ্বর হয়। হাসপাতালে স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে । স্ক্রিনিংয়ের জেরেই জানা যায় যে ওই কর্মীর জ্বর রয়েছে। তাঁকে ছুটি দেওয়া হয় । তিনি যে অঞ্চলে বসবাস করেন, সেখানে COVID-19-এর সংক্রমণের সম্ভাবনা রয়েছে । হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ঝুঁকি নিতে চাননি । সেই কারণেই ওই কর্মীর সোয়াবের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় । গতকাল তাঁর নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টে জানা যায় তিনি কোরোনায় আক্রান্ত । এক এজেন্সির মাধ্যমে শিশু হাসপাতালটিতে চুক্তির ভিত্তিতে কাজে নিয়োজিত ছিলেন ওই কর্মী । তিনি COVID-19-এ আক্রান্ত হয়েছেন, এই খবর জানার পর আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে সহকর্মীদের মধ্যে । ওই সহকর্মীরাও এজেন্সির মাধ্যমে নিয়োজিত হয়েছিলেন । এরপর খবর দেওয়া হয় ওই এজেন্সিকে । বাকি 10 জন কর্মী যাঁরা এজেন্সির মাধ্যমে ওই হাসপাতালে কাজ করেন তাঁদেরও হাসপাতাল থেকে সরিয়ে নিয়েছে ওই এজেন্সি ।

এদিকে হাওড়ার হাসপাতাল, কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে যেভাবে সেখানকার চিকিৎসক-নার্সদের মধ্যে COVID-19-এর সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে দেখা যাচ্ছে, তার জেরে এই শিশু হাসপাতালের অন্য কর্মীদের মধ্যেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানা গেছে ।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত হাসপাতালে COVID-19-এ আক্রান্ত সন্দেহে এখনও পর্যন্ত 10 জন শিশুর চিকিৎসা চলছে । এদিকে এই হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড মিলিয়ে 130 জনের মতো শিশুর চিকিৎসা চলছে । গত সপ্তাহে এই সংখ্যাটা ছিল 150 । সূত্রের খবর, লকডাউনের এই সময়ে কোনও বড় মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালেও এত বেশি সংখ্যক রোগী ভরতি নেই বলেই মনে করছেন কর্তৃপক্ষ । এই অবস্থায় যেভাবে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে, তাতে কীভাবে পরিষেবা স্বাভাবিক রাখা সম্ভব হবে, সেই বিষয়ে কর্তৃপক্ষ প্রচেষ্টা জারি রেখেছেন । সব ধরনের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে ।

সূত্রের খবর, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মনে করছেন, হাসপাতাল থেকে ওই কর্মীর শরীরে COVID-19-এর সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েনি । কারণ, তিনি হাসপাতালের কোনও ওয়ার্ডে কাজ করতেন না । তবে এই সংক্রমণের বিষয়ে আগে থেকে এভাবে নিশ্চিত হওয়া যায় না । সেই জন্য পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে । কীভাবে আরও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়, সেই বিষয়ে ভাবনা-চিন্তা চলছে ।

Last Updated : Apr 22, 2020, 12:14 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.