ETV Bharat / state

Cheating on Women: একাধিক মহিলাদের প্রতারণার ছক, অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল নিউটাউন পুলিশ

অভিযুক্ত হুগলির উত্তরপাড়ার বাসিন্দা মিলন নাদকর ঘটনাটি ঘটিয়েছে। সে গা-ঢাকা দিয়েছিল গোয়ায় ৷ সেখান থেকেই নিউটাউন থানার পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে ৷

Cheating on Women
অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল নিউটাউন পুলিশ
author img

By

Published : Jul 30, 2023, 2:48 PM IST

অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল নিউটাউন পুলিশ

বিধাননগর, 30 জুলাই: অভিনব পদ্ধতিতে একাধিক মহিলাদের প্রতারণার ছক। মূল পাণ্ডাকে গোয়া থেকে গ্রেফতার করল নিউটাউন থানার পুলিশ।আইটি কর্মী হিসাবে কাজ করত সে। সেই সুবিধাতে আইটি মহিলা কর্মীদের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতিয়ে তাঁদের সঙ্গে সহবাস করেছে সে, এমনটাই অভিযোগ ৷ পাশাপাশি ওই মহিলাদের ডকুমেন্টস নিয়ে ইএমআইতে তাঁদের নামে বিভিন্ন জিনিস কেনা ও লোন নেওয়ার অভিযোগও উঠেছে ওই সব তরুণীদের অজান্তে। রবিবার তাকে বারাসত কোর্টে তোলা হবে ৷

পুলিশ সূত্রে খবর, গত 20 এপ্রিল নিউটাউন থানায় এক মহিলা অভিযোগ করেন, কর্মক্ষেত্রে এক ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয় ৷ এরপর সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হয়। তখন সেই মহিলাকে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁর কাছ থেকে আধার কার্ড, প্যান কার্ড-সহ বিভিন্ন নথি নিয়ে তাঁকে না-জানিয়ে ইএমআইতে বিভিন্ন জিনিস কেনে ওই ব্যক্তি। শুধু তাই নয়, ওই তরুণীর নামে লোন ও নেওয়া হয়েছে। এইভাবেই তার সঙ্গে প্রতারণা হয়েছে।
এই অভিযোগ পেয়ে নিউটাউন থানার পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে হুগলির উত্তরপাড়ার বাসিন্দা মিলন নাদকর ঘটনাটি ঘটিয়েছে।

আরও পড়ুন: বিলাসবহুল রিসোর্ট ভাড়া দেওয়ার নামে প্রতারণা, তপসিয়া থেকে গ্রেফতার 4

তার খোঁজ শুরু হতেই জানতে পারে অভিযুক্ত ব্যক্তি পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এরপরেই পুলিশ খোঁজখবর নিলে জানতে পারে গোয়াতে গা-ঢাকা দিয়ে রয়েছে অভিযুক্ত মিলন। সেই খবরের সূত্র ধরে নিউটাউন থানার পুলিশ গোয়াতে হানা দেয়। সেখান থেকে অভিযুক্ত মিলন নাদকারকে গ্রেফতার করে ট্রানজিট রিমান্ডে নিয়ে আসা হয়েছে। আজ অভিযুক্তকে বারাসত আদালতে তোলা হবে। নিউটাউন থানার পুলিশ অভিযুক্ত মিলন নাদকারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারে যে, এই মিলন সোশাল মিডিয়ায় সাহায্যে ও কর্মক্ষেত্রে বিভিন্ন মহিলা ও তরুণীদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে। বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁদের সঙ্গে সহবাস করে।

তাঁদের বিশ্বাস অর্জন করে। সেই বিশ্বাসের জায়গা থেকে মহিলা ও তরুণীদের বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে প্যান কার্ড, আধার কার্ড-সহ বিভিন্ন নথি নিয়ে নেয়। সেই নথি দিয়ে বিভিন্ন শপিংমল থেকে ইএমআইয়ের মাধ্যমে দামি জিনিসপত্র কিনত সেইসব তরুণী ও মহিলাদের অজান্তে। এর পাশাপাশি বিভিন্ন সংস্থা থেকে লোনও নেওয়া হত। এরপরই যখনই সেই সমস্ত মহিলা বা তরুণীদের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কাটতে থাকে তখনই জানতে পারেন যে তাঁরা কোনওভাবে প্রতারিত হয়েছে। এইভাবেই অভিযুক্ত মিলন এক নতুন পদ্ধতিতে প্রতারণার ছক কষেছিল। পুলিশে জিজ্ঞাসাবাদে এখনও পর্যন্ত প্রায় লক্ষাধিক টাকার প্রতারণার হিসেব পাওয়া গিয়েছে ৷

আরও পড়ুন: ক্রিপটো কারেন্সির নাম করে 17 লক্ষ টাকার প্রতারণা, বিহার ধেকে ধৃত চক্রের পাণ্ডা

অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল নিউটাউন পুলিশ

বিধাননগর, 30 জুলাই: অভিনব পদ্ধতিতে একাধিক মহিলাদের প্রতারণার ছক। মূল পাণ্ডাকে গোয়া থেকে গ্রেফতার করল নিউটাউন থানার পুলিশ।আইটি কর্মী হিসাবে কাজ করত সে। সেই সুবিধাতে আইটি মহিলা কর্মীদের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতিয়ে তাঁদের সঙ্গে সহবাস করেছে সে, এমনটাই অভিযোগ ৷ পাশাপাশি ওই মহিলাদের ডকুমেন্টস নিয়ে ইএমআইতে তাঁদের নামে বিভিন্ন জিনিস কেনা ও লোন নেওয়ার অভিযোগও উঠেছে ওই সব তরুণীদের অজান্তে। রবিবার তাকে বারাসত কোর্টে তোলা হবে ৷

পুলিশ সূত্রে খবর, গত 20 এপ্রিল নিউটাউন থানায় এক মহিলা অভিযোগ করেন, কর্মক্ষেত্রে এক ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয় ৷ এরপর সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হয়। তখন সেই মহিলাকে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁর কাছ থেকে আধার কার্ড, প্যান কার্ড-সহ বিভিন্ন নথি নিয়ে তাঁকে না-জানিয়ে ইএমআইতে বিভিন্ন জিনিস কেনে ওই ব্যক্তি। শুধু তাই নয়, ওই তরুণীর নামে লোন ও নেওয়া হয়েছে। এইভাবেই তার সঙ্গে প্রতারণা হয়েছে।
এই অভিযোগ পেয়ে নিউটাউন থানার পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে হুগলির উত্তরপাড়ার বাসিন্দা মিলন নাদকর ঘটনাটি ঘটিয়েছে।

আরও পড়ুন: বিলাসবহুল রিসোর্ট ভাড়া দেওয়ার নামে প্রতারণা, তপসিয়া থেকে গ্রেফতার 4

তার খোঁজ শুরু হতেই জানতে পারে অভিযুক্ত ব্যক্তি পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এরপরেই পুলিশ খোঁজখবর নিলে জানতে পারে গোয়াতে গা-ঢাকা দিয়ে রয়েছে অভিযুক্ত মিলন। সেই খবরের সূত্র ধরে নিউটাউন থানার পুলিশ গোয়াতে হানা দেয়। সেখান থেকে অভিযুক্ত মিলন নাদকারকে গ্রেফতার করে ট্রানজিট রিমান্ডে নিয়ে আসা হয়েছে। আজ অভিযুক্তকে বারাসত আদালতে তোলা হবে। নিউটাউন থানার পুলিশ অভিযুক্ত মিলন নাদকারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারে যে, এই মিলন সোশাল মিডিয়ায় সাহায্যে ও কর্মক্ষেত্রে বিভিন্ন মহিলা ও তরুণীদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে। বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁদের সঙ্গে সহবাস করে।

তাঁদের বিশ্বাস অর্জন করে। সেই বিশ্বাসের জায়গা থেকে মহিলা ও তরুণীদের বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে প্যান কার্ড, আধার কার্ড-সহ বিভিন্ন নথি নিয়ে নেয়। সেই নথি দিয়ে বিভিন্ন শপিংমল থেকে ইএমআইয়ের মাধ্যমে দামি জিনিসপত্র কিনত সেইসব তরুণী ও মহিলাদের অজান্তে। এর পাশাপাশি বিভিন্ন সংস্থা থেকে লোনও নেওয়া হত। এরপরই যখনই সেই সমস্ত মহিলা বা তরুণীদের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কাটতে থাকে তখনই জানতে পারেন যে তাঁরা কোনওভাবে প্রতারিত হয়েছে। এইভাবেই অভিযুক্ত মিলন এক নতুন পদ্ধতিতে প্রতারণার ছক কষেছিল। পুলিশে জিজ্ঞাসাবাদে এখনও পর্যন্ত প্রায় লক্ষাধিক টাকার প্রতারণার হিসেব পাওয়া গিয়েছে ৷

আরও পড়ুন: ক্রিপটো কারেন্সির নাম করে 17 লক্ষ টাকার প্রতারণা, বিহার ধেকে ধৃত চক্রের পাণ্ডা

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.