কলকাতা, 01 এপ্রিল: থানার মধ্যেই কেন্দ্রীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সনকে হেনস্তার অভিযোগ ৷ সরিয়ে দেওয়া হল তিলজলা থানার ওসি বিশ্বক মুখোপাধ্যায়কে ৷ শনিবার লালবাজারের তরফে এমনটাই জানানো হয়েছে ৷ তাঁর জায়গায় তিলজলা থানার নতুন ওসি-র দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সুপ্রতীক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কলকাতা পুলিশের পুলিশ ট্রেনিং অ্যাকাডেমিতে পাঠানো হল ওসি বিশ্বক মুখোপাধ্যায়কে ৷ থানার দায়িত্ব থেকে কম গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বিশ্বক মুখোপাধ্যায়ের বদলকে অন্য চোখে দেখছে রাজনৈতিক মহল ৷
তিনজলার ঘটনার পর শুক্রবার থানায় গিয়েছিলেন জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন প্রিয়াঙ্কা কানুনগো। অভিযোগ, তিলজলা থানার অফিসার ইনচার্জের ঘরে গিয়ে যখন তাঁরা কথাবার্তা বলছিলেন, সেই সময়ের ভিডিও বডি ক্যামেরায় থেকে সংগ্রহ করে রাখছিল কলকাতা পুলিশ। সেই ঘটনারই প্রতিবাদ করলে পুলিশ তাঁর ওপর চড়াও হয় বলে দাবি করেছেন জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন। ইতিমধ্যেই বিশ্বক মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মারধর, ভয় দেখানো-সহ একাধিক ধারায় অভিযোগ দায়ের করেছে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন।
আরও পড়ুন: কী লুকোচ্ছে বাংলার সরকার ? তিলজলা ও মালদার ঘটনায় প্রশ্ন জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের
প্রসঙ্গত, তিলজলায় শিশু হত্যার ঘটনায় কার্যত প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে কলকাতা পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের। এই ঘটনার পরেই তড়িঘড়ি সরিয়ে দেওয়া হয়েছে তিলজলা থানার অফিসার ইনচার্জ বিশ্বক মুখোপাধ্যায়কে। যদিও লালবাজার সূত্রের খবর, এটি নিছক রুটিন বদলি। তিলজলা কাণ্ডের পর কলকাতা পুলিশের নগর পাল বিনীত গোয়েল, প্রত্যেকটি ডিভিশনাল ডিসিদের একাধিক নয়া নির্দেশ দিয়েছেন। সেই নির্দেশে যেমন একদিকে বলা হয়েছে যে প্রত্যেকটি ডিভিশনে কত পরিমাণ কাঁদানে গ্যাস সেল, লাঠি এবং টিয়ার গ্যাস মজুত রয়েছে তা জানাতে বলা হয়েছে ৷
পাশাপাশি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কলকাতা পুলিশের আওতাধীন প্রত্যেকটি থানায় এখনও পর্যন্ত কতজন নাবালক-নাবালিকা নিখোঁজ রয়েছে তার তালিকা তৈরি করার। তাদের খুঁজতে সংশ্লিষ্ট থানার অফিসার ইনচার্জ এবং সংশ্লিষ্ট ঘটনার ইনভেস্টিগেটিভ অফিসার বা আইও সঠিক কী ভূমিকা পালন করেছেন তাও জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷