ETV Bharat / state

কোরোনায় ফের আক্রান্ত নার্স, অবিলম্বে ফিভার ক্লিনিক চালুর দাবি - Fear of Corona infection in hospitals

ফের কোরোনায় আক্রান্ত হলেন রাজ্যের এক নার্স ৷ এই নিয়ে এখনও পর্যন্ত প্রায় পাঁচ-ছয় জন নার্স কোরোনায় আক্রান্ত ৷ এভাবে চলতে থাকলে কোরোনা চিকিৎসা করার কেউ থাকবে না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে নার্সেস ইউনিটি ৷ এ

নীলরতন সরকার মেডিকেল কলেজ
নীলরতন সরকার মেডিকেল কলেজ
author img

By

Published : Apr 17, 2020, 12:39 AM IST

কলকাতা, 16 এপ্রিল : কোরোনায় আক্রান্ত হলেন NRS মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের এক নার্স । এদিকে রাজ্য সরকারের প্রোটোকল অনুযায়ী প্রতিটি হাসপাতালে ফিভার ক্লিনিক চালুর জন্য আজ স্বাস্থ্য ভবনে দাবি জানাল নার্সেস ইউনিটি । নার্সদের এই সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষা ব্যবস্থায় যদি খামতি থেকে যায় তাহলে এরপর আরও বেশি সংখ্যক চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীকে কোয়ারান্টাইনে চলে যেতে হবে । তখন কোরোনা চিকিৎসায় কারা পরিষেবা দেবেন?

NRS মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে সন্তান প্রসবের পর এক যুবতির শরীরে পাওয়া গিয়েছে কোরোনা ভাইরাস । তবে, শুধুমাত্র এই যুবতিই নন । এই হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে কোরোনা আক্রান্ত সন্দেহে চিকিৎসাধীন অন‍্য দুই রোগীর শরীরেও কোরোনা ভাইরাস ধরা পড়েছে । এই হাসপাতালের এক নার্স-ও কোরোনায় আক্রান্ত হয়েছেন । জানা গিয়েছে, এই নার্স CCU-তে ডিউটি করেছেন । এদিকে, 4 এপ্রিল এই CCU-তে এক রোগীর মৃত্যু হয়েছিল । ওই রোগীর সোয়াবের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টে জানা গিয়েছিল, তিনি কোরোনা আক্রান্ত ছিলেন । মৃত্যুর পর ওই রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছিল । এই রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় এই হাসপাতালের চিকিৎসক-নার্স-স্বাস্থ্যকর্মী মিলিয়ে 79 জনের সোয়াবের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল । প্রথম দফার পরীক্ষায় সব রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছিল । এদিন যে নার্স কোরোনা আক্রান্ত বলে জানা গিয়েছে, তিনিও এই 79 জনের মধ্যে ছিলেন । দ্বিতীয় দফায় নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টে এই নার্সের শরীরে COVID-19 পজ়িটিভ ধরা পড়েছে । তবে, এই নার্স কীভাবে আক্রান্ত হলেন, সেই বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া শুরু হয়েছে । আজ এই হাসপাতলে এক প্রসূতি এবং কোরোনা আক্রান্ত সন্দেহে চিকিৎসাধীন দুই রোগীর শরীরে সংক্রমণের খোঁজ পাওয়া যাওয়ায় এখানকার চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী মিলিয়ে 91 জনকে কোয়ারান্টাইনের জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে । জানা গিয়েছে, এই 91 জনের মধ্যে 34 জন চিকিৎসক এবং 54 জন নার্স রয়েছেন ।

অবিলম্বে ফিভার ক্লিনিক চালুর দাবি জানাতে স্বাস্থ্যভবনে নার্সেস ইউনিটির সদস্যরা
অবিলম্বে ফিভার ক্লিনিক চালুর দাবি জানাতে স্বাস্থ্য ভবনে নার্সেস ইউনিটির সদস্যরা

এর আগে উত্তরবঙ্গ, হাওড়া ও দমদমের হাসপাতালে নার্সের শরীরে কোরোনা ভাইরাস পাওয়া যায় । এখনও পর্যন্ত রাজ্যে পাঁচ-ছয় জন নার্স কোরোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে নার্সেস ইউনিটি জানতে পেরেছে । যেভাবে একের পর এক নার্স কোরোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন, তার বিরুদ্ধে আজ স্বাস্থ্য ভবনে যান নার্সেস ইউনিটির প্রতিনিধিরা । নার্সেস ইউনিটির সেক্রেটারি ভাস্বতী মুখোপাধ্যায় বলেন, "আমাদের দাবি, অবিলম্বে রাজ‍্য সরকারের প্রোটোকল অনুযায়ী প্রতিটি হাসপাতালে যথাযথভাবে ফিভার ক্লিনিক চালু করতে হবে । তা হলে রোগীদের চিহ্নিত করা সহজ হবে ।" রোগীদের চিহ্নিত করা সহজ হলে, চিকিৎসক-নার্স-স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে কোরোনা সংক্রমণ বন্ধ করা সম্ভব হবে । কারণ, বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, রোগীদের চিহ্নিতকরণের কাজ সেভাবে হয়নি বলে অনেক চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীকে কোয়ারান্টাইনে পাঠাতে হয়েছে । এভাবে চলতে থাকলে কোরোনা চিকিৎসায় পরিষেবা দেওয়ার কেউ থাকবে না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি ।

ভাস্বতী মুখোপাধ্যায় আরও বলেন, "কোনও রোগীর নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হলেও, পরে আমরা জানতে পারছি না ওই রোগী কোরোনায় আক্রান্ত কি না । আমাদের প্রায় সকলের বাড়িতে বয়স্ক ও শিশুরা রয়েছে । আমরা যদি জানতে না পারি তা হলে সতর্ক হব কীভাবে? মৃত্যুর ভয়ের থেকে আর কোনও ভয় বড় নয় । প্রতিটি হাসপাতালে অবিলম্বে রাজ্য সরকারের প্রোটোকল অনুযায়ী, ফিভার ক্লিনিক চালু করতে হবে ৷ যাতে কোরোনা আক্রান্ত সন্দেহের কোনও রোগী হাসপাতালের অন্য কোনও ওয়ার্ডে পৌঁছে যেতে না পারে । যাতে ওই রোগীকে আইসোলেশন অথবা কোরোনার চিকিৎসার জন্য কোনও হাসপাতালে পাঠানো যেতে পারে ।" ফিভার ক্লিনিকে যাঁরা চিকিৎসা করবেন, তাঁদের জন্যও যথাযথ সুরক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে বলে তিনি জানান ।

কলকাতা, 16 এপ্রিল : কোরোনায় আক্রান্ত হলেন NRS মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের এক নার্স । এদিকে রাজ্য সরকারের প্রোটোকল অনুযায়ী প্রতিটি হাসপাতালে ফিভার ক্লিনিক চালুর জন্য আজ স্বাস্থ্য ভবনে দাবি জানাল নার্সেস ইউনিটি । নার্সদের এই সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষা ব্যবস্থায় যদি খামতি থেকে যায় তাহলে এরপর আরও বেশি সংখ্যক চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীকে কোয়ারান্টাইনে চলে যেতে হবে । তখন কোরোনা চিকিৎসায় কারা পরিষেবা দেবেন?

NRS মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে সন্তান প্রসবের পর এক যুবতির শরীরে পাওয়া গিয়েছে কোরোনা ভাইরাস । তবে, শুধুমাত্র এই যুবতিই নন । এই হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে কোরোনা আক্রান্ত সন্দেহে চিকিৎসাধীন অন‍্য দুই রোগীর শরীরেও কোরোনা ভাইরাস ধরা পড়েছে । এই হাসপাতালের এক নার্স-ও কোরোনায় আক্রান্ত হয়েছেন । জানা গিয়েছে, এই নার্স CCU-তে ডিউটি করেছেন । এদিকে, 4 এপ্রিল এই CCU-তে এক রোগীর মৃত্যু হয়েছিল । ওই রোগীর সোয়াবের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টে জানা গিয়েছিল, তিনি কোরোনা আক্রান্ত ছিলেন । মৃত্যুর পর ওই রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছিল । এই রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় এই হাসপাতালের চিকিৎসক-নার্স-স্বাস্থ্যকর্মী মিলিয়ে 79 জনের সোয়াবের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল । প্রথম দফার পরীক্ষায় সব রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছিল । এদিন যে নার্স কোরোনা আক্রান্ত বলে জানা গিয়েছে, তিনিও এই 79 জনের মধ্যে ছিলেন । দ্বিতীয় দফায় নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টে এই নার্সের শরীরে COVID-19 পজ়িটিভ ধরা পড়েছে । তবে, এই নার্স কীভাবে আক্রান্ত হলেন, সেই বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া শুরু হয়েছে । আজ এই হাসপাতলে এক প্রসূতি এবং কোরোনা আক্রান্ত সন্দেহে চিকিৎসাধীন দুই রোগীর শরীরে সংক্রমণের খোঁজ পাওয়া যাওয়ায় এখানকার চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী মিলিয়ে 91 জনকে কোয়ারান্টাইনের জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে । জানা গিয়েছে, এই 91 জনের মধ্যে 34 জন চিকিৎসক এবং 54 জন নার্স রয়েছেন ।

অবিলম্বে ফিভার ক্লিনিক চালুর দাবি জানাতে স্বাস্থ্যভবনে নার্সেস ইউনিটির সদস্যরা
অবিলম্বে ফিভার ক্লিনিক চালুর দাবি জানাতে স্বাস্থ্য ভবনে নার্সেস ইউনিটির সদস্যরা

এর আগে উত্তরবঙ্গ, হাওড়া ও দমদমের হাসপাতালে নার্সের শরীরে কোরোনা ভাইরাস পাওয়া যায় । এখনও পর্যন্ত রাজ্যে পাঁচ-ছয় জন নার্স কোরোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে নার্সেস ইউনিটি জানতে পেরেছে । যেভাবে একের পর এক নার্স কোরোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন, তার বিরুদ্ধে আজ স্বাস্থ্য ভবনে যান নার্সেস ইউনিটির প্রতিনিধিরা । নার্সেস ইউনিটির সেক্রেটারি ভাস্বতী মুখোপাধ্যায় বলেন, "আমাদের দাবি, অবিলম্বে রাজ‍্য সরকারের প্রোটোকল অনুযায়ী প্রতিটি হাসপাতালে যথাযথভাবে ফিভার ক্লিনিক চালু করতে হবে । তা হলে রোগীদের চিহ্নিত করা সহজ হবে ।" রোগীদের চিহ্নিত করা সহজ হলে, চিকিৎসক-নার্স-স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে কোরোনা সংক্রমণ বন্ধ করা সম্ভব হবে । কারণ, বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, রোগীদের চিহ্নিতকরণের কাজ সেভাবে হয়নি বলে অনেক চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীকে কোয়ারান্টাইনে পাঠাতে হয়েছে । এভাবে চলতে থাকলে কোরোনা চিকিৎসায় পরিষেবা দেওয়ার কেউ থাকবে না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি ।

ভাস্বতী মুখোপাধ্যায় আরও বলেন, "কোনও রোগীর নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হলেও, পরে আমরা জানতে পারছি না ওই রোগী কোরোনায় আক্রান্ত কি না । আমাদের প্রায় সকলের বাড়িতে বয়স্ক ও শিশুরা রয়েছে । আমরা যদি জানতে না পারি তা হলে সতর্ক হব কীভাবে? মৃত্যুর ভয়ের থেকে আর কোনও ভয় বড় নয় । প্রতিটি হাসপাতালে অবিলম্বে রাজ্য সরকারের প্রোটোকল অনুযায়ী, ফিভার ক্লিনিক চালু করতে হবে ৷ যাতে কোরোনা আক্রান্ত সন্দেহের কোনও রোগী হাসপাতালের অন্য কোনও ওয়ার্ডে পৌঁছে যেতে না পারে । যাতে ওই রোগীকে আইসোলেশন অথবা কোরোনার চিকিৎসার জন্য কোনও হাসপাতালে পাঠানো যেতে পারে ।" ফিভার ক্লিনিকে যাঁরা চিকিৎসা করবেন, তাঁদের জন্যও যথাযথ সুরক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে বলে তিনি জানান ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.