কলকাতা, 16 অগস্ট: দেশকে সদ্য সোনা এনে দেওয়া অচিন্ত্য শিউলিকে সম্বর্ধনা জানাল ক্যালকাটা রোয়িং ক্লাব (Paris is the Target of Achinta Sheuli)। রীতিমতো বছরের পর বছর দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করতে করতে আন্তর্জাতিকমহলে স্বীকৃতি অর্জন করেছেন হাওড়ার এই যুবক । তার এই সাফল্যের জন্য অধ্যবসায় যে জরুরি তা মনে করেন । শটকার্টে কোনও সাফল্য পাওয়া যায় না তা মনে করিয়ে দিয়েছেন । সাফল্যের পেছনে পরিবারের অবদান বিশেষ করে দাদার অবদানের কথা তাঁর মুখে । তাই সোনা দাদাকে উৎসর্গ করলেন অচিন্ত্য শিউলি ।
ক্যালকাটা রোয়িং ক্লাবে এসে কমনওয়েলথ গেমসে সোনাজয়ী বলেন, "সাফল্যের জন্য পরিশ্রম যেমন জরুরি, তেমন দরকার ধৈর্যও । শুধু পরিশ্রম করলে হবে না, তার সঙ্গে ধৈর্য না থাকলে সাফল্য পাওয়া কঠিন ।"
আরও পড়ুন: বার্মিংহ্যাম টু দেউলপুর, বাড়ি ফিরেই মায়ের কাছে কড়াইশুঁটির কচুরির আবদার অচিন্ত্যর
মা ও দাদাকে নিয়ে অচিন্ত্যর পরিবার । ছোট বেলায় দাদার সঙ্গে শারীরিক কসরতের মধ্যে দিয়ে শরীরচর্চা শুরু । ধীরে ধীরে ভারোত্তলনের অনুশীলন শুরু হয় ।মাত্র 8 বছর বয়সেই বাবা মারা যান । অথৈ জলে পড়ে পরিবার । পরিবারের হাল ধরতে শরীরচর্চার রাস্তা ছাড়তে হয় দাদা অলোক শিউলিকে । তবে ভাইয়ের স্বপ্ন ভেঙে যেতে দেননি তিনি । সেই জন্যই এই সোনা দাদকে উৎসর্গ করলেন অচিন্ত্য । সোমবার তিনি বলেন, "এই সোনা জয়ের পেছনে আমার দাদার অবদান অনস্বীকার্য । ও না থাকলে আমি এই জায়গায় আসতে পারতাম না ।"
কিংবদন্তি ভারতীয় ক্রিকেটার শচীন তেন্ডুলকরের উত্থানে দাদা অজিত তেন্ডুলকরের অবদান অনস্বীকার্য । জীবনের অনেক কিছুই ভাইয়ের জন্য ত্যাগ করেছিলেন অজিত । হাওড়ার দরিদ্র পরিবারেও দাদার ত্যাগের মঞ্চে ভাইয়ের সোনালি উত্থানের গল্প । এইখানেই এক হয়ে যান অজিত-অলোক । এবার তাঁর লক্ষ্য অলিম্পিক । লক্ষ্য স্থির করে ফেলেছেন বাংলার যুবা । এখানেই থেমে থাকতে নারাজ বাংলার সোনাজয়ী ভারোত্তলক । অচিন্ত্য বলেন, "এবার লক্ষ্য অলিম্পিক । সেখান থেকেও দেশের জন্য পদক আনতে চাই ।"
আরও পড়ুন: জলমুড়ি খাওয়া থেকে কমনওয়েলথে সোনা জয়, অচিন্ত্যর কীর্তিতে গর্বিত মা পূর্ণিমাদেবী