ETV Bharat / state

Noor GST Department Spy: কলকাতার জিএসটি দফতরের গুপ্তচর হিসেবে কাজ করতেন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে থেকে ধৃত নূর

কলকাতার জিএসটি দফতরের গুপ্তচর হিসেবে কাজ করতেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনে থেকে গ্রেফতার হওয়া নূর আমিন ৷ আজ তাঁকে আদালতে তুলে এই তথ্য তুলে ধরে পুলিশ ৷

Noor GST Department Spy
নূর আমিন
author img

By

Published : Aug 3, 2023, 6:11 PM IST

কলকাতা, 3 অগস্ট: 21 জুলাইয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনে থেকে অস্ত্র-সহ গ্রেফতার হওয়া নূর আমিনকে আজ আলিপুর আদালতে পেশ করে, তাঁর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক তথ্য তুলে ধরল পুলিশ । তদন্ত করে জানা গিয়েছে, নূর কলকাতার জিএসটি দফতরের ডিজির সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন ।

কিন্তু কেন এই বৈঠক ? তদন্ত করে পুলিশ জানতে পেরেছে, এই নূর কলকাতার জিএসটি দফতরের গুপ্তচর হিসেবে কাজ করতেন । তাঁর মূলত কাজ ছিল, শহরের প্রভাবশালী শিল্পপতি ও ব্যবসায়ীরা কোথায়, কবে জিএসটি ফাঁকি দিচ্ছেন, তার তথ্য তৈরি করে জিএসটি আধিকারিকদের দেওয়া । অভিযোগ, নূরের কাছ থেকে সেই তথ্য পেয়ে শহর কলকাতা-সহ বিভিন্ন জেলায় তল্লাশি অভিযান চালায় জিএসটি দফতর । নূরের দেওয়া তথ্য তালিকার উপর ভিত্তি করে জিএসটি দফতর এক কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করে বিভিন্ন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে । তদন্তে এও জানা গিয়েছে যে, পুরস্কার স্বরূপ নূরকে জিএসটি-র তরফ থেকে দেওয়া হয়েছিল 18 লক্ষ টাকা ।

চেন্নাই পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ: ইতিমধ্যেই কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের গোয়েন্দারা এই ঘটনার তদন্তে নেমে জানতে পেরেছেন, সেই সময় কলকাতার জিএসটি দফতরে যাঁরা ডিজি পদে ছিলেন সেই সব ব্যক্তি বর্তমানে দক্ষিণ ভারতের চেন্নাই-সহ বিভিন্ন জায়গায় কর্মরত । ফলে তাঁদের সঙ্গে কথা বলা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা । ফলে চেন্নাই পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করছে কলকাতা পুলিশ ।

আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে থেকে ধৃত নূর আমিনের 13 দিনের পুলিশি হেফাজত

ফের 14 দিনের জেল হেফাজত: এ দিন নূরের 14 দিনের পুলিশ হেফাজত শেষে তাঁকে আলিপুর আদালতে তোলা হয় । সেই সময় নূরের আইনজীবীর তরফ থেকে আদালতে দাবি করা হয় যে, তিনি মানসিক রোগগ্রস্ত ৷ ফলে তাঁর জন্য একটি মানসিক হাসপাতালের ব্যবস্থা করে দেওয়া হোক, যেখানে নূর যাবেন এবং যেখানে তাঁর চিকিৎসা করা যাবে । সেই সময়ই এই বিস্ফোরক তথ্য তুলে ধরেন পুলিশের তরফে থাকা আইনজীবীরা । সব পক্ষের সওয়াল জবাব শুনে নূরকে ফের 14 দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আলিপুর আদালত ।

গ্রেফতার আরও এক: গত 21 জুলাই সকালে আচমকাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনে থেকে অভিযুক্ত ভুয়ো পুলিশ আধিকারিক নূর আমিনকে গ্রেফতার করা হয় । লালবাজার সুত্রের খবর, ইতিমধ্যেই নূরকে জেরা করে অপর এক ব্যক্তিকেও গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ । ঘটনার দিন নূরের কাছ থেকে বিএসএফ, ইন্টলিজেন্স-সহ বিভিন্ন এজেন্সির আই কার্ড পাওয়া গিয়েছিল । তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, এই সব নকল আইডেন্টিটি কার্ড নূরকে তৈরি করে দিতেন ধৃত অপর ব্যক্তি ।

কলকাতা, 3 অগস্ট: 21 জুলাইয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনে থেকে অস্ত্র-সহ গ্রেফতার হওয়া নূর আমিনকে আজ আলিপুর আদালতে পেশ করে, তাঁর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক তথ্য তুলে ধরল পুলিশ । তদন্ত করে জানা গিয়েছে, নূর কলকাতার জিএসটি দফতরের ডিজির সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন ।

কিন্তু কেন এই বৈঠক ? তদন্ত করে পুলিশ জানতে পেরেছে, এই নূর কলকাতার জিএসটি দফতরের গুপ্তচর হিসেবে কাজ করতেন । তাঁর মূলত কাজ ছিল, শহরের প্রভাবশালী শিল্পপতি ও ব্যবসায়ীরা কোথায়, কবে জিএসটি ফাঁকি দিচ্ছেন, তার তথ্য তৈরি করে জিএসটি আধিকারিকদের দেওয়া । অভিযোগ, নূরের কাছ থেকে সেই তথ্য পেয়ে শহর কলকাতা-সহ বিভিন্ন জেলায় তল্লাশি অভিযান চালায় জিএসটি দফতর । নূরের দেওয়া তথ্য তালিকার উপর ভিত্তি করে জিএসটি দফতর এক কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করে বিভিন্ন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে । তদন্তে এও জানা গিয়েছে যে, পুরস্কার স্বরূপ নূরকে জিএসটি-র তরফ থেকে দেওয়া হয়েছিল 18 লক্ষ টাকা ।

চেন্নাই পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ: ইতিমধ্যেই কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের গোয়েন্দারা এই ঘটনার তদন্তে নেমে জানতে পেরেছেন, সেই সময় কলকাতার জিএসটি দফতরে যাঁরা ডিজি পদে ছিলেন সেই সব ব্যক্তি বর্তমানে দক্ষিণ ভারতের চেন্নাই-সহ বিভিন্ন জায়গায় কর্মরত । ফলে তাঁদের সঙ্গে কথা বলা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা । ফলে চেন্নাই পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করছে কলকাতা পুলিশ ।

আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে থেকে ধৃত নূর আমিনের 13 দিনের পুলিশি হেফাজত

ফের 14 দিনের জেল হেফাজত: এ দিন নূরের 14 দিনের পুলিশ হেফাজত শেষে তাঁকে আলিপুর আদালতে তোলা হয় । সেই সময় নূরের আইনজীবীর তরফ থেকে আদালতে দাবি করা হয় যে, তিনি মানসিক রোগগ্রস্ত ৷ ফলে তাঁর জন্য একটি মানসিক হাসপাতালের ব্যবস্থা করে দেওয়া হোক, যেখানে নূর যাবেন এবং যেখানে তাঁর চিকিৎসা করা যাবে । সেই সময়ই এই বিস্ফোরক তথ্য তুলে ধরেন পুলিশের তরফে থাকা আইনজীবীরা । সব পক্ষের সওয়াল জবাব শুনে নূরকে ফের 14 দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আলিপুর আদালত ।

গ্রেফতার আরও এক: গত 21 জুলাই সকালে আচমকাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনে থেকে অভিযুক্ত ভুয়ো পুলিশ আধিকারিক নূর আমিনকে গ্রেফতার করা হয় । লালবাজার সুত্রের খবর, ইতিমধ্যেই নূরকে জেরা করে অপর এক ব্যক্তিকেও গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ । ঘটনার দিন নূরের কাছ থেকে বিএসএফ, ইন্টলিজেন্স-সহ বিভিন্ন এজেন্সির আই কার্ড পাওয়া গিয়েছিল । তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, এই সব নকল আইডেন্টিটি কার্ড নূরকে তৈরি করে দিতেন ধৃত অপর ব্যক্তি ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.