কলকাতা, 28 ফেব্রুয়ারি : রবিবার রাজ্যের 108টি পৌরসভা নির্বাচনে ঘিরে দিনভর তাণ্ডব, সন্ত্রাসের ছবি সামনে এসেছে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে । ভোট দিতে না দেওয়া থেকে, ভোট লুঠ, বুথ জ্যাম, ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ উঠেছে ৷ আক্রান্ত হয়েছেন সাংবাদিকরাও ৷ ভাঙচুর করা হয়েছে ইভিএম ৷ অভিযোগের তির শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে ৷ ভোটে একযোগে পুলিশ ও নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছে বিজেপি, বাম, কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা ৷ ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার 12 ঘন্টার বাংলা বনধের ডাক দিয়েছে রাজ্য বিজেপি (BJP Calls Bengal Strike) ৷
কিন্তু এই অশান্তিপূর্ণ ভোটপর্বের অভিযোগকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল নেতা তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম ৷ তাঁর মতে, রবিবার দিনভর যে সমস্ত ঘটনা সংবাদমাধ্যম তুলে ধরেছে তা বিরোধী বিজেপি ও সিপিএমের সঙ্গে মিলে সংবাদমাধ্যমের একাংশের রাজ্যকে বদনাম করার চক্রান্ত ৷ তাঁর কথায়, "বাংলাকে বদনাম করার একটা চক্রান্ত আমরা লক্ষ্য করছি । যেহেতু গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে বাংলায় একটা নির্বাচিত সরকার । সেই সরকার বাংলাকে মানুষের সঙ্গে রাজ্যকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে, তাই সেই সরকারকে বদনাম করে বাংলার মানুষকে বদনাম কর । কিছু টিভি চ্যানেল, বিজেপি আর তার সঙ্গে জুড়েছে সিপিএম । বিরোধীরা বুঝতে পারছে না তৃণমূল কংগ্রেসকে বদনাম করছে না পুরো বাংলাটাকে বদনাম করছে তারা । "
ভোটে অশান্তির সাফাইও দিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম ৷ বলেছেন, "এগারো হাজার বুথের মধ্যে কটা বুথ গন্ডগোল হয়েছে ?" এখানেই থামেননি কলকাতার মেয়র ৷ প্রশ্ন তুলেছেন সংবাদমাধ্যম, সাংবাদিকদের ভূমিকা নিয়েও ৷ বলেছেন, "সাংবাদিকরা মানুষকে বলছে কাকে ভোট দিতে হবে ৷ উত্তেজনা ছড়াতে পোলিং অফিসারের কাজ সাংবাদিকরা করছেন ৷ 20টা জায়গার ঘটনাকে এমনভাবে দেখানো হচ্ছে যেন গোটা রাজ্যে সন্ত্রাস চলছে ৷"
আরও পড়ুন : সরকারি নির্দেশিকা, বনধের দিন অফিস না-গেলে কাটা যাবে বেতন
বিজেপির ডাকা বনধ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "বাংলায় বনধের কালচার উঠে গিয়েছে ৷ আর নেই ৷ রাজনৈতিকভাবে তৃণমূল রাস্তায় থাকবে ৷ বনধের নামে অসভ্যতা করলে রাজনৈতিক ভাবে তার বিরোধিতা হবে ৷ প্রশাসনও রাস্তায় থাকবে ৷ বাংলায় কোনও বনধ হবে না ৷ চক্রান্ত ব্যর্থ করে বাংলা এগিয়ে যাচ্ছে ৷" বনধ রুখতে প্রশাসন কড়া হবে বলেও জানিয়েছেন কলকাতার মহানাগরিক ৷