ETV Bharat / state

জরুরি পরিষেবায় নিয়োজিত গাড়ি স্যানিটাইজ় হচ্ছে না, অভিযোগ

স্বাস্থ্য নির্দেশিকা মেনে জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত বেসরকারি গাড়িগুলিকে স্যানিটাইজ় করানো হচ্ছে না ৷ এমনটাই অভিযোগ করলেন গাড়ির মালিকরা । বাস্তবে বেশিরভাগ বাস স্যানিটাইজ় করা হচ্ছে না ।

no sanitization for private cars and taxis with emergency service in kolkata
অসুরক্ষিত গাড়িতে চেপেই যাতায়াত কোরোনা পরিষেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের
author img

By

Published : Apr 22, 2020, 12:07 AM IST

কলকাতা, 21 এপ্রিল : স্বাস্থ্য নির্দেশিকা মেনে জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত বেসরকারি গাড়িগুলিকে স্যানিটাইজ় করানো হচ্ছে না ৷ এমনটাই অভিযোগ করলেন গাড়ির মালিকরা । জীবাণুমুক্ত করার কথা হলা হলেও অভিযোগ বাস্তবে বেশিরভাগ বাস স্যানিটাইজ় করা হচ্ছে না ।

এক বেসরকারি গাড়ির চালক আমজাদ খান ৷ তিনি বর্তমানে হাসপাতালের জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ৷ তিনি বলেন, "লকডাউনের গোড়া থেকেই আমি জরুরি পরিষেবার জন্য হাসপাতালে গাড়ি চালাচ্ছি । তবে সেই গাড়িটি এখনও একবারও স্যনিটাইজ় করা হয়নি । তবে আমরা আমাদের নিজেদের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে প্রতিদিন গাড়ির ভিতর ও বাইরে ভালো করে দু'বার সাবান ও জল দিয়ে ধুয়ে নিচ্ছি । কিন্তু এভাবে তো জীবাণু মরবে না । আমি হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার চেয়েছিলাম ৷ তখন আমাকে সুপারের ঘর থেকে স্যানিটাইজ়ার নিয়ে ব্যবহার করতে বলা হয়েছে । হাসপাতালের তরফে আমাকে একটি মাস্ক দেওয়া হয়েছিল । যেটি ছিঁড়ে যাওয়ার পর আমি নিজেই মাস্ক কিনে নিয়েছি । " তিনি আরও বলেন , " কোরোনা মোকাবিলায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কথা বলছেন চিকিৎসকরা । তবে হাসপাতালে একটি গাড়িতে চালক ছাড়াও 2 থেকে 3 জন একসাথে যাতায়াত করছেন । "

বেঙ্গল ট্যাক্সি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বিমল কুমার গুহ ৷ তিনি বলেন , " আমাদের চালকরা ID হাসপাতাল, SSKM, RG কর, মেডিক্যাল কলেজ, NRS হাসপাতালসহ বহু হাসপাতালে জরুরি পরিষেবা দিয়ে চলেছে । তবে কোনও ট্যাক্সি এখনও পর্যন্ত একবারও নিয়ম মেনে স্যানিটাইজ় করানো হয়নি । এমনকি চালকদের একটি মাস্ক বা হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ারও পরিবহন দপ্তর বা হাসপাতালের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়নি । চালক ও কর্মীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে চলেছেন । ফলে বহু চালক আর যেতে চাইছেন না । "

ওয়েস্ট বেঙ্গল জয়েন্ট কাউন্সিল অফ লাক্সারি ট্যাক্সি এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত শংকর ঘোষ ৷ তিনি বলেন , "বর্তমানে সারা রাজ্য জুড়ে আমাদের প্রায় 10 হাজারটির মতো গাড়ি জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে । আমরা চালক ও কর্মীদের কোরোনা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সচেতন করছি । তবে এঁদের মধ্যে যারা হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন তাদের স্বাস্থ্যের কথা আমাদের আগে মাথায় রাখতে হবে ৷ কারণ এরা সংক্রমণের খুব কাছাকাছি থেকে কাজ করছেন । চালকরা নিজেদের স্বার্থের কথা মাথায় রেখে গাড়িগুলিকে যথাসম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখছেন । তবে জীবাণুকে শেষ করার জন্য সাবান জল যথেষ্ট নয় । তার জন্য চাই বিশেষ ওষুধ । এখনও পর্যন্ত সরকারি নিয়ম মেনে গাড়িগুলিকে স্যানিটাইজ় করানো হয়নি । তাই আমরা চাই, সরকার এই বিষয়টির দিকে একটু নজর দিক । যে সমস্ত গাড়িগুলো হাসপাতালে যাচ্ছে বিশেষ করে সেই গাড়িগুলিকে যদি স্যানিটাইজ় করানোর ব্যবস্থা করা হয় তাহলে চালকরা উপকৃত হবে । "

ওয়েস্ট বেঙ্গল অনলাইন ক্যাব অপারেটরদের সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রনীল বন্দোপাধ্যায় ৷ তিনি বলেন, "ইতিমধ্যেই পরিবহন দপ্তরের নির্দেশ মতো আমরা গাড়ি পাঠিয়েছি । কোরোনা মোকাবিলায় আমরা সব সময় সরকারের পাশে আছি । তবে তাঁরা যদি আমাদের চালকদের কথা মাথায় রাখেন ৷ তাহলে আমরা উপকৃত হব । হাতে গোনা কয়েকটি গাড়ির ক্ষেত্রে নিয়ম মেনে এক বা দু'বার স্যানিটাইজ় করা হলেও অধিকাংশ গাড়িই স্যানিটাইজ় করা হয় না । "

কলকাতা, 21 এপ্রিল : স্বাস্থ্য নির্দেশিকা মেনে জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত বেসরকারি গাড়িগুলিকে স্যানিটাইজ় করানো হচ্ছে না ৷ এমনটাই অভিযোগ করলেন গাড়ির মালিকরা । জীবাণুমুক্ত করার কথা হলা হলেও অভিযোগ বাস্তবে বেশিরভাগ বাস স্যানিটাইজ় করা হচ্ছে না ।

এক বেসরকারি গাড়ির চালক আমজাদ খান ৷ তিনি বর্তমানে হাসপাতালের জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ৷ তিনি বলেন, "লকডাউনের গোড়া থেকেই আমি জরুরি পরিষেবার জন্য হাসপাতালে গাড়ি চালাচ্ছি । তবে সেই গাড়িটি এখনও একবারও স্যনিটাইজ় করা হয়নি । তবে আমরা আমাদের নিজেদের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে প্রতিদিন গাড়ির ভিতর ও বাইরে ভালো করে দু'বার সাবান ও জল দিয়ে ধুয়ে নিচ্ছি । কিন্তু এভাবে তো জীবাণু মরবে না । আমি হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার চেয়েছিলাম ৷ তখন আমাকে সুপারের ঘর থেকে স্যানিটাইজ়ার নিয়ে ব্যবহার করতে বলা হয়েছে । হাসপাতালের তরফে আমাকে একটি মাস্ক দেওয়া হয়েছিল । যেটি ছিঁড়ে যাওয়ার পর আমি নিজেই মাস্ক কিনে নিয়েছি । " তিনি আরও বলেন , " কোরোনা মোকাবিলায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কথা বলছেন চিকিৎসকরা । তবে হাসপাতালে একটি গাড়িতে চালক ছাড়াও 2 থেকে 3 জন একসাথে যাতায়াত করছেন । "

বেঙ্গল ট্যাক্সি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বিমল কুমার গুহ ৷ তিনি বলেন , " আমাদের চালকরা ID হাসপাতাল, SSKM, RG কর, মেডিক্যাল কলেজ, NRS হাসপাতালসহ বহু হাসপাতালে জরুরি পরিষেবা দিয়ে চলেছে । তবে কোনও ট্যাক্সি এখনও পর্যন্ত একবারও নিয়ম মেনে স্যানিটাইজ় করানো হয়নি । এমনকি চালকদের একটি মাস্ক বা হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ারও পরিবহন দপ্তর বা হাসপাতালের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়নি । চালক ও কর্মীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে চলেছেন । ফলে বহু চালক আর যেতে চাইছেন না । "

ওয়েস্ট বেঙ্গল জয়েন্ট কাউন্সিল অফ লাক্সারি ট্যাক্সি এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত শংকর ঘোষ ৷ তিনি বলেন , "বর্তমানে সারা রাজ্য জুড়ে আমাদের প্রায় 10 হাজারটির মতো গাড়ি জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে । আমরা চালক ও কর্মীদের কোরোনা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সচেতন করছি । তবে এঁদের মধ্যে যারা হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন তাদের স্বাস্থ্যের কথা আমাদের আগে মাথায় রাখতে হবে ৷ কারণ এরা সংক্রমণের খুব কাছাকাছি থেকে কাজ করছেন । চালকরা নিজেদের স্বার্থের কথা মাথায় রেখে গাড়িগুলিকে যথাসম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখছেন । তবে জীবাণুকে শেষ করার জন্য সাবান জল যথেষ্ট নয় । তার জন্য চাই বিশেষ ওষুধ । এখনও পর্যন্ত সরকারি নিয়ম মেনে গাড়িগুলিকে স্যানিটাইজ় করানো হয়নি । তাই আমরা চাই, সরকার এই বিষয়টির দিকে একটু নজর দিক । যে সমস্ত গাড়িগুলো হাসপাতালে যাচ্ছে বিশেষ করে সেই গাড়িগুলিকে যদি স্যানিটাইজ় করানোর ব্যবস্থা করা হয় তাহলে চালকরা উপকৃত হবে । "

ওয়েস্ট বেঙ্গল অনলাইন ক্যাব অপারেটরদের সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রনীল বন্দোপাধ্যায় ৷ তিনি বলেন, "ইতিমধ্যেই পরিবহন দপ্তরের নির্দেশ মতো আমরা গাড়ি পাঠিয়েছি । কোরোনা মোকাবিলায় আমরা সব সময় সরকারের পাশে আছি । তবে তাঁরা যদি আমাদের চালকদের কথা মাথায় রাখেন ৷ তাহলে আমরা উপকৃত হব । হাতে গোনা কয়েকটি গাড়ির ক্ষেত্রে নিয়ম মেনে এক বা দু'বার স্যানিটাইজ় করা হলেও অধিকাংশ গাড়িই স্যানিটাইজ় করা হয় না । "

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.