কলকাতা, 11 ফেব্রুয়ারি: একশো দিনের কাজ, আবাস যোজনা-সহ বিভিন্ন খাতে বঞ্চনার অভিযোগ নিয়ে বারবার সরব হতে দেখা গিয়েছে রাজ্য সরকার তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ৷ এবার কামানের মুখ রাজ্যের দিকে ঘুরিয়ে পালটা তোুপ দাগলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ৷ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর এই অভিযোগের উত্তরে নবান্ন প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে তার জবাব দিল ৷
কী অভিযোগ করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী? শুক্রবার লোকসভায় বাংলার বিরুদ্ধে বকেয়া মেটানোর অভিযোগ তুলেছেন তিনি ৷ অভিযোগ, "বাংলা আমাদের প্রাপ্য দিন বলে চিত্কার করছে । কেন্দ্রীয় সরকার বাংলার প্রাপ্য টাকা না দিলে চিত্কার করাই উচিত ৷ সেটা তাদের অধিকার ৷ কিন্তু আমাদেরও তো টাকা আটকে রাখা হয়েছে ৷ সে নিয়ে আমাদেরও সরব হওয়ার অধিকার আছে ৷ কোনও রাজ্য যখনই কেন্দ্রীয় সশস্ত্র বাহিনীর (Central Reserve Police Force, CRPF) সহায়তা চায়, কেন্দ্রের পক্ষ থেকে তা দেওয়া হয় ৷ বাংলাকেও দেওয়া হয়েছে ৷ সেই বাবদ, সশস্ত্র বাহিনীর 1 হাজার 841 কোটি টাকা কেন্দ্রকে দেয়নি বাংলার সরকার ৷ এই অর্থ বকেয়া পড়ে রয়েছে ৷"
আরও পড়ুন: সর্বত্র একটাই মুখ, মৃত্যু হলেও ওঁর ছবি থাকুক, মোদিকে তোপ মমতার
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর তোলা এই অভিযোগের জবাবে প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে রাজ্য সরকার ৷ সেখানে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে সিআরপিএফ নিয়ে অর্থ বকেয়া থাকার কথা বলা হয়েছে ৷ মনে রাখতে হবে, নির্বাচনের সময় কমিশনের নির্দেশে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করেছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ৷ এখানে রাজ্যের কোনও ভূমিকা নেই ৷ এ ব্যাপারে রাজ্যের সম্মতিও নেওয়া হয়নি ৷ তাই নির্বাচনী কর্তব্য পালনে আসা কেন্দ্রীয় বাহিনীর দায় রাজ্য কেন নেবে ? এর জন্য যা খরচ হয়েছে, তা কেন্দ্রীয় সরকারকেই দিতে হবে ৷
নির্বাচন ছাড়া এদিন মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানোর জন্য রাজ্যের কাছ থেকে টাকা চাওয়া হয়েছে ৷ এর উত্তরে নবান্ন বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকায় নিরাপত্তার দিকটি দেখার বিষয়টি জাতীয় স্তরের ৷ তাই মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের খরচ দেখার দায়িত্ব রাজ্য সরকারের নয় ৷ মাওবাদীরা বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ৷ আর তাই কোনও একটি নির্দিষ্ট রাজ্যে বাহিনীর গতিবিধি সীমাবদ্ধ নয় ৷ ফলে এই সংক্রান্ত খরচও কেন্দ্রীয় সরকারকে বহন করতে হবে, রাজ্যকে নয় ৷