ETV Bharat / state

Nimtala in Sawan Month: ঘরে আসে সারাবছরের রসদ, শ্রাবণ মাস মালতি-স্বপন-সোমা-বাপ্পাদের কাছে যেন আশীর্বাদ

author img

By

Published : Aug 16, 2023, 10:47 PM IST

Bhutnath Mandir in Sawan Month: শ্রাবণ মাসে মানেই নিমতলার রেল লাইনের ধারে থাকা মালতি, স্বপন, সোমা, বাপ্পাদের কাছে আশীর্বাদ ৷ প্রায় সারা বছরের রসদ যে এই মাসেই তাদের জোগাড় করতে হবে ৷ তাই এখন ওরা ব্যস্ত, নেই দম ফেলার সময় ৷

Nimtala Ghat
শ্রাবণ মাস মালতি-স্বপন-সোমা-বাপ্পাদের কাছে যেন আশীর্বাদ

কলকাতা, 16 অগস্ট: নিমতলা মহাশ্মশানের গা ঘেঁষে ভূতনাথ মন্দির । শ্রাবণ মাসে এই মন্দিরে শিবের মাথায় জল ঢালতে কাতারে কাতারে ভক্তরা ভিড় করেন ৷ এই ভিড় থেকেই রেল পাড়ের ঝুপড়ির মালতী, স্বপন, সোমা, বাপ্পাদের আগামী বেশ কয়েকমাসের রসদ আসে । আঁধার ঘেরা জীবনে ফোটে আলো । এই মাসে একটু বেশি ভালো থাকে তারা ৷

রেলপাড়ের এই ঝুপড়ি এলাকার বাসিন্দারা কেউ ভ্যান চালান, কেউ দোকানে বা বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করেন । তবে অধিকাংশের ভিক্ষাবৃত্তি করে দু‘বেলার অন্ন জোগাতে হয় ৷ ইটের দেওয়াল আর বাঁশ-প্লাস্টিকের আধার ঘেরা ঘরে এই শ্রাবণে জ্বলে প্রদীপের শিখা । শ্রাবণ মাস তাদের কাছ একটু অন্যরকম ৷ এই সময়ে মা-বাবার সঙ্গে বাপ্পা, মামুনি, শম্পরা ছোট ছোট দোকান দেয় ৷ সেখানে বিক্রি হয় ফুল ও পুজোর সামগ্রী বিক্রি করে ৷ পাশাপাশি খড়ি-মাটি দিয়ে মাথায় টিপ পড়িয়ে রোজগার করছে তারা ।

এই ঝুপড়ি এলাকার বাসিন্দা সাহেব হেলার কথায়, "নির্দিষ্ট কাজ কিছু নেই । যখন যেখানে যেমন কাজ পাই তাই করি । তবে শ্রাবণ মাস আমাদের কাছে শিব ঠাকুরের আশীর্বাদ । হাজার হাজার লোক আসে এখানে । টিপ পড়াই, তাও মাত্র 10 টাকার বিনিময়ে । সোমবার তো আরও লোক আসে । এই মাসে যা রোজগার করি তাতে আগামী বেশ কয়েক মাস খানিকটা নিশ্চিন্তে থাকতে পারি ।"

আরও এক বাসিন্দা সোমা মণ্ডল জানান, তিনি ফুল, গঙ্গা মাটির দলা বিক্রি করছেন ৷ তাঁর কথায়, "স্বামী এই দোকান দিয়েছে মাসখানেকের জন্য। আমি জুতো দেখি মন্দিরের বাইরে । অন্য সময় 5 টাকা নিলেও এই সময় 10 টাকা করে নিয়ে থাকি । অগুন্তি ভক্তরা আসেন । তাই শ্রাবণ মাসের সোমবারগুলোয় কয়েক হাজার টাকা আয় হয় । অন্য দিনগুলো হাজার টাকার একটু বেশি । এই একমাসের প্রায় সারা বছরের রসদ জোগাড় করি ৷" এই একই সুর আরও এক বিক্রেতা বাপ্পা হেলার গলাতেও ৷ তিনি ছোট ছোট ফটোফ্রেম আর ঠাকুরের ছবি বিক্রি করছেন । সঙ্গে রুদ্রাক্ষ মালা, নকুলদানাও আছে প্রসাদের জন্য । এমনই সময় ভ্যান চালালেও এই মাসখানেক নাওয়া-খাওয়া ভুলে এই দোকান দেন । কারণ এই মাসে বড় অঙ্কের আয় হয় ৷ যা আগামী কয়েক মাস অভাব-অনটন থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি দেয় ৷ সুখের মুখ দেখে পরিবারের সদস্যরা ৷

আরও পড়ুন: শ্রাবণ মাসের প্রথম সোমবারে ভূতনাথ মন্দিরে ভক্তদের ঢল

এই বছর হিন্দি পঞ্জিকা অনুযায়ী জোড়া শ্রাবণ মাস ৷ তাই ঝুপড়ি পাড়ের বাসিন্দাদের কাছে ফলে মেঘ না-চাইতেই জল । সারা বছর ধরে যে অভাব-অনটন এই একমাসের রোজগারে অনেকটাই সামালে ওঠা যায় ৷

কলকাতা, 16 অগস্ট: নিমতলা মহাশ্মশানের গা ঘেঁষে ভূতনাথ মন্দির । শ্রাবণ মাসে এই মন্দিরে শিবের মাথায় জল ঢালতে কাতারে কাতারে ভক্তরা ভিড় করেন ৷ এই ভিড় থেকেই রেল পাড়ের ঝুপড়ির মালতী, স্বপন, সোমা, বাপ্পাদের আগামী বেশ কয়েকমাসের রসদ আসে । আঁধার ঘেরা জীবনে ফোটে আলো । এই মাসে একটু বেশি ভালো থাকে তারা ৷

রেলপাড়ের এই ঝুপড়ি এলাকার বাসিন্দারা কেউ ভ্যান চালান, কেউ দোকানে বা বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করেন । তবে অধিকাংশের ভিক্ষাবৃত্তি করে দু‘বেলার অন্ন জোগাতে হয় ৷ ইটের দেওয়াল আর বাঁশ-প্লাস্টিকের আধার ঘেরা ঘরে এই শ্রাবণে জ্বলে প্রদীপের শিখা । শ্রাবণ মাস তাদের কাছ একটু অন্যরকম ৷ এই সময়ে মা-বাবার সঙ্গে বাপ্পা, মামুনি, শম্পরা ছোট ছোট দোকান দেয় ৷ সেখানে বিক্রি হয় ফুল ও পুজোর সামগ্রী বিক্রি করে ৷ পাশাপাশি খড়ি-মাটি দিয়ে মাথায় টিপ পড়িয়ে রোজগার করছে তারা ।

এই ঝুপড়ি এলাকার বাসিন্দা সাহেব হেলার কথায়, "নির্দিষ্ট কাজ কিছু নেই । যখন যেখানে যেমন কাজ পাই তাই করি । তবে শ্রাবণ মাস আমাদের কাছে শিব ঠাকুরের আশীর্বাদ । হাজার হাজার লোক আসে এখানে । টিপ পড়াই, তাও মাত্র 10 টাকার বিনিময়ে । সোমবার তো আরও লোক আসে । এই মাসে যা রোজগার করি তাতে আগামী বেশ কয়েক মাস খানিকটা নিশ্চিন্তে থাকতে পারি ।"

আরও এক বাসিন্দা সোমা মণ্ডল জানান, তিনি ফুল, গঙ্গা মাটির দলা বিক্রি করছেন ৷ তাঁর কথায়, "স্বামী এই দোকান দিয়েছে মাসখানেকের জন্য। আমি জুতো দেখি মন্দিরের বাইরে । অন্য সময় 5 টাকা নিলেও এই সময় 10 টাকা করে নিয়ে থাকি । অগুন্তি ভক্তরা আসেন । তাই শ্রাবণ মাসের সোমবারগুলোয় কয়েক হাজার টাকা আয় হয় । অন্য দিনগুলো হাজার টাকার একটু বেশি । এই একমাসের প্রায় সারা বছরের রসদ জোগাড় করি ৷" এই একই সুর আরও এক বিক্রেতা বাপ্পা হেলার গলাতেও ৷ তিনি ছোট ছোট ফটোফ্রেম আর ঠাকুরের ছবি বিক্রি করছেন । সঙ্গে রুদ্রাক্ষ মালা, নকুলদানাও আছে প্রসাদের জন্য । এমনই সময় ভ্যান চালালেও এই মাসখানেক নাওয়া-খাওয়া ভুলে এই দোকান দেন । কারণ এই মাসে বড় অঙ্কের আয় হয় ৷ যা আগামী কয়েক মাস অভাব-অনটন থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি দেয় ৷ সুখের মুখ দেখে পরিবারের সদস্যরা ৷

আরও পড়ুন: শ্রাবণ মাসের প্রথম সোমবারে ভূতনাথ মন্দিরে ভক্তদের ঢল

এই বছর হিন্দি পঞ্জিকা অনুযায়ী জোড়া শ্রাবণ মাস ৷ তাই ঝুপড়ি পাড়ের বাসিন্দাদের কাছে ফলে মেঘ না-চাইতেই জল । সারা বছর ধরে যে অভাব-অনটন এই একমাসের রোজগারে অনেকটাই সামালে ওঠা যায় ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.