কলকাতা, 29 অগস্ট: দত্তপুকুরে বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ-কাণ্ডে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে রিপোর্ট পেশ করল এনআইএ ৷ সোমবার এনআইএ আধিকারিকরা দত্তপুকুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করেন ৷ বিস্ফোরণস্থলে কী ধরনের বারুদ পাওয়া গিয়েছে ? বিস্ফোরণের তীব্রতা কতটা ছিল ? এমন একাধিক বিষয়ে আজ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে দিল্লিতে রিপোর্ট করেছেন তদন্তকারীরা ৷ পাশাপাশি, একাধিক ছবি ও ভিডিয়ো তুলেছিল এনআইএ ৷ সেগুলিও জমা দেওয়া হয়েছে ৷
রবিবার সকালে ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে উত্তর 24 পরগনা দত্তপুকুর ৷ ঘটনায় 9 জনের মৃত্যুর খবর সরকারিভাবে বলা হয়েছে ৷ তবে, বিরোধী এবং স্থানীয়দের অভিযোগ সংখ্যাটা আরও অনেক ৷ এই বিস্ফোরণের তীব্রতা এবং মৃত্যুর সংখ্যা দেখে বিরোধীদের তরফে এনআইএ তদন্তের দাবি তোলা হয় ৷ এর পরে সোমবারই জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দাদের বিস্ফোরণস্থলে পাঠানো হয় ৷ সেখানে গিয়ে 30 মিনিটের উপর ছিলেন গোয়েন্দারা ৷ আর এর মধ্যেই একাধিক বিষয় তাঁদের নজরে আসে ৷
অভিযোগ যেখানে বিস্ফোরণ হয়েছিল, তার থেকে 500 মিটার দূরে আস্ত গবেষণাগার তৈরি করা হয়েছিল ৷ সেখানে নানা রাসায়নিক কম্পোজিশনের মাধ্যমে বিস্ফোরক তৈরি করা হত বলে অভিযোগ ৷ তবে, তা বাজি তৈরির জন্য ব্যবহার হত ? নাকি প্রাণঘাতী বোমা তৈরির জন্য বারুদ তৈরি হত ? তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে ৷ এমনকি সেখানে স্টোনচিপ, নানা ধরনের নিষিদ্ধ রাসায়নিক বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ ৷ সেই সবকিছু কীসের কাজে ব্যবহার করা হত ? ঘটনার দিনই বিস্ফোরণ স্থলে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করেছিল রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা দফতরের ফরেন্সিক দল ৷
আরও পড়ুন: মোচপোল যেন জতুগৃহ! কেরামতের আরও একটি রাসায়নিক ভর্তি গুদামের হদিশ মিলল
তার পর সোমবার বেলার দিকে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা দত্তপুকুরে যান ৷ স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে নিয়ে বিস্ফোরণ স্থল খতিয়ে দেখেন তাঁরা ৷ ঠিক কোন ধরনে বিস্ফোরক ছিল সেখানে ? সেটাই এখন জানতে চাইছেন তদন্তকারীরা ৷ কারণ, শুধুমাত্র বাজির মশলায় এমন বিস্ফোরণ সম্ভব বলে মনে করছেন না এনআইএ’র গোয়েন্দারা ৷ বিশেষত, বেশ কিছু এমন রাসায়নিক উদ্ধার হয়েছে, যা বাজি তৈরিতে লাগে না বলেই পুলিশ সূত্রে খবর ৷ এই সব নিয়ে আজ দিল্লিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে একটি রিপোর্ট ফাইল করেছে এনআইএ-র প্রতিনিধি দল ৷ ইতিমধ্যে এই ঘটনায় স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ সামনে এসেছে ৷ থানার আইসি এবং পুলিশ ফাঁড়ির ওসি-কে সাসপেন্ড করা হয়েছে ৷