ETV Bharat / state

লকডাউনে বিশেষভাবে সক্ষম শিশুদের মানসিক অবসাদমুক্তিতে প্রতিযোগিতা

author img

By

Published : Apr 25, 2020, 7:09 PM IST

লকডাউনের এই সময় তাদের বাইরে নিয়ে যাওয়া যাচ্ছে না । বাধ্য হয়ে ঘরে আটকে রাখতে হচ্ছে ফলেই মাঝেমধ্যেই হিংস্র হয়ে উঠছে এইধরনের শিশুরা । তাই এই পরিস্থিতিতে শিশুদের নিয়ন্ত্রণে আনতে অভিনব এক প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সংবেদন ।

ngo songbedan organizing a competition for specially abled children amid lockdown in kolkata
লকডাউনে বিশেষভাবে সক্ষম শিশুদের মানসিক অবসাদমুক্ত করতে সংবেদনের প্রতিযোগিতা

কলকাতা, 25 এপ্রিল : কোরোনার সংক্রমণ প্রতিরোধ করার একমাত্র পথ লকডাউন । কিন্তু দীর্ঘদিন লকডাউন অবস্থায় থাকার ফলে মানুষের মধ্যে তৈরি হচ্ছে মানসিক অবসাদ । বিশেষ করে শারীরিক মানসিক প্রতিবন্ধী বা বিশেষভাবে সক্ষম ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য এই সময়টা অত্যন্ত সমস্যা নিয়ে এসেছে । দীর্ঘদিন ধরে বাড়িতে আটকে থেকে বিশেষভাবে সক্ষম শিশুদের মধ্যে গভীর মানসিক অবসাদ তৈরি হচ্ছে । ফলে তাদের বাড়িতে রাখা যাচ্ছে না । লকডাউনে তাদের বাইরে নিয়ে যাওয়া যাচ্ছে না । বাধ্য হয়ে ঘরে আটকে রাখতে হচ্ছে ৷ ফলে মাঝেমধ্যেই হিংস্র হয়ে উঠছে এই শিশুরা । এমন পরিস্থিতিতে শিশুদের নিয়ন্ত্রণে আনতে অভিনব এক প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সংবেদন ।

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সংবেদন সারা বছরই শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী শিশুদের নিয়ে কাজ করেন । বিশেষভাবে সক্ষম শিশুদের পড়ানো, বিভিন্ন রকম নাচ-গান, হাতের কাজের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় । এই পরিস্থিতিতে অনেক অভিভাবকই ফোন করে জানিয়েছেন, তাঁরা নিজেদের সন্তানদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না । কোরোনা ভাইরাস সংক্রমণের সঙ্কট থেকে বাঁচতে এই লকডাউন বোঝার ক্ষমতা এই সব শিশুদের থাকে না । তাই জোর করে ঘরে আটকে রাখলে এরা মানসিক অবসাদে ভুগতে থাকে । তাই এই সব শিশুদের বাড়িতেই ব্যস্ত রাখতে এক অভিনব প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা করেছে এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সংবেদন ।

এই প্রতিযোগিতায় বিশেষভাবে সক্ষম ছাত্রছাত্রীরা ঘরে বসেই নিজেদের বিভিন্ন রকম প্রতিভা তুলে ধরছে ভিডিয়োর মাধ্যমে । নাচ গান আবৃত্তি ছবি আঁকা হাতের কাজ ইত্যাদি তারা মোবাইল ফোনে রেকর্ড করে পাঠিয়ে দিচ্ছে । পরবর্তী সময়ে গুণ বিচার করে প্রতিযোগীদের পুরস্কৃত করা হবে । বেশ কয়েকটি ধাপের মাধ্যমে বিজয়ীদের নির্বাচিত করা হবে ।

প্রথম ধাপে তাদের নাচ গান আবৃত্তি ইত্যাদির গুণ বিচার করা হবে । দ্বিতীয় ধাপে হাতের কাজ ছবি আঁকা নিয়ে গুণ বিচার করা হবে । তৃতীয় ধাপে বাড়ির কাজ যেমন রান্না করা, গাছের পরিচর্যা করা, মা-বাবাকে সংসারের কাজে খুঁটিনাটিভাবে সাহায্য করা ৷ এই সব নিয়ে বিচার করা হবে । এইভাবে ধাপে ধাপে বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের পারদর্শিতার বিচার করে করা হবে ।

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সম্পাদক সমিত সাহা ৷ তিনি বলেন, " গৃহবন্দী অবস্থায় মানসিক প্রতিবন্ধী শিশুদের মধ্যে একঘেঁয়েমি চলে আসে ৷ ফলে মানসিক অবসাদে ভুগে তারা অনেক সময় উগ্র হয়ে ওঠে । এই লকডাউনে তাদের ব্যস্ত রাখার জন্য আমরা এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছি । বিশেষভাবে সক্ষম শিশুরা বিভিন্ন রকম প্রতিভা মোবাইলে রেকর্ড করে হোয়াটসঅ্যাপে আমাদের কাছে পাঠিয়ে দেবে । আমরা ধাপে ধাপে তাদের মধ্যে থেকে বিজয়ীদের নির্বাচিত করব । ফলে এইসব শিশুরা যেমন ব্যস্ত থাকবে । এছাড়াও নতুন কিছু করার চেষ্টা করবে বাড়িতে থেকেই । ফলে তারা নতুন কিছু বাড়িতে বসেই শিখতে পারবে ৷ সঙ্গে পুরোনো যা যা শিখেছে সেগুলোরও চর্চা হবে । ইতিমধ্যেই গোটা পশ্চিমবঙ্গ থেকে 100-র বেশি বিশেষভাবে সক্ষম শিশু এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে । এই প্রতিযোগিতার নাম কোয়ারানটিন ট্যালেন্ট হান্ট । এই প্রতিযোগিতায় 2 মিনিটের ভিডিয়ো বানিয়ে হোয়াটসঅ্যাপে পাঠাতে হবে সংবেদনের নম্বরে । যতদিন লকডাউন চলবে ততদিন ধরে চলবে প্রতিযোগিতা । "

কলকাতা, 25 এপ্রিল : কোরোনার সংক্রমণ প্রতিরোধ করার একমাত্র পথ লকডাউন । কিন্তু দীর্ঘদিন লকডাউন অবস্থায় থাকার ফলে মানুষের মধ্যে তৈরি হচ্ছে মানসিক অবসাদ । বিশেষ করে শারীরিক মানসিক প্রতিবন্ধী বা বিশেষভাবে সক্ষম ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য এই সময়টা অত্যন্ত সমস্যা নিয়ে এসেছে । দীর্ঘদিন ধরে বাড়িতে আটকে থেকে বিশেষভাবে সক্ষম শিশুদের মধ্যে গভীর মানসিক অবসাদ তৈরি হচ্ছে । ফলে তাদের বাড়িতে রাখা যাচ্ছে না । লকডাউনে তাদের বাইরে নিয়ে যাওয়া যাচ্ছে না । বাধ্য হয়ে ঘরে আটকে রাখতে হচ্ছে ৷ ফলে মাঝেমধ্যেই হিংস্র হয়ে উঠছে এই শিশুরা । এমন পরিস্থিতিতে শিশুদের নিয়ন্ত্রণে আনতে অভিনব এক প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সংবেদন ।

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সংবেদন সারা বছরই শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী শিশুদের নিয়ে কাজ করেন । বিশেষভাবে সক্ষম শিশুদের পড়ানো, বিভিন্ন রকম নাচ-গান, হাতের কাজের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় । এই পরিস্থিতিতে অনেক অভিভাবকই ফোন করে জানিয়েছেন, তাঁরা নিজেদের সন্তানদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না । কোরোনা ভাইরাস সংক্রমণের সঙ্কট থেকে বাঁচতে এই লকডাউন বোঝার ক্ষমতা এই সব শিশুদের থাকে না । তাই জোর করে ঘরে আটকে রাখলে এরা মানসিক অবসাদে ভুগতে থাকে । তাই এই সব শিশুদের বাড়িতেই ব্যস্ত রাখতে এক অভিনব প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা করেছে এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সংবেদন ।

এই প্রতিযোগিতায় বিশেষভাবে সক্ষম ছাত্রছাত্রীরা ঘরে বসেই নিজেদের বিভিন্ন রকম প্রতিভা তুলে ধরছে ভিডিয়োর মাধ্যমে । নাচ গান আবৃত্তি ছবি আঁকা হাতের কাজ ইত্যাদি তারা মোবাইল ফোনে রেকর্ড করে পাঠিয়ে দিচ্ছে । পরবর্তী সময়ে গুণ বিচার করে প্রতিযোগীদের পুরস্কৃত করা হবে । বেশ কয়েকটি ধাপের মাধ্যমে বিজয়ীদের নির্বাচিত করা হবে ।

প্রথম ধাপে তাদের নাচ গান আবৃত্তি ইত্যাদির গুণ বিচার করা হবে । দ্বিতীয় ধাপে হাতের কাজ ছবি আঁকা নিয়ে গুণ বিচার করা হবে । তৃতীয় ধাপে বাড়ির কাজ যেমন রান্না করা, গাছের পরিচর্যা করা, মা-বাবাকে সংসারের কাজে খুঁটিনাটিভাবে সাহায্য করা ৷ এই সব নিয়ে বিচার করা হবে । এইভাবে ধাপে ধাপে বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের পারদর্শিতার বিচার করে করা হবে ।

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সম্পাদক সমিত সাহা ৷ তিনি বলেন, " গৃহবন্দী অবস্থায় মানসিক প্রতিবন্ধী শিশুদের মধ্যে একঘেঁয়েমি চলে আসে ৷ ফলে মানসিক অবসাদে ভুগে তারা অনেক সময় উগ্র হয়ে ওঠে । এই লকডাউনে তাদের ব্যস্ত রাখার জন্য আমরা এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছি । বিশেষভাবে সক্ষম শিশুরা বিভিন্ন রকম প্রতিভা মোবাইলে রেকর্ড করে হোয়াটসঅ্যাপে আমাদের কাছে পাঠিয়ে দেবে । আমরা ধাপে ধাপে তাদের মধ্যে থেকে বিজয়ীদের নির্বাচিত করব । ফলে এইসব শিশুরা যেমন ব্যস্ত থাকবে । এছাড়াও নতুন কিছু করার চেষ্টা করবে বাড়িতে থেকেই । ফলে তারা নতুন কিছু বাড়িতে বসেই শিখতে পারবে ৷ সঙ্গে পুরোনো যা যা শিখেছে সেগুলোরও চর্চা হবে । ইতিমধ্যেই গোটা পশ্চিমবঙ্গ থেকে 100-র বেশি বিশেষভাবে সক্ষম শিশু এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে । এই প্রতিযোগিতার নাম কোয়ারানটিন ট্যালেন্ট হান্ট । এই প্রতিযোগিতায় 2 মিনিটের ভিডিয়ো বানিয়ে হোয়াটসঅ্যাপে পাঠাতে হবে সংবেদনের নম্বরে । যতদিন লকডাউন চলবে ততদিন ধরে চলবে প্রতিযোগিতা । "

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.