কলকাতা, 6 মে: পরিবেশ দূষণ ঠেকাতে যানবাহন নিয়ে বড় পদক্ষেপ নিউটাউন কলকাতা ডেভলপমেন্ট অথরিটির ৷ কলকাতার উপকণ্ঠে সবুজে ঘেরা নিউটাউনে বাড়ছে বসতি । আর পাল্লা দিয়ে মাথা তুলছে একের পর এক বহুতল । এই এলাকায় জনবসতি ও অফিস-কাছারির সংখ্যা বাড়ায় বেশ কয়েক বছরে দ্রুত গতিতে বেড়ে চলেছে যানবাহনের সংখ্যাও । আর এর ফলে বাড়ছে বায়ু দূষণ ৷
সেই দূষণ রোধে এবার বড় পদক্ষেপ নিল নিউটাউন কলকাতা ডেভলপমেন্ট অথরিটি । সূত্রের খবর, সিদ্ধান্ত হয়েছে এনকেডিএ এলাকার রাস্তায় এবার নামানো হবে ই-অটো । এই অটোগুলি বিদ্যুৎ ব্যাটারি চালিত হওয়ায় দূষণেও লাগাম পরানো যাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট আধিকারিকরা ৷ তথ্য বলছে, এনকেডিএ এলাকায় ক্রমে বাড়ছে যানবাহনের চাপ । তা কলকাতার মতই আকার নিচ্ছে ক্রমশ । এর কারণ, সেখানে আবাসন থেকে শুরু করে বেড়েছে বাণিজ্যিক বহুতল । জনসংখ্যা, যানবাহন বাড়ায় বাড়ছে দূষণও ৷
এই এলাকায় বায়ু দূষণের কারণ হিসেবে উঠে এসেছে মূলত 2টি দিক । এক নির্মাণ কাজ ও দ্বিতীয় যানবাহন থেকে নির্গত ধোঁয়া । এই পরিস্থিতিতে এনকেডিএ এই এলাকার পরিবহণ ক্ষেত্রে বড় সিদ্ধান্ত নিচ্ছে বলেই জানা গিয়েছে । সমস্ত জ্বালানি চালিত অটো ধাপে ধাপে বন্ধ করে তার পরিবর্তে নামানো হবে ই-অটো । পরিকল্পনা অন্তত এমনই ৷ এই পদক্ষেপের জেরে বায়ু দূষণ অনেকটাই কমবে বলে আশা করছে কর্তৃপক্ষ । জানা গিয়েছে, এই উপনগরিতে 10-12টি অটো রুট আছে । সাপুরজি- ডিএলএফ 2, সাপুরজি- নারকেল বাগান বা সল্টলেক করুণাময়ী-নজরুল তীর্থ এমন বিভিন্ন রুটে প্রায় 400 অটো চলে প্রতিদিন । প্রতিটি অটো প্রতিদিন একাধিক বার এই এলাকার রাস্তায় যাতায়াত করে । ফলে ব্যাপক পরিমাণে ধোঁয়া উৎপন্ন হয় ।
আরও পড়ুন: বর্ষায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টের ঘটনা এড়াতে ময়দানে নামল কলকাতা কর্পোরেশন
তাই পেট্রল ও ডিজেলে চলা অটোগুলি তুলে দিয়ে তার পরিবর্তে রাস্তায় নামবে ই-অটো । এতে এক শতাংশ দূষণ হওয়ার কোনও আশঙ্কা নেই । কিন্তু অন্তরায় হল সেই ই-অটোর দাম । বহু মূল্যের এই গাড়ি সকলের কেনার আয়ত্তে নেই । সূত্রের খবর, এনকেডিএ-র তরফ থেকে অটো চালকদের জানান হবে গাড়ি পরিবর্তনের কথা । কিন্তু টাকা পয়সার কথা ভেবে কর্তৃপক্ষ ই-অটো উৎপাদক সংস্থা ও ব্যাঙ্কের সঙ্গেও কথা বলেছে যাতে তারা চালকরা ঋণ নিয়ে এই গাড়ি নামতে পারেন । এই বিষয় এনকেডিএ-এর এক আধিকারিক বলেন, সবুজে মোড়া উপনগরিতে বেড়ে চলা দূষণ মাথা ব্যথার কারণ । শুরুতেই পদক্ষেপ নিতে শুরু করলে পরিবেশ অনেকটাই রক্ষা করা সম্ভব । তাতে এখনকার সকল মানুষ উপকৃত হবেন । সেই কথা ভেবেই এমন পরিকল্পনা করা হচ্ছে ।