কলকাতা, 24 জুন: পৌরনিগম এলাকার নাগরিকদের বসবাসের জন্য সাধরণত চড়া হারে কর গুনতে হয় ৷ তার উপর সংযুক্ত এলাকার বাসিন্দাদের দিতে হয় বিএলআরও খাজনা ৷ এই খাজনা দিতে গিয়ে রীতিমতো ভুগতে হয় নাগরিকদের ৷ এবার নাগরিক সুবিধার্থে পৌর করের সঙ্গে এক ছাদের তলায় খাজনা দেওয়ার যাবে, এ কথা ঘোষণা করলেন কলকাতার পৌর কমিশনার বিনোদ কুমার ৷ শুক্রবার বণিকসভার একটি বৈঠকে এই সিদ্ধান্তের কথাই জানিয়েছেন তিনি ৷ এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নমিত বাজরিয়া, অমিত সারদা-সহ অন্যান্যরা ।
এই অনুষ্ঠানে পৌর কমিশনার বলেন, "আমরাও বুঝতে পারছি এই খাজনা ও মিউটেশন নিয়ে কলকাতার সংযুক্ত এলাকার নাগরিকরা সমস্যার মুখে পড়েন । বিএলআরও খাজনা বা মিউটেশন বন্ধ আমরা করতে পারি না । সেটা করতে গেলে আদালতে মামলা হতে পারে । আমি তাই ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের সচিবের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। তারপরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, জিএসটি কাটার সময় যেমন এসজিএসটি এবং সিজিএসটি একসঙ্গে কাটা হয় । ঠিক তেমনই কলকাতা পৌরনিগমের কর ও বিএলআরও খাজনা একই জায়গায় দিতে পারবেন নাগরিকরা ৷ নাগরিক স্বার্থে এই উদ্যোগ । তারপর আমরা নিজেদের প্রাপ্য টাকা বুঝে নেব। এতে নাগরিক হেনস্তা কম হবে।"
আরও পড়ুন: পার্কিং ফি বাড়িয়েছিলাম কলকাতার লাগামহীন দূষণ রুখতে, পরিবেশ দিবসে আক্ষেপ ফিরহাদের
উল্লেখ্য, 'টক টু মেয়র' অনুষ্ঠানে একাধিক অভিযোগ জমা পড়ে বিএলআরও মিউটেশন ও খাজনা জমা সংক্রান্ত বিষয়ে । অথচ সমস্যার সমাধান হয় না । বিএলআরও সংক্রান্ত জটিলতা মেটাতে কলকাতা পৌরনিগমের কেন্দ্রীয় ভবনে দফতরে একটি সেল খোলা হয়েছে । তবে তাতে খুব একটা লাভ হয়নি । সমস্যা যা সেটাই রয়ে গিয়েছে ৷ কলকাতার কর দাতার সংখ্যা প্রায় 9 লক্ষ । তার মধ্যে প্রায় দেড় থেকে দুই লক্ষ কর দাতা রয়েছেন যাঁরা সংযুক্ত এলাকার 44টি ওয়ার্ডের বাসিন্দা । তাঁদের সুবিধার্থে এই উদ্যোগ ৷