কলকাতা, 12 জুন : সম্প্রতি কলকাতার একাধিক এটিএম কাউন্টার থেকে টাকা লুঠের ঘটনা প্রকাশ্যে আসে ৷ ঘটনায় কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দাদের জালে ধরা পড়ে 4 জন ৷ ধৃতদের জেরায় এবার উঠে এসেছে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য ৷ তা নিয়ে রীতিমতো নড়েচড়ে বসেছে গোয়েন্দা বিভাগ ৷ জানা গিয়েছে, ধৃতরা চলতি বছরের মার্চ মাসেই ঘাঁটি গেড়েছিল কলকাতায় ৷ একাধিক হোটেল ও ফ্ল্যাট বুক করে থাকতে শুরু করেছিল সাইবার দস্যুরা ৷
ধৃতরা বাইপাস সংলগ্ন এলাকার বেশকিছু হোটেলে একাধিকবার রুম বুক করে থাকত ৷ পাশাপাশি দক্ষিণ কলকাতার একাধিক ফ্ল্যাটে ভাড়ায় থাকত বলে জানিয়েছে ৷ মনোজ গুপ্ত ও তার সাগরেদরা একসঙ্গেই কলকাতায় থাকত ৷ তারা বিভিন্ন সময়ে একাধিক ফ্ল্যাট বদলে অপারেশন চালিয়ে যেত বিভিন্ন এলাকায় ৷
আরও পড়ুন : শহরে এটিএম কাউন্টার থেকে টাকা লুঠের ঘটনায় ধৃত চার
মূলত এজেন্সি মারফত ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকত দিল্লির সাইবার দস্যুরা ৷ সংশ্লিষ্ট ফ্ল্যাটগুলির মালিকদের সঙ্গে লালবাজারের গোয়েন্দারা কথা বলেছেন ৷ সেখান থেকে জানা গিয়েছে, নিজেদের পরিচয় গোপন করে কলকাতায় এসেছিল দস্যুরা ৷ পরিচয় দিয়েছিল দিল্লির একটি নামকরা কোম্পানির কর্মকর্তা হিসেবে ।
ফ্ল্যাট ভাড়া নেয়ার সময় তারা বলেছিল, দিল্লি থেকে এরাজ্যে তাদের একাধিক অফিস খোলার জন্য এসেছে ৷ তাই বেশ কিছুদিন এখানেই থাকতে হবে । গোয়েন্দা বিভাগ তদন্ত করে আরও জানতে পেরেছে ধৃতদের মধ্যে মনোজ গুপ্তা শহরের বেশ কিছু এটিএম কাউন্টারের তালিকা তৈরি করেছিল ৷ যেখানে নিরাপত্তারক্ষী থাকত না ৷ আর সেই তালিকা অনুযায়ী এটিএম কাউন্টারগুলিতে ধীরে ধীরে অপারেশন চালাত ৷
কলকাতার কাশীপুর, যাদবপুর, বেহালার একাধিক এটিএম কাউন্টার থেকে টাকা লুঠের ঘটনা সামনে আসে ৷ গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্ল্যাক বক্স অ্যাটাকের মাধ্যমে এই ঘটনা ঘটিয়েছে সাইবার দস্যুরা ৷