কলকাতা, 28 ফেব্রুয়ারি: 10 দিনের জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আজ আবারও ব্যাঙ্কশাল আদালতে (Bankshall court) পেশ করা হল আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীকে (Nawsad Siddique)। আজ তিনি জামিন পান কি না, সে দিকেই নজর রয়েছে বিভিন্ন মহলের ৷
আদালতে প্রবেশ করার সময় নওশাদ বলেন, "আমি আশা করেছিলাম স্পিকার স্যার আমার হয়ে কোনও কথা বলবেন । তিনি কী বলেছেন জানি না । আশা করছি, তিনি আগামী দিনে কিছু কথা বলবেন । আমি আইনের পথেই হাঁটব । বাংলার অগণিত মানুষ আছে আমার পাশে ।"
তাঁর মতে, তাঁকে বন্দি করে রাখাটা টাইম কিল করা ছাড়া আর কিছু নয় । নওশাদের মতে, তাঁকে আটকে রেখে শাসক দল পঞ্চায়েত ভোটে কিছু করতে পারবে বলে ভাবছে ৷ তিনি বলেন, "আইএসএফ-কে আটকাতে পারবে ? আইএসএফ-এর কিছু নেতাকে গ্রেফতার করে আইএসএফ-কে আটকানো যাবে না ৷ আইএসএফ মানুষের মনে ঢুকে গিয়েছে । বাড়ি বাড়ি পৌঁছে গিয়েছে । কলকাতা পুলিশের যাঁরা ভাঙড়ে গিয়ে অশান্তি করেছেন তাঁরাও কিছু করতে পারবেন না । মানুষরে জন্য আন্দোলনে নেমেছি । লড়াই চলবে ।"
আরও পড়ুন: নওশাদের জামিন মামলা, ঘটনার ভিডিয়ো ফুটেজ চাইল আদালত
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে নওশাদ সিদ্দিকি-সহ আইএসএফ সমর্থকদের গ্রেফতার করা নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি রাজ্যকে অত্যন্ত ভর্ৎসনা করেছিলেন । একটা প্রতিবাদ আন্দোলনের জন্য 88 জনকে গ্রেফতার করা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিচারপতি । রাজ্যকে ঘটনার দিনের ভিডিয়ো ফুটেজও জমা দিতে নির্দেশ দেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি ।
গত 21 জানুয়ারি ধর্মতলায় আইএসএফ-এর প্রতিবাদ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা ৷ সেই ঘটনার পর নওশাদকে গ্রেফতার করা হয় ৷ তাঁর বিরুদ্ধে কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদের উপর হামলা, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করা ও ভাঙড়ে অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগ আনা হয় ৷ লালবাজারের তরফে দাবি করা হয়, নওশাদের দু'টি ফোন ঘেঁটে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে পুলিশ ৷ গত 21 জানুয়ারি নওশাদের সঙ্গেই আরও 18 জন আইএসএফ কর্মী গ্রেফতার হয়েছিলেন ৷