ETV Bharat / state

Handball Player Selling Vegetables: জাতীয়স্তরের হ্যান্ডবল খেলোয়াড়, আজ তিনিই সবজি বিক্রেতা ! - শুকদেব গায়েন

অভাবের সংসারের হাল ফেরাতে সবজি বিক্রি করছেন জাতীয়স্তরের হ্য়ান্ডবল খেলোয়াড় (Handball Player Selling Vegetables) ! তাঁর নাম শুকদেব গায়েন (Sukdeb Gayen Handball Player) ৷ কলকাতার ছেলের লড়াইয়ের 'কাহিনি' শুনল ইটিভি ভারত ৷

national level Handball Player is now Selling Vegetables to Earn Money
শুকদেব গায়েনের এখন তখন
author img

By

Published : Jan 19, 2023, 8:32 PM IST

জাতীয়স্তরের হ্য়ান্ডবল খেলোয়াড় এখন সবজি বিক্রেতা

কলকাতা, 19 জানুয়ারি: জাতীয়স্তরের হ্য়ান্ডবল খেলোয়াড় থেকে সবজি বিক্রেতা (Handball Player Selling Vegetables) ! ভাগ্যের পরিহাসে এমনই নির্মম বাস্তবের মুখোমুখি হতে হয়েছে কলকাতার ছেলে শুকদেব গায়েনকে (Sukdeb Gayen Handball Player) ৷ শহরের সখের বাজার এলাকার শীলপাড়ার বাসিন্দা তিনি ৷ বছর কয়েক আগেও ব্যস্ত থাকতেন খেলা নিয়ে ৷ কিন্তু, এখন সেসব অতীত ৷ একটা সময় যে হাত দিয়ে বল পেটাতেন, আজ সেই হাতেই কুমড়ো কাটছেন তিনি ! তারপর সেই সবজি ওজন করে ভরে দিচ্ছেন ক্রেতার ব্যাগে ৷ বদলে মিলছে সবজির দাম ৷ সংসার চালাতে ওই টাকাটাই আজ সবথেকে বেশি জরুরি শুকদেবের কাছে ৷

2013 সালে পঞ্জাব ও দিল্লির বিরুদ্ধে বাংলার হয়ে ম্য়াচ খেলেছিলেন শুকেদব ৷ পরবর্তীতে তামিলনাড়ু, রাজস্থান, পুণে-সহ বিভিন্ন দলের বিরুদ্ধে বল হাতে মাঠে নেমেছেন ৷ জাতীয় দলের 16 জনের স্কোয়াডেও অন্যতম সদস্য ছিলেন বাংলার এই কৃতী সন্তান ৷ কিন্তু, খেলার প্রতিভা তাঁর জন্য একটা চাকরি জোগাড় করে দিতে পারেনি ৷ শুকদেবের পরিবার রয়েছেন তাঁর বৃদ্ধ বাবা ৷ রয়েছেন আরও তিন ভাই ও তাঁদের স্ত্রীরা ৷ আজকের দিনে এত বড় সংসার চালানো কম কথা নয় ৷ এদিকে, বাড়িতে হাঁড়ির হাল ৷ তাই বাধ্য হয়েই সবজি বিক্রি শুরু করেন শুকদেব ৷

আরও পড়ুন: ফুটবলার থেকে ফুড ডেলিভারি পার্টনার পৌলমী ! ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই টনক নড়ল প্রশাসনের

শুকদেবের দিন শুরু হয় ভোর পাঁচটায় ৷ একজন খেলোয়াড়ের কাছে অবশ্য সেটা কঠিন কিছু নয় ৷ তবে, তিনি খেলার মাঠে প্র্য়াকটিসে যান না ৷ যান সবজির পাইকারি বাজারে ৷ একঘণ্টার পথ পাড়ি দেন ভ্যানে ৷ সেই ভ্য়ানে সবজি বোঝাই করে তারপর সেই সম্ভার নিয়ে হাজির হন সখের বাজারে ৷ লড়াই চলে রাত 9টা পর্যন্ত ৷ ঠায় এক জায়গায় বসে সবজি বিক্রি করেন বাংলার এই জাতীয়স্তরের হ্য়ান্ডবল খেলোয়াড় !

ইটিভি ভারতের প্রতিনিধি পৌঁছে গিয়েছিলেন শুকদেবের কাছে ৷ তাঁর প্রশ্নের জবাবে শুকদেব বলেন, "আমি খেলা শুরু করি 2013 সালে ৷ 2016 সাল থেকে একের পর এক ন্যাশনাল খেলেছি ৷ তবে, আমাদের পরিবারে অনেক সমস্যা রয়েছে ৷ আমাদের আর্থিক অবস্থা একেবারেই ভালো নয় ৷ তাই আমার একটা চাকরি খুব দরকার ছিল ৷ কিন্তু, চাকরি পাইনি ৷ তাই সবজি বিক্রি শুরু করি ৷ লকডাউনের আগে থেকেই এখানে সবজি নিয়ে বসছি ৷ লকডাউনের সময় ব্যবসা খুব মার খেয়েছিল ৷ কিন্তু, এখন পরিস্থিতি অনেকটা ভালো হয়েছে ৷"

এখনও পুরোপুরি খেলা ছেড়ে দেননি শুকদেব ৷ ছাড়বেন কীভাবে ? এই খেলা যে তাঁর ভালোবাসা ৷ তাই সপ্তাহের ছ'দিন সবজি বিক্রি করলেও একটি দিন বরাদ্দ রাখেন হ্য়ান্ডবল প্র্য়াকটিসের জন্য ৷ রবিবার তাঁর দেখা মেলে ময়দানে ৷ এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে শুকদেব বলেন, "যদি আবার সুযোগ পাই, তাহলে আমি খেলায় ফিরে যাব ৷" তবে, সেই দিন আদৌ আসবে কিনা, বা এলে কবে আসবে, তা জানা নেই এই তরুণের ৷

জাতীয়স্তরের হ্য়ান্ডবল খেলোয়াড় এখন সবজি বিক্রেতা

কলকাতা, 19 জানুয়ারি: জাতীয়স্তরের হ্য়ান্ডবল খেলোয়াড় থেকে সবজি বিক্রেতা (Handball Player Selling Vegetables) ! ভাগ্যের পরিহাসে এমনই নির্মম বাস্তবের মুখোমুখি হতে হয়েছে কলকাতার ছেলে শুকদেব গায়েনকে (Sukdeb Gayen Handball Player) ৷ শহরের সখের বাজার এলাকার শীলপাড়ার বাসিন্দা তিনি ৷ বছর কয়েক আগেও ব্যস্ত থাকতেন খেলা নিয়ে ৷ কিন্তু, এখন সেসব অতীত ৷ একটা সময় যে হাত দিয়ে বল পেটাতেন, আজ সেই হাতেই কুমড়ো কাটছেন তিনি ! তারপর সেই সবজি ওজন করে ভরে দিচ্ছেন ক্রেতার ব্যাগে ৷ বদলে মিলছে সবজির দাম ৷ সংসার চালাতে ওই টাকাটাই আজ সবথেকে বেশি জরুরি শুকদেবের কাছে ৷

2013 সালে পঞ্জাব ও দিল্লির বিরুদ্ধে বাংলার হয়ে ম্য়াচ খেলেছিলেন শুকেদব ৷ পরবর্তীতে তামিলনাড়ু, রাজস্থান, পুণে-সহ বিভিন্ন দলের বিরুদ্ধে বল হাতে মাঠে নেমেছেন ৷ জাতীয় দলের 16 জনের স্কোয়াডেও অন্যতম সদস্য ছিলেন বাংলার এই কৃতী সন্তান ৷ কিন্তু, খেলার প্রতিভা তাঁর জন্য একটা চাকরি জোগাড় করে দিতে পারেনি ৷ শুকদেবের পরিবার রয়েছেন তাঁর বৃদ্ধ বাবা ৷ রয়েছেন আরও তিন ভাই ও তাঁদের স্ত্রীরা ৷ আজকের দিনে এত বড় সংসার চালানো কম কথা নয় ৷ এদিকে, বাড়িতে হাঁড়ির হাল ৷ তাই বাধ্য হয়েই সবজি বিক্রি শুরু করেন শুকদেব ৷

আরও পড়ুন: ফুটবলার থেকে ফুড ডেলিভারি পার্টনার পৌলমী ! ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই টনক নড়ল প্রশাসনের

শুকদেবের দিন শুরু হয় ভোর পাঁচটায় ৷ একজন খেলোয়াড়ের কাছে অবশ্য সেটা কঠিন কিছু নয় ৷ তবে, তিনি খেলার মাঠে প্র্য়াকটিসে যান না ৷ যান সবজির পাইকারি বাজারে ৷ একঘণ্টার পথ পাড়ি দেন ভ্যানে ৷ সেই ভ্য়ানে সবজি বোঝাই করে তারপর সেই সম্ভার নিয়ে হাজির হন সখের বাজারে ৷ লড়াই চলে রাত 9টা পর্যন্ত ৷ ঠায় এক জায়গায় বসে সবজি বিক্রি করেন বাংলার এই জাতীয়স্তরের হ্য়ান্ডবল খেলোয়াড় !

ইটিভি ভারতের প্রতিনিধি পৌঁছে গিয়েছিলেন শুকদেবের কাছে ৷ তাঁর প্রশ্নের জবাবে শুকদেব বলেন, "আমি খেলা শুরু করি 2013 সালে ৷ 2016 সাল থেকে একের পর এক ন্যাশনাল খেলেছি ৷ তবে, আমাদের পরিবারে অনেক সমস্যা রয়েছে ৷ আমাদের আর্থিক অবস্থা একেবারেই ভালো নয় ৷ তাই আমার একটা চাকরি খুব দরকার ছিল ৷ কিন্তু, চাকরি পাইনি ৷ তাই সবজি বিক্রি শুরু করি ৷ লকডাউনের আগে থেকেই এখানে সবজি নিয়ে বসছি ৷ লকডাউনের সময় ব্যবসা খুব মার খেয়েছিল ৷ কিন্তু, এখন পরিস্থিতি অনেকটা ভালো হয়েছে ৷"

এখনও পুরোপুরি খেলা ছেড়ে দেননি শুকদেব ৷ ছাড়বেন কীভাবে ? এই খেলা যে তাঁর ভালোবাসা ৷ তাই সপ্তাহের ছ'দিন সবজি বিক্রি করলেও একটি দিন বরাদ্দ রাখেন হ্য়ান্ডবল প্র্য়াকটিসের জন্য ৷ রবিবার তাঁর দেখা মেলে ময়দানে ৷ এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে শুকদেব বলেন, "যদি আবার সুযোগ পাই, তাহলে আমি খেলায় ফিরে যাব ৷" তবে, সেই দিন আদৌ আসবে কিনা, বা এলে কবে আসবে, তা জানা নেই এই তরুণের ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.