কলকাতা, 5 মে : লকডাউনে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে আটকে পড়েছেন বহু শ্রমিক । রোজগার না থাকায় পকেটে টাকাও নেই । এতদিনে সঞ্চয়ও শেষ । অর্ধাহারে, অনাহারে দিন কাটছে তাঁদের । বিনা খরচে তাঁদের ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা কেন্দ্রীয় সরকার করছে না বলে এবার অভিযোগ তুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান । মেহুল চোকসি, বিজয় মালিয়ার প্রসঙ্গ তুলে প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, "ললিত মোদি, মেহুল চোকসি, বিজয় মালিয়ারা ঘনিষ্ঠ বন্ধু । তাই তাঁদের ঋণ মকুব করতে পারেন । অথচ নিরন্ন, দরিদ্র অসহায় মানুষের কাছ থেকে টাকা শোষণ করতে পিছপা হন না দেশের প্রধানমন্ত্রী ।"
লকডাউনে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আটকে রয়েছেন শ্রমিকরা । কেউ খেতে পাচ্ছেন না, কেউ আবার বাড়ি ভাড়া দিতে পারছেন না । এই পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়ে বাড়ি ফেরার চেষ্টা করছেন । বাড়িতে ফিরলে, নিজের জায়গায় ফিরলে কিছু তো জুটবে । কিন্তু তাঁদের থেকে পরিবহন খরচ নেওয়া হচ্ছে । গতকালই এই অভিযোগ ওঠে । যা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে মান্নান বলেন, "প্রধানমন্ত্রী সরকারের কোষাগার থেকে বিদেশ ভ্রমণের জন্য কয়েক হাজার কোটি টাকা খরচ করতে পারেন । নিজের ক্ষমতা জাহির করতে 3500 কোটিরও বেশি টাকা খরচ করে মূর্তি স্থাপন করতে পারেন । ললিত মোদি, মেহুল চোকসি, বিজয় মালিয়ার মতো ঋণখেলাপিদের 68 হাজার কোটি টাকার বেশি ঋণ মকুব করতে পারেন । অথচ নিরন্ন, দরিদ্র অসহায় মানুষের কাছ থেকে টাকা শোষণ করতে পিছপা হন না ।"
ট্রেনের টিকিটের দাম দেবে কংগ্রেস । সোনিয়া গান্ধির এই মন্তব্যটি উল্লেখ করে তিনি বলেন, "কংগ্রেসের আর্থিক অবস্থা এত করুণ যে নরেন্দ্র মোদির দলের ধারেকাছেও পৌঁছাতে পারবে না । তবুও কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধি এগিয়ে এসেছেন । বিনা খরচে শ্রমিকদের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন । ভিনরাজ্য থেকে ফেরা শ্রমিকদের ট্রেনের ভাড়া বহন করতে সমস্ত প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকে উদ্যোগ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি । এখানেই মোদিজি এবং সোনিয়াজির মধ্যে পার্থক্য । নরেন্দ্র মোদির প্রাণ কাঁদে হাজার হাজার কোটি টাকার ঋণখেলাপি ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের জন্য । আর সোনিয়া গান্ধি দুর্দশাগ্রস্ত অসহায় মানুষদের পাশে থাকার চেষ্টা করেন ।"