কলকাতা, 18 জুলাই: কলকাতায় চিকিৎসকের রহস্য মৃত্যু। প্রগতি ময়দান থানা এলাকার ঘটনা। পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার গভীর রাতে চিকিৎসক শুভঙ্কর চক্রবর্তীর দেহ তাঁর বিদেশি বান্ধবীর ফ্ল্যাটের নীচ থেকে উদ্ধার হয় । পাঁচতলা বহুতলের নীচ থেকে উদ্ধার হয় শুভঙ্কর বাবুর দেহ । ওই বহুতলেই থাকেন তাঁর বিদেশিনী বন্ধু। যিনি থাইল্যান্ডের বাসিন্দা। ওই মহিলাকে আটক করেছে পুলিশ। চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। প্রাথমিক তদন্তে নিহত চিকিৎসকের দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই। কীভাবে মৃত্যু, ঘনাচ্ছে রহস্য। ঘটনাস্থলে আসেন কলকাতা পুলিশের ডিসিডিডি আরিস বিলাল । তিনি জানান, "আঘাতের চিহ্ন না-মেলায় পাঁচতলার বহুতল থেকে পড়ে মৃত্যুর সম্ভাবনা কম । কীভাবে মৃত্যু, সেটা ময়নাতদন্তের পরই স্পষ্ট হবে। "
স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, বছর খানেক ধরে প্রগতি ময়দান থানার এলাকায় একটি ফ্ল্যাটে থাকা শুরু করেন থাইল্যান্ড নিবাসী ওই মহিলা। মাঝেমধ্যে ওই মহিলা অর্থাৎ বান্ধবীর ফ্ল্যাটে আসতেন শুভঙ্কর চক্রবর্তী। লালবাজার সুত্রের খবর, প্রত্যক্ষ্যদর্শী বলেই ওই থাইল্যান্ডবাসী মহিলাকে থানায় আটক করে আনা হয়েছে। ডাক্তারের মৃতদেহ প্রাথমিকভাবে দেখে হোমিসাইড বিভাগের গোয়েন্দাদের অনুমান, বহুতল থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছে ওই চিকিৎসকের। কেউ তাঁকে ইচ্ছাকৃতভাবে ঠেলে ফেলে দিয়েছে কি না, সেই নিয়ে তদন্ত চলছে। তবে, আঘাতের চিহ্ন না-থাকায় গোয়েন্দাদের অনুমান নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই থাইল্যান্ডবাসী ওই মহিলা ও মৃত চিকিৎসকের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। খতিয়ে দেখা হচ্ছে কল-লিস্ট ।
আরও পড়ুন: জয়পুরে হাসপাতালের শিশু বিভাগে আগুন, নিরাপদ স্থানে 30 শিশু
প্রশ্ন উঠছে, কীভাবে এতটা উপর থেকে পড়লেও শুভঙ্কর বাবুর দেহে ক্ষতচিহ্ন পাওয়া গেল না ? পাঁচতলার নীচে কীভাবেই বা এল দেহ। থাইল্যান্ড নিবাসী বান্ধবীর সঙ্গেই কি সোমবার রাতে দেখা করতে এসেছিলেন তিনি । একাধিক প্রশ্ন ঘোরাফেরা করলেও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না-আসা পর্যন্ত কোনও কিছু বলা যাাচ্ছে না বলেই পুলিশর তরফে জানানো হয়েছে।