ETV Bharat / state

জমি হাতাতেই যোধপুর পার্কে বৃদ্ধাকে খুন, গ্রেপ্তার প্রতিবেশী - old lady murder at jodhpur park

দু'মাসের মধ্যে দক্ষিণ যোধপুর পার্কে বৃদ্ধা খুনের কিনারা কলকাতা পুলিশ । খুনের মূল ষড়যন্ত্রকারী দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেপ্তার করল । বৃদ্ধার ফ্ল্যাট হাতাতেই তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে অনুমান পুলিশের ।

ছবিটি প্রতীকী
author img

By

Published : Jun 26, 2019, 1:59 PM IST

Updated : Jun 26, 2019, 2:11 PM IST

কলকাতা, ২৬ জুন : আগেই গ্রেপ্তার হয়েছিল দু'জন। যোধপুর পার্কের বৃদ্ধা শ্যামলী ঘোষ খুনের 48 ঘণ্টার মধ্যেই। ধৃত দু'জন টাকার লোভে সুপারি কিলারের কাজ করেছিল। তখনই তদন্তকারীরা টের পেয়েছিলেন চক্রান্তকারী অন্য কেউ। সেই তদন্তের জাল এবার গুটিয়ে আনল কলকাতা পুলিশ। ওই খুনের ঘটনায় ধৃত নিহত শ্যামলী ঘোষের প্রতিবেশী দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় । শ্যামলীর ফ্ল্যাট হাতিয়ে নিতেই এই খুন করা বলে অনুমান পুলিশের।

৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার হঠাৎই ১৪১, যোধপুর পার্কের চারতলা ফ্ল্যাটের তিনতলায় থেকে দুর্গন্ধ ছড়ায়। পড়শিদের টেকা মুশকিল হয়ে গেছিল। সেই ফ্ল্যাটেই একা থাকতেন শ্যামলীদেবী। অনেক ডাকাডাকির পর, দরজা না খোলায় পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে বৃদ্ধার বোন এসে ডুপ্লিকেট চাবি দিয়ে ফ্ল্যাটের দরজা খোলেন। লেক থানার পুলিশ দেখতে পায় মেঝেয় পড়ে রয়েছে শ্যামলীদেবীর দেহ।

মাথার পিছনে আঘাতের চিহ্ন ৷ তদন্তে নামে পুলিশ । ঘর থেকে উদ্ধার হয় একটি ডায়েরি। বৃদ্ধার বোন জানান, রোজ ডায়েরি লেখার অভ্যাস ছিল দিদির। এবার তদন্তকারী অফিসার মন দিয়ে ওর ডায়েরি পড়তে শুরু করেন। সেখানেই বৃদ্ধা লিখেছিলেন প্রাণহানির আশঙ্কার কথা।

সেই সূত্র ধরেই পুলিশ গ্রেপ্তার করে আবাসনের মালি স্বপন মণ্ডল এবং নিরাপত্তারক্ষী সঞ্জীব দাসকে। তারা স্বীকার করে নেয় খুনের কথা। প্রথমটায় না জানালেও পরে ওই দু'জন তদন্তকারীদের জানায়, ঘটনায় আরও একজনের যোগ রয়েছে। সেই ব্যক্তিই পরিকল্পনা করেছিল খুনের। পুলিশ ফের ওলটায় ডায়েরির পাতা। সেখানে বেশ কয়েকজনের নাম লিখে গেছিলেন শ্যামলীদেবী। ধৃতদের বয়ান আর পারিপার্শ্বিকতা খতিয়ে দেখার পরই গতরাতে গ্রেপ্তার করা হয় দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

কলকাতা, ২৬ জুন : আগেই গ্রেপ্তার হয়েছিল দু'জন। যোধপুর পার্কের বৃদ্ধা শ্যামলী ঘোষ খুনের 48 ঘণ্টার মধ্যেই। ধৃত দু'জন টাকার লোভে সুপারি কিলারের কাজ করেছিল। তখনই তদন্তকারীরা টের পেয়েছিলেন চক্রান্তকারী অন্য কেউ। সেই তদন্তের জাল এবার গুটিয়ে আনল কলকাতা পুলিশ। ওই খুনের ঘটনায় ধৃত নিহত শ্যামলী ঘোষের প্রতিবেশী দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় । শ্যামলীর ফ্ল্যাট হাতিয়ে নিতেই এই খুন করা বলে অনুমান পুলিশের।

৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার হঠাৎই ১৪১, যোধপুর পার্কের চারতলা ফ্ল্যাটের তিনতলায় থেকে দুর্গন্ধ ছড়ায়। পড়শিদের টেকা মুশকিল হয়ে গেছিল। সেই ফ্ল্যাটেই একা থাকতেন শ্যামলীদেবী। অনেক ডাকাডাকির পর, দরজা না খোলায় পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে বৃদ্ধার বোন এসে ডুপ্লিকেট চাবি দিয়ে ফ্ল্যাটের দরজা খোলেন। লেক থানার পুলিশ দেখতে পায় মেঝেয় পড়ে রয়েছে শ্যামলীদেবীর দেহ।

মাথার পিছনে আঘাতের চিহ্ন ৷ তদন্তে নামে পুলিশ । ঘর থেকে উদ্ধার হয় একটি ডায়েরি। বৃদ্ধার বোন জানান, রোজ ডায়েরি লেখার অভ্যাস ছিল দিদির। এবার তদন্তকারী অফিসার মন দিয়ে ওর ডায়েরি পড়তে শুরু করেন। সেখানেই বৃদ্ধা লিখেছিলেন প্রাণহানির আশঙ্কার কথা।

সেই সূত্র ধরেই পুলিশ গ্রেপ্তার করে আবাসনের মালি স্বপন মণ্ডল এবং নিরাপত্তারক্ষী সঞ্জীব দাসকে। তারা স্বীকার করে নেয় খুনের কথা। প্রথমটায় না জানালেও পরে ওই দু'জন তদন্তকারীদের জানায়, ঘটনায় আরও একজনের যোগ রয়েছে। সেই ব্যক্তিই পরিকল্পনা করেছিল খুনের। পুলিশ ফের ওলটায় ডায়েরির পাতা। সেখানে বেশ কয়েকজনের নাম লিখে গেছিলেন শ্যামলীদেবী। ধৃতদের বয়ান আর পারিপার্শ্বিকতা খতিয়ে দেখার পরই গতরাতে গ্রেপ্তার করা হয় দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

Intro:কলকাতা, ২৬ জুন: আগেই গ্রেপ্তার হয়েছিল দুজন। যোধপুর পার্কের বৃদ্ধা শ্যামলী ঘোষ খুনের 48 ঘণ্টার মধ্যেই। ধৃত দুজন টাকার লোভে সুপারি কিলারের কাজ করেছিল। তখনই তদন্তকারীরা টের পেয়েছিলেন চক্রান্তকারী অন্য কেউ। সেই তদন্তের জাল এবার গুটিয়ে আনলো কলকাতা পুলিশ। ওই খুনের ঘটনায় ধৃত দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় নিহত শ্যামলী ঘোষের প্রতিবেশী। শ্যামলীর ফ্ল্যাট হাতিয়ে নিতেই এই খুন করা বলে অনুমান পুলিশের।Body:গত ৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার হঠাৎই ১৪১, যোধপুর পার্কের চারতলা ফ্ল্যাটের তিনতলায় থেকে দুর্গন্ধ ছড়ায়। পড়শিদের টেকা মুশকিল হয়ে গিয়েছিল। সেই ফ্ল্যাটেই একা থাকতেন শ্যামলীদেবী। অনেক ডাকাডাকির পর, দরজা না খোলায় পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে বৃদ্ধার বোন এসে ডুপ্লিকেট চাবি দিয়ে ফ্ল্যাটের দরজা খোলেন। লেক থানার পুলিশ দেখতে পায় মেঝেয় পড়ে রয়েছেন শ্যামলীদেবী। মাথার পিছনে আঘাতের চিহ্ন৷ তদন্তে নামে পুলিশ। তাকে উদ্ধার হয় একটি ডায়েরি। শামলী দেবীর বোন জানান, রোজ ডায়েরি লেখার অভ্যাস ছিল দিদির। এবার তদন্তকারী অফিসার মন দিয়ে ওর ডায়েরি পড়তে শুরু করেন। সেখানেই বৃদ্ধা লিখেছিলেন প্রাণহানির আশঙ্কার কথা।Conclusion:সেই সূত্র ধরেই পুলিশ গ্রেপ্তার করে আবাসনের মালি স্বপন মণ্ডল এবং নিরাপত্তারক্ষী সঞ্জীব দাসকে। তারা স্বীকার করে নেয় খুনের কথা। প্রথমটায় না জানালেও পরে ওই দুজন তদন্তকারীদের জানায়, ঘটনায় আরও একজনের যোগ রয়েছে। সেই ব্যক্তিই পরিকল্পনা করেছিলেন খুনের। পুলিশ ফের ওল্টায় ডায়েরির পাতা। সেখানে বেশ কয়েকজনের নাম লিখে গিয়েছিলেন শ্যামলীদেবী। ধৃতদের বয়ান আর পারিপার্শ্বিকতা খতিয়ে দেখার পরেই গতরাতে গ্রেপ্তার করা হয় দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
Last Updated : Jun 26, 2019, 2:11 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.