ETV Bharat / state

পৌরভোটের প্রচারে যথেষ্ট সময় চেয়ে নির্বাচন কমিশনে BJP-র প্রতিনিধি দল - কলকাতা

আজ রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সদর দপ্তরে আসে মুকুল রায়ের নেতৃত্বাধীন BJP-র এক প্রতিনিধি দল । পৌরভোটের আগে প্রচারের জন্য যথেষ্ট সময় চেয়ে আবেদন করেছে তারা ।

মুকুল রায়
মুকুল রায়
author img

By

Published : Feb 20, 2020, 7:10 PM IST

কলকাতা, 20 ফেব্রুয়ারি : প্রচারের জন্য যথেষ্ট সময় চাই । কিন্তু, 27 মার্চ পর্যন্ত উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা থাকায় সেই সময় পাওয়া যাবে না । আর সেই কারণেই এবার BJP-র তরফে নির্বাচন কমিশনে গেলেন মুকুল রায় । প্রচারের জন্য যথেষ্ট সময় দেওয়ার দাবি জানান তিনি।

সরকারিভাবে লিখিত প্রস্তাব এখনও যায়নি ঠিকই । তবে নবান্ন সূত্রে খবর, পৌরভোটের প্রস্তাবিত দিন চূড়ান্ত করে ফেলেছে রাজ্য সরকার । পৌর ও নগর উন্নয়ন দপ্তর সূত্রে খবর, ট্র্যাডিশন কিছুটা বদলে ফেলে এবার কলকাতার সঙ্গেই ভোট হবে হাওড়া পৌরনিগমের । শেষবারও শুধুমাত্র কলকাতায় আলাদা নির্বাচন হয়েছিল । 15 দিন পর হয় বাকি পৌরসভাগুলির নির্বাচন । সব ঠিক থাকলে এবারও তেমনটাই হতে চলেছে । সূত্রের খবর, এবার 12 এপ্রিল কলকাতা, হাওড়া পৌরনিগম এবং 26 এপ্রিল বাকি পৌরসভা ও পৌরনিগমগুলির ভোটের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনে । সাধারণভাবে রাজ্যের পাঠানো প্রস্তাবেই সিলমোহর দেয় রাজ্য নির্বাচন কমিশন । এবারও তার ব্যতিক্রম হওয়ার কথা নয় । যদিও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে একদিনে 102টি পৌরসভা ও পৌরনিগমের ভোট করা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করা হয়েছিল । কমিশন চেয়েছিল কয়েকটি দফায় ভোট করতে । কিন্তু, মীরা পান্ডের মতো কয়েকজন ব্যতিক্রমী নির্বাচন কমিশনার ছাড়া ভোট প্রক্রিয়া নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে ঝামেলায় জড়াতে চাননি কোনও নির্বাচন কমিশনার । সেই ট্র্যাডিশন বজায় থাকলে ধরেই নেওয়া যায়, আগামী 12 এবং 26 এপ্রিল হতে চলেছে রাজ্যের পৌরসভা এবং পৌরনিগমের ভোট ।

পৌর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের তরফে যে খবর পাওয়া যাচ্ছে, তাতে ব্যারাকপুর এলাকার 8টি পৌরসভার ভোট এখনই হবে না । কারণ, রাজ্য সরকার ব্যারাকপুরকে পৌরনিগম হিসেবে তৈরি করতে চাইছে । যদিও রাজনৈতিক মহলের বিশ্লেষণ, BJP সাংসদ অর্জুন সিং এবার ওই অঞ্চলের পৌরসভাগুলির দখল পেতে চেষ্টা চালাবেন । ইতিহাস বলছে, শক্ত বিরোধিতা থাকলে ওই এলাকার ভোট রক্তাক্ত হয় । এমনিতেই কিছুদিন আগে পর্যন্ত অশান্ত ছিল ভাটপাড়া-গারুলিয়া-কাঁকিনাড়ার মতো কয়েকটি এলাকা । এই মুহূর্তে সেখানে ভোট হলে অশান্তি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে । কিন্তু, প্রশান্ত কিশোরের রণকৌশল বলছে, কোনওভাবেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের ছবি ফিরিয়ে আনা যাবে না । কারণ পঞ্চায়েত ভোট মানুষের মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া ফেলেছিল বলেই লোকসভা নির্বাচনে তার অনেকটা প্রতিফলন ঘটেছিল বলে মনে করা হচ্ছে । বিধানসভা নির্বাচনের আগে তাই কোনওভাবেই শহুরে ভোটারদের মনে এই বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হতে দেওয়া যাবে না । হয়তো সেই কারণেই ব্যারাকপুর পৌরনিগমের তৈরির প্রক্রিয়ার কথা মাথায় রেখে ওই এলাকার ভোট পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে । সঙ্গে সিউড়ি এবং বোলপুরের ভোট হওয়াও সম্ভব নয় ।

প্রচারে যথেষ্ট সময় চেয়ে নির্বাচন কমিশনে মুকুল রায়

আজ মুকুল রায়ের নেতৃত্বাধীন BJP-র এক প্রতিনিধি দল রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সদর দপ্তরে আসে । রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে তারা জানায়, সংবাদমাধ্যমে তারা দেখেছে 12 এপ্রিল কলকাতা এবং হাওড়ায় পৌরভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজ্য সরকার । কিন্তু ওইদিন ভোট করা হলে প্রচারের জন্য যথেষ্ট সময় পাওয়া যাবে না । বিষয়টি যেন নির্বাচন কমিশন বিবেচনার মধ্যে রাখে । তারপর মুকুল রায় বলেন, "রাজ্য সরকার চাইছে না পৌরভোটে বিরোধীরা প্রচার করুক । সেই কারণে এমন দিন নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে । অথচ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে কাছে প্রচারের জন্য অন্তত 24 দিন সময় দিতে হবে ।" যদিও নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, এই সময় নির্ধারিত করা আছে 14 দিন । অন্যদিকে, রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অনেকে মনে করছে, আসলে কলকাতা এবং হাওড়ায় পৌরভোটের জন্য একেবারেই তৈরি নয় BJP । সেখানে সাংগঠনিক দিক থেকেও তারা দুর্বল । আর সেই কারণে BJP চাইছে যতটা পারা যায় সময় নিতে ।

কলকাতা, 20 ফেব্রুয়ারি : প্রচারের জন্য যথেষ্ট সময় চাই । কিন্তু, 27 মার্চ পর্যন্ত উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা থাকায় সেই সময় পাওয়া যাবে না । আর সেই কারণেই এবার BJP-র তরফে নির্বাচন কমিশনে গেলেন মুকুল রায় । প্রচারের জন্য যথেষ্ট সময় দেওয়ার দাবি জানান তিনি।

সরকারিভাবে লিখিত প্রস্তাব এখনও যায়নি ঠিকই । তবে নবান্ন সূত্রে খবর, পৌরভোটের প্রস্তাবিত দিন চূড়ান্ত করে ফেলেছে রাজ্য সরকার । পৌর ও নগর উন্নয়ন দপ্তর সূত্রে খবর, ট্র্যাডিশন কিছুটা বদলে ফেলে এবার কলকাতার সঙ্গেই ভোট হবে হাওড়া পৌরনিগমের । শেষবারও শুধুমাত্র কলকাতায় আলাদা নির্বাচন হয়েছিল । 15 দিন পর হয় বাকি পৌরসভাগুলির নির্বাচন । সব ঠিক থাকলে এবারও তেমনটাই হতে চলেছে । সূত্রের খবর, এবার 12 এপ্রিল কলকাতা, হাওড়া পৌরনিগম এবং 26 এপ্রিল বাকি পৌরসভা ও পৌরনিগমগুলির ভোটের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনে । সাধারণভাবে রাজ্যের পাঠানো প্রস্তাবেই সিলমোহর দেয় রাজ্য নির্বাচন কমিশন । এবারও তার ব্যতিক্রম হওয়ার কথা নয় । যদিও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে একদিনে 102টি পৌরসভা ও পৌরনিগমের ভোট করা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করা হয়েছিল । কমিশন চেয়েছিল কয়েকটি দফায় ভোট করতে । কিন্তু, মীরা পান্ডের মতো কয়েকজন ব্যতিক্রমী নির্বাচন কমিশনার ছাড়া ভোট প্রক্রিয়া নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে ঝামেলায় জড়াতে চাননি কোনও নির্বাচন কমিশনার । সেই ট্র্যাডিশন বজায় থাকলে ধরেই নেওয়া যায়, আগামী 12 এবং 26 এপ্রিল হতে চলেছে রাজ্যের পৌরসভা এবং পৌরনিগমের ভোট ।

পৌর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের তরফে যে খবর পাওয়া যাচ্ছে, তাতে ব্যারাকপুর এলাকার 8টি পৌরসভার ভোট এখনই হবে না । কারণ, রাজ্য সরকার ব্যারাকপুরকে পৌরনিগম হিসেবে তৈরি করতে চাইছে । যদিও রাজনৈতিক মহলের বিশ্লেষণ, BJP সাংসদ অর্জুন সিং এবার ওই অঞ্চলের পৌরসভাগুলির দখল পেতে চেষ্টা চালাবেন । ইতিহাস বলছে, শক্ত বিরোধিতা থাকলে ওই এলাকার ভোট রক্তাক্ত হয় । এমনিতেই কিছুদিন আগে পর্যন্ত অশান্ত ছিল ভাটপাড়া-গারুলিয়া-কাঁকিনাড়ার মতো কয়েকটি এলাকা । এই মুহূর্তে সেখানে ভোট হলে অশান্তি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে । কিন্তু, প্রশান্ত কিশোরের রণকৌশল বলছে, কোনওভাবেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের ছবি ফিরিয়ে আনা যাবে না । কারণ পঞ্চায়েত ভোট মানুষের মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া ফেলেছিল বলেই লোকসভা নির্বাচনে তার অনেকটা প্রতিফলন ঘটেছিল বলে মনে করা হচ্ছে । বিধানসভা নির্বাচনের আগে তাই কোনওভাবেই শহুরে ভোটারদের মনে এই বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হতে দেওয়া যাবে না । হয়তো সেই কারণেই ব্যারাকপুর পৌরনিগমের তৈরির প্রক্রিয়ার কথা মাথায় রেখে ওই এলাকার ভোট পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে । সঙ্গে সিউড়ি এবং বোলপুরের ভোট হওয়াও সম্ভব নয় ।

প্রচারে যথেষ্ট সময় চেয়ে নির্বাচন কমিশনে মুকুল রায়

আজ মুকুল রায়ের নেতৃত্বাধীন BJP-র এক প্রতিনিধি দল রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সদর দপ্তরে আসে । রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে তারা জানায়, সংবাদমাধ্যমে তারা দেখেছে 12 এপ্রিল কলকাতা এবং হাওড়ায় পৌরভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজ্য সরকার । কিন্তু ওইদিন ভোট করা হলে প্রচারের জন্য যথেষ্ট সময় পাওয়া যাবে না । বিষয়টি যেন নির্বাচন কমিশন বিবেচনার মধ্যে রাখে । তারপর মুকুল রায় বলেন, "রাজ্য সরকার চাইছে না পৌরভোটে বিরোধীরা প্রচার করুক । সেই কারণে এমন দিন নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে । অথচ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে কাছে প্রচারের জন্য অন্তত 24 দিন সময় দিতে হবে ।" যদিও নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, এই সময় নির্ধারিত করা আছে 14 দিন । অন্যদিকে, রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অনেকে মনে করছে, আসলে কলকাতা এবং হাওড়ায় পৌরভোটের জন্য একেবারেই তৈরি নয় BJP । সেখানে সাংগঠনিক দিক থেকেও তারা দুর্বল । আর সেই কারণে BJP চাইছে যতটা পারা যায় সময় নিতে ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.