কলকাতা, 6 অক্টোবর: কামদুনিতে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় দোষীদের সাজা কমিয়ে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট ৷ শুক্রবার উচ্চ আদালতের এই রায় বের হওয়ার পরই কান্নায় ভেঙে পড়লেন কামদুনির মৌসুমী কয়াল ও টুম্পা কয়াল ৷ হাইকোর্টের সামনের রাস্তাতেই তাঁদের কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায় ৷ তার পরও তাঁদের লড়াই জারি থাকবে, সেই বিষয়টিও এ দিন স্পষ্ট করে দিয়েছেন টুম্পা ও মৌসুমী ৷ কাঁদতে কাঁদতে এ দিন টুম্পা ও মৌসুমী বলেন, ‘‘আমরা আবার সুপ্রিম কোর্টে যাব ৷ আমরা আবার দিল্লি যাব ৷’’
2013 সালে কামদুনির এক কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ওঠে ৷ ওই মামলায় কলকাতার নগর দায়রা আদালত 2016 সালে রায় দেয় ৷ সেই রায়ে দু’জনকে ফাঁসির সাজা দেওয়া হয় ৷ চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয় ৷ কিন্তু শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে সেই সাজা একেবারে বদলে গেল ৷ ফাঁসির সাজাপ্রাপ্তদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে ৷ আর যারা যাবজ্জীবন পেয়েছিল, তাদের সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে ৷ যেহেতু ওই সাজাপ্রাপ্তরা (একজন মারা গিয়েছেন) 10 বছর জেলে কাটিয়েছে, তাই তাদের 10 হাজার টাকা বন্ডে জামিন দিয়েছে আদালত ৷
এ দিন এই রায় কলকাতা হাইকোর্ট দেওয়ার পরই কান্নায় ভেঙে পড়েন মৌসুমী ও টুম্পা কয়াল ৷ তাঁরা কামদুনি কাণ্ডে মৃত নির্যাতিতার পরিবারকে সুবিচার পাইয়ে দেওয়ার লড়াইয়ের অংশীদার ৷ এই নিয়ে পথে নেমে আন্দোলনও করেছেন তাঁরা ৷ এ দিন মৌসুমী কয়াল বলেন, ’’সব উকিল বিক্রি হয়ে গিয়েছে ৷ টাকার কাছে বিক্রি হয়ে গিয়েছে ৷ আমরা আবার সুপ্রিম কোর্টে যাব৷ আমরা আবার দিল্লি যাব ৷’’
অন্যদিকে টুম্পা কয়ালের বক্তব্য, ‘‘টাকার প্রলোভন দেখানো হয়েছে, বাড়িতে বোমা মারা হয়েছে ৷ তার পরও লড়াই করেছি ৷’’ এই ইস্যুতে নির্যাতিতার পরিবারের সদস্য়রাও বিচারব্যবস্থার প্রতি ক্ষোভ উগরে দেন ৷
আরও পড়ুন: কামদুনি-কাণ্ডে ফাঁসির দুই সাজাপ্রাপ্তকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল কলকাতা হাইকোর্ট