কলকাতা, ৮ নভেম্বর: সম্প্রতি আমেরিকার স্ট্যান্ডফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় প্রকাশ করেছে বিশ্বের সেরা বিজ্ঞানীদের ২ শতাংশের তালিকা। আর সেই তালিকায় রয়েছেন ভারতের ১ হাজার ৪৯৪ জন বিজ্ঞানী। যাদের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের বহু প্রতিষ্ঠান থেকে রয়েছেন ১৫০-র উপর বিজ্ঞানী। তালিকায় থাকা বাংলার বিজ্ঞানীদের মধ্যে যেমন কেন্দ্রীয় শিক্ষা বা গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলির বিজ্ঞানীরা রয়েছেন, তেমনি রয়েছেন যাদবপুর, কলকাতার মতো রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলির বিজ্ঞানীরাও। রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে এই তালিকায় জায়গা করে নেওয়া সবথেকে বেশি বিজ্ঞানী রয়েছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের। বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণাকারী মোট ৩০ জন বিজ্ঞানী জায়গা করে নিয়েছেন এই তালিকায়। পাশাপাশি, কলকাতা, কল্যাণী, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন বিজ্ঞানীও রয়েছেন এই তালিকায়।
স্ট্যান্ডফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সেরা বিজ্ঞানীদের তালিকা প্রকাশ হতেই হাসি চওড়া হয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী মহলে । তালিকায় তাদের মতো আর কোনও রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের এতো বিজ্ঞানী স্থান পাননি যে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ৩০ জন বিজ্ঞানী এই তালিকায় সেরা ২ শতাংশ বিজ্ঞানীর তালিকায় জায়গা পেয়েছেন। বিজ্ঞানের মোট ১৪টি বিষয়ের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা । এই সাফল্য নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাশ বলেন, "কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানের তুলনায় অনেক ধরনের আর্থিক ও পরিকাঠামোগত প্রতিবন্ধকতা থাকা সত্ত্বেও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় যে সম্মান লাভ করেছে সেটা সম্ভবপর হয়েছে কারণ, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক-শিক্ষিকা, গবেষকগণ, ছাত্র-ছাত্রী সহ সবাই সহমত পোষণ করে এগিয়ে যেতে পেরেছি। এটা প্রমাণ করে যে, অনেকে যখন বলছেন যে, পশ্চিমবঙ্গে উচ্চশিক্ষার মান কমে যাচ্ছে তাঁদের আবার ভেবে দেখা উচিত যে এটা সত্যি কি না। এটা খালি যাদবপুরের গর্ব নয়, এটা সমগ্র পশ্চিমবঙ্গের উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে গর্ব।"
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো এতো সংখ্যক না হলেও রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন বিজ্ঞানী স্থান করে নিয়েছেন এই তালিকায়। রয়েছেন কলকাতা, বর্ধমান, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক-অধ্যাপিকারা। রয়েছেন মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজির বিজ্ঞানীও। ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি অফ অ্যানিম্যাল অ্যান্ড ফিসারি সায়েন্সের (WBUAFS) এক বিজ্ঞানী ডেয়ারি এবং অ্যানিম্যাল সায়েন্সে গবেষণার জন্য স্থান পেয়েছেন এই তালিকায়।
রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও রাজ্যের বহু কেন্দ্রীয় ও একাধিক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানীরাও রয়েছেন সেরা ২ শতাংশের তালিকায়। ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (IIT) খড়্গপুর, ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (IIEST) শিবপুর, ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ কাল্টিভেশন অফ সায়েন্স (IACS), ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউট (ISI) কলকাতা, বোস ইনস্টিটিউট, ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার অ্যান্ড বিজনেস মানেজ (IISWBM), ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ , এস এন বোস ন্যাশনাল সেন্টার ফর বেসিক সায়েন্স, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়, ইন্ডিয়ান সেন্টার ফর স্পেস ফিজিক্স, ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট, সাহা ইনস্টিটিউট অফ নিউক্লিয়ার ফিজিক্স, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (NIT) দুর্গাপুর, CSIR - সেন্ট্রাল গ্লাস অ্যান্ড সেরামিক রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মতো রাজ্যের একাধিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে এই তালিকায়।