ETV Bharat / state

ওঁকে গলায় ফাঁস দিতে দেখেছি, দাবি পুরোহিতের বান্ধবীর - sidhdhartha

ঝুমা দাবি করেছেন, সিদ্ধার্থ গলায় ফাঁস লাগাতে চেষ্টা করছেন তা দরজায় চাবি লাগানোর ফুটো দিয়ে দেখতে পান তিনি ৷ সেই সময় ঝুমা নিজের ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে বারবার দরজা ধাক্কা দিয়েছিলেন । তাঁদের ধাক্কায় দরজা খুলে যায় ৷ গলার ফাঁস কেটে নিয়ে যান বিদ্যাসাগর হাসপাতালে । সেখানে মৃত বলে ঘোষণা করা হয় সিদ্ধার্থকে ।

behala
author img

By

Published : Aug 27, 2019, 4:11 AM IST

Updated : Aug 27, 2019, 7:22 AM IST

কলকাতা, 27 অগাস্ট: বেহালা সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দিরের প্রধান পুরোহিত সিদ্ধার্থ ভট্টাচার্য মদ্যপ অবস্থায় নিজের গলায় ফাঁস লাগিয়েছিলেন । পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে উঠে আসছে এমন তথ্যই । সিদ্ধার্থের মৃত্যুতে তাঁর বান্ধবী ঝুমা রায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করেই এমন তথ্য পেয়েছে পুলিশ ।

ঝুমা দাবি করেছেন, সিদ্ধার্থ গলায় ফাঁস লাগাতে চেষ্টা করছেন তা দরজায় চাবি লাগানোর ফুটো দিয়ে দেখতে পান তিনি ৷ সেই সময় ঝুমা নিজের ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে বারবার দরজা ধাক্কা দিয়েছিলেন । তাঁদের ধাক্কায় দরজা খুলে যায় ৷ গলার ফাঁস কেটে নিয়ে যান বিদ্যাসাগর হাসপাতালে । সেখানে মৃত বলে ঘোষণা করা হয় সিদ্ধার্থকে ।

পুলিশ সূত্রে খবর, জিজ্ঞাসাবাদে ঝুমা জানিয়েছেন, সাধারণভাবে রাতে সিদ্ধার্থ তাঁর বাড়িতেই ঘুমোতেন । মাঝে দু-তিনদিন পর্ণশ্রী রবীন্দ্রনগরের 542 FMB রোডের ঝুমার বাড়িতে আসেননি সিদ্ধার্থ । সেই সময়টায় তিনি থাকছিলেন ব্রাহ্মসমাজ রোডে নিজের বাড়িতে ।

ঝুমা জেরায় জানান, গতকাল বিকেলে সিদ্ধার্থ মদ্যপ অবস্থায় ঝুমার বাড়িতে আসেন । সঙ্গে আনেন একটি মদের বোতল । তিনি ওখানে মদ্যপানও করেন । তারপর ঝুমার পোষ্য কুকুরকে মেরে ফ্ল্যাট থেকে বের করে দেন । তখন ফ্ল্যাটে ঝুমা এবং সিদ্ধার্থ ছিলেন । ঝুমার ছেলে ধ্রুব ফ্ল্যাটের বাইরে ছিল ৷ কুকুরকে মারা নিয়ে বান্ধবী ঝুমার সঙ্গে সিদ্ধার্থর বচসা হয় । এর পর কুকুরকে ধরে আনার জন্য ঝুমা ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে যান । তখন ঘরের দরজার ছিটকিনি লাগিয়ে দেন সিদ্ধার্থ । ঝুমা একা কুকুরটিকে ধরে আনতে পারছিলেননা ৷ তখন তিনি ছেলে ধ্রবকে ডাকেন । সে গিয়ে কুকুরটিকে ধরে নিয়ে আসে ৷ ফ্ল্যাটে ফিরে ঘরের দরজা বন্ধ দেখে তখন আর সিদ্ধার্থকে ডাকেননি ঝুমা ৷ এর পর প্রায় এক ঘন্টা সিদ্ধার্থ দরজা না খোলায় সন্দেহ হয় ঝুমার ৷ বারবার ধাক্কা দিতে থাকেন দরজায় । দরজা খোলেননি সিদ্ধার্থ ।

ঘড়ির কাঁটা 12টা পেরিয়ে গিয়েছে দেখে এরপর দরজার চাবির ফুটো দিয়ে ভিতরে দেখার চেষ্টা করেন ঝুমা ৷ তাঁর দাবি, ''আমি দেখি সিদ্ধার্থ গলায় দড়ি দেওয়ার চেষ্টা করছে । ছেলের সাহায্য নিয়ে কোনওভাবে দরজা খুলি । ততক্ষণে সিদ্ধার্থ গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলে পড়েছেন । বটি দিয়ে সিদ্ধার্থর গলার দড়ি কাটি ৷ নিয়ে যাই বিদ্যাসাগর হাসপাতালে । চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন সেখানে ৷''

কলকাতা, 27 অগাস্ট: বেহালা সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দিরের প্রধান পুরোহিত সিদ্ধার্থ ভট্টাচার্য মদ্যপ অবস্থায় নিজের গলায় ফাঁস লাগিয়েছিলেন । পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে উঠে আসছে এমন তথ্যই । সিদ্ধার্থের মৃত্যুতে তাঁর বান্ধবী ঝুমা রায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করেই এমন তথ্য পেয়েছে পুলিশ ।

ঝুমা দাবি করেছেন, সিদ্ধার্থ গলায় ফাঁস লাগাতে চেষ্টা করছেন তা দরজায় চাবি লাগানোর ফুটো দিয়ে দেখতে পান তিনি ৷ সেই সময় ঝুমা নিজের ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে বারবার দরজা ধাক্কা দিয়েছিলেন । তাঁদের ধাক্কায় দরজা খুলে যায় ৷ গলার ফাঁস কেটে নিয়ে যান বিদ্যাসাগর হাসপাতালে । সেখানে মৃত বলে ঘোষণা করা হয় সিদ্ধার্থকে ।

পুলিশ সূত্রে খবর, জিজ্ঞাসাবাদে ঝুমা জানিয়েছেন, সাধারণভাবে রাতে সিদ্ধার্থ তাঁর বাড়িতেই ঘুমোতেন । মাঝে দু-তিনদিন পর্ণশ্রী রবীন্দ্রনগরের 542 FMB রোডের ঝুমার বাড়িতে আসেননি সিদ্ধার্থ । সেই সময়টায় তিনি থাকছিলেন ব্রাহ্মসমাজ রোডে নিজের বাড়িতে ।

ঝুমা জেরায় জানান, গতকাল বিকেলে সিদ্ধার্থ মদ্যপ অবস্থায় ঝুমার বাড়িতে আসেন । সঙ্গে আনেন একটি মদের বোতল । তিনি ওখানে মদ্যপানও করেন । তারপর ঝুমার পোষ্য কুকুরকে মেরে ফ্ল্যাট থেকে বের করে দেন । তখন ফ্ল্যাটে ঝুমা এবং সিদ্ধার্থ ছিলেন । ঝুমার ছেলে ধ্রুব ফ্ল্যাটের বাইরে ছিল ৷ কুকুরকে মারা নিয়ে বান্ধবী ঝুমার সঙ্গে সিদ্ধার্থর বচসা হয় । এর পর কুকুরকে ধরে আনার জন্য ঝুমা ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে যান । তখন ঘরের দরজার ছিটকিনি লাগিয়ে দেন সিদ্ধার্থ । ঝুমা একা কুকুরটিকে ধরে আনতে পারছিলেননা ৷ তখন তিনি ছেলে ধ্রবকে ডাকেন । সে গিয়ে কুকুরটিকে ধরে নিয়ে আসে ৷ ফ্ল্যাটে ফিরে ঘরের দরজা বন্ধ দেখে তখন আর সিদ্ধার্থকে ডাকেননি ঝুমা ৷ এর পর প্রায় এক ঘন্টা সিদ্ধার্থ দরজা না খোলায় সন্দেহ হয় ঝুমার ৷ বারবার ধাক্কা দিতে থাকেন দরজায় । দরজা খোলেননি সিদ্ধার্থ ।

ঘড়ির কাঁটা 12টা পেরিয়ে গিয়েছে দেখে এরপর দরজার চাবির ফুটো দিয়ে ভিতরে দেখার চেষ্টা করেন ঝুমা ৷ তাঁর দাবি, ''আমি দেখি সিদ্ধার্থ গলায় দড়ি দেওয়ার চেষ্টা করছে । ছেলের সাহায্য নিয়ে কোনওভাবে দরজা খুলি । ততক্ষণে সিদ্ধার্থ গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলে পড়েছেন । বটি দিয়ে সিদ্ধার্থর গলার দড়ি কাটি ৷ নিয়ে যাই বিদ্যাসাগর হাসপাতালে । চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন সেখানে ৷''

Intro:কলকাতা 26 আগস্ট: বেহালা সিদ্ধেশ্বরী মন্দিরের প্রধান পুরোহিত সিদ্ধার্থ ভট্টাচার্য মদ্যপ অবস্থায় নিজের গলায় ফাঁস লাগিয়ে ছিলেন। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে উঠে আসছে এমন তথ্যই। সিদ্ধার্থের মৃত্যুতে বান্ধবী ঝুমা রায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করেই এমন তথ্য পেয়েছে পুলিশ। ঝুমা দাবি করেছেন, দড়জায় চাবি লাগানোর ফুটো দিয়ে গলায় ফাঁস লাগাতে চেষ্টা করছেন দেখে, তিনি বারবার দরজা ধাক্কা দিয়েছিলেন। পরে কোনও ভাবে দরজা খুলে ভেতরে ঢুকে বটি দিয়ে গলার ফাঁস কেটে ফেলেন। তারপর নিয়ে যান বিদ্যাসাগর হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। যদিও সিদ্ধার্ত আত্মহত্যা করেছেন কিনা তা পরিষ্কার হবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরেই।Body:পুলিশ সূত্রে খবর, জিজ্ঞাসাবাদে ঝুমা জানিয়েছেন, সাধারণভাবে রাতে সিদ্ধার্থ তার বাড়িতেই ঘুমোতেন। মাঝে দু-তিনদিন পর্ণশ্রী রবীন্দ্রনগরের 542 এফ এমবি রোডের ঝুমার বাড়িতে আসেননি তিনি। সেই সময়টায় থাকছিলেন, ব্রাহ্মসমাজ রোডে তাঁর নিজের বাড়িতে। গতকাল বিকেলে তিনি মদ্যপ অবস্থায় ঝুমার বাড়িতে আসেন। সঙ্গে আনেন একটি মদের বোতল। সেটিও তিনি ওখানে পান করেন। তারপর ঝুমার পোষ্য কুকুরকে লাথি মেরে ঘর থেকে বের করে দেন। তখন ফ্ল্যাটে ঝুমা এবং সিদ্ধার্থ ছিলেন। তাঁর ছেলে ধ্রুব ছিলেন বাইরে। কুকুরকে মারা নিয়ে বান্ধবী ঝুমার সঙ্গে সিদ্ধার্থর বচসা হয়। রাত তখন দশটা। কুকুরকে ধরে আনার জন্য ঝুমা ঘর থেকে বেরিয়ে যান। তখন ঘরের দরজার ছিটকিনি লাগিয়ে দেন সিদ্ধার্থ। এদিকে ঝুমা একা কুকুরটিকে ধরে রাখতে পারছিলেন না। তখন তিনি ছেলে ধ্রুবকে ডাকেন। ধ্রুব কুকুরটিকে ধরতে সক্ষম হয়। এবি মাঝে ফ্ল্যাটে ফেরত আসেন ঝুমা। বারবার ধাক্কা দিতে থাকেন দরজা। কিন্তু বৃথা চেষ্টা। দরজা খোলেননি সিদ্ধার্থ। তখন প্রায় 12:10। দরজার চাবির ফুটো দিয়ে ভেতরে দেখেন সিদ্ধার্ত গলায় দড়ি দেওয়ার চেষ্টা করছে। ধ্রুবর সাহায্য নিয়ে কোনভাবে দরজা খোলেন ঝুমা। ততক্ষণে সিদ্ধার্ত গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছে। বটি দিয়ে তৈরি করি গলার দড়ি কাটেন তিনি। তারপর যুব এবং ঝুমা সিদ্ধার্থকে নিয়ে যায় বিদ্যাসাগর হাসপাতালে।
Conclusion:গত রাতেই সিদ্ধার্থর শ্যালক মিলন ব্যানার্জি পর্ণশ্রী থানায় যান। সেখানে তিনি সিদ্ধার্থর মৃত্যুর বিষয়ে খবর দেন পুলিশকে। তদন্তে জানা যায়, সিদ্ধার্থের স্ত্রীর নাম গৌতমী ভট্টাচার্য। তাদের দুই ছেলে রয়েছে। পাশাপাশি সিদ্ধার্থর অবৈধ সম্পর্ক ছিল ঝুমার সঙ্গে। দুই পরিবারই পুরো বিষয়টি জানতো। বিষয়টি নিয়ে আইনি জটিলতাও রয়েছে। গৌতমী ঝুমা বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ আনলেও এখনো পর্যন্ত পুলিশের কোন অভিযোগ দায়ের হয়নি বলেই খবর। পাশাপাশি প্রাথমিকভাবে সিদ্ধার্থ শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
Last Updated : Aug 27, 2019, 7:22 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.