কলকাতা, 21 মার্চ : কারামন্ত্রী তাঁর রিপোর্টে জানিয়েছেন, দমদম সংশোধনাগারে কোনও মৃত্যু ঘটেনি আজ । কেবল 28 জন আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন উজ্জ্বল বিশ্বাস । কিন্তু আজ সারাদিন দমদম সংশোধনাগারের ঘটনা নিয়ে যে ভিডিয়োগুলি সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে তাতে স্পষ্ট দেখা গিয়েছে, দেহ পড়ে থাকতে । আর বিতর্ক বহুগুণ বেড়েছে যেভাবে রাতে দুটি অ্যাম্বুলেন্স বেরিয়ে যায় সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হতে । অ্যাম্বুলেন্সে থাকা এক কর্মীকে (সঠিক পরিচয় জানা যায়নি) বলতে শোনা গিয়েছে, তার ভিতরে মৃতদেহ(ডেড বডি) থাকার কথা । কিন্তু মন্ত্রীর রিপোর্টে বলা হল, একটিও মৃত্যু ঘটেনি । তাহলে কি কিছু ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে রাজ্য প্রশাসন ?
আজ সকাল থেকে দমদম সংশোধনাগারের ঘটনা রীতিমতো বিতর্ক ছড়িয়েছে । গোটা রাজ্য প্রশাসনের দিকে অভিযোগের আঙুল উঠেছে । বন্দীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে মানবাধিকার সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত মানুষজন । যেভাবে জেলের মধ্যে পুলিশের গুলি চালানোর ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে,স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে এমন ঘটেছে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ।
এই সংক্রান্ত আরও খবর : দমদম সংশোধনাগারে ধুন্ধুমার,পুলিশের গুলি; মৃত 2
পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোড়া, সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, কম্বলে আগুন লাগিয়ে ছুড়ে দেওয়া, পাঁচিল টপকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা, কী ঘটেনি আজ দমদম সংশোধনাগারে । পরিস্থিতি এতোটাই তপ্ত হয়ে উঠেছিল যে, প্রথমে কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটিয়ে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলেছিল । কিন্তু দফায় দফায় যেভাবে সংঘর্ষ বাড়ে তা কারাকর্মীদের এবং দায়িত্বপ্রাপ্তদের ব্যর্থতার দিকেই আঙুল তুলছে দিনের শেষে ।
পরিস্থিতি যখন কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা করছে তখনই দুটি অ্যাম্বুলেন্স ঘিরে জল্পনা শুরু হয়ে তুমুল । যেন রাতের অন্ধকারে লোকচক্ষু এড়িয়ে অ্যাম্বুলেন্স দুটি পুলিশি নিরাপত্তার বেড়াজালে বাইরে চলে যায় । নিরাপত্তা এতোটাই কড়া ছিল যে, অ্যাম্বুলেন্সের ধারেকাছে যেতেই পুলিশকর্মীরা রীতিমতো পাকড়াও করে সরিয়ে দেন সাংবাদিক বা বন্দীদের পরিবারের লোকজনদের । তখনই অ্যাম্বুলেন্সের ভিতরে থাকা একজনকে বলতে শোনা গিয়েছে, মৃতদেহ থাকার কথা । এরপরই দেহ লুকিয়ে অন্যত্র সরানোর জল্পনা তীব্র হয়েছে ।