কলকাতা, 15 নভেম্বর: তৃণমূল নেতাকে গুলি করে খুন করা নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছিল জয়নগরে। পালটা পিটিয়ে খুন করা হয় এক ব্যক্তিকে ৷ আর এই ঘটনা নিয়ে ফের সিপিএমকেই কার্যত কাঠগড়ায় তুললেন রাজ্যের পৌর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। একই সঙ্গে বিজেপি এবং আইএসএফ-কেও আক্রমণ করেছেন ফিরহাদ ৷ তাঁর পালটা কটাক্ষ, "তৃণমূল নেতাকে খুন করে সিপিএম ভাবছে ক্ষমতায় আসবে !"
বুধবার জয়নগর ঘটনা নিয়ে সিপিএমকে আক্রমণের পাশাপাশি বিজেপিকেও এক হাত নিয়েছেন ফিরহাদ ৷ বিজেপি এই ঘটনায় সাহায্য করছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। একই সঙ্গে, নওশাদ সিদ্দিকীকে 'ভোট কাটুয়া' বলেও কটাক্ষ করেন ফিরহাদ। এদিন তিনি বলেন, "সিপিএমের রাজনৈতিক চাল। একজন সিপিএম নেতা সুপারি দিয়ে একজন তৃণমূল নেতাকে খুন করিয়ে দেবে ! পুলিশ তদন্ত করছে, আমরা বেশি কিছু বলব না ৷ আমরা লক্ষ্য রেখেছি। দুষ্কৃতীদের ধরা হবে। বেশি করে হাইলাইট করা হচ্ছে ঘর পড়ানো ঘটনা, সেটা আমরা সমর্থন করি না।"
ফিরহাদের কথায়, "একটা তরতাজা যুবক মারা গেল। খুন থেকে নজর ঘোরাতে ঘর পড়ানো হলো কি না, সেটাও পুলিশের দেখা উচিত। এখন এরা ভাবছে তৃণমূল নেতাকে খুন করলে সিপিএম ক্ষমতায় আসবে ! সিপিএমের সেই ক্ষমতা নেই। বিজেপিকে রুখতে পারে একমাত্র তৃণমূল। আর বিজেপিকে যারা সাহায্য করে তারা ডায়মন্ডহারবারের দাঁড়িয়ে ভোট কাটুয়া হয়। রুখে দাঁড়াবে একমাত্র তৃণমূল। যারা তৃণমূলকে বাধা দেওয়া চেষ্টা করছে তারা আদতে বিজেপিকে সাহায্য করছে।"
এদিন ফিরহাদ হাকিম আরও বলেন, "আমরা বাংলার ঘরে সব ভাই-বোন এক সঙ্গে থাকি। বোনরা ভাইদের দীর্ঘায়ু কামনা করে।" এর পরেই বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে তিনি বলেন, 'আপনাদের আশীর্বাদ আমাদের লড়াই-আন্দোলনকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়াই, দেশের ঐক্যের জন্য লড়াইয়ে বোনদের আশীর্বাদ পাথেয়। এখানের ধর্মের কোনও জায়গা নেই ৷ আমার লড়াই সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে।" একই সঙ্গে ফিরহাদ বলেন, "যাদের জনসংযোগ নেই তারা তৈরির চেষ্টা করে। যারা ছোট থেকেই জনসংযোগ নিয়ে তৈরি হয়েছে, পরে রাজনৈতিক ভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তাদের আলাদা করে জনসংযোগ করতে হয় না। বুড়ো বয়সে নতুন করে এসব করে লাভ পাবে না কেউ।"
আরও পড়ুন: