ETV Bharat / state

Meeting on Dengue Situation: ডেঙ্গি নিয়ে স্বাস্থ্যভবনে বৈঠকের পর হাসপাতালগুলিতে ফিভার ক্লিনিক চালুর নির্দেশ - হাসপাতালে ফিভার ক্লিনিকের নির্দেশ

ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্তে স্বাস্থ্য দফতর থেকে ইতিমধ্যেই জারি করা হয়েছে গাইডলাইন। এবার ভার্চুয়াল বৈঠক করল স্বাস্থ্যভবন। তাতে নির্দেশ দেওয়া হল প্রতিটি হাসপাতালে ফিভার ক্লিনিক চালু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Meeting on Dengue Situation
স্বাস্থ্যভবনে বৈঠকের পর হাসপাতালে ফিভার ক্লিনিকের নির্দেশ
author img

By

Published : Jul 26, 2023, 10:43 PM IST

কলকাতা, 26 জুলাই: ক্রমেই চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গি। সূত্রের খবর, চলতি মরশুমে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে 12 জনের। স্বাস্থ্য দফতর থেকে ইতিমধ্যেই জারি করা হয়েছে গাইডলাইন। ডেঙ্গি ইস্যুতে এবার ভার্চুয়াল বৈঠক করল স্বাস্থ্যভবন। সেই বৈঠকে ঠিক হয়েছে ফিভার ক্লিনিক চালু করার কথা। প্রতিটি হাসপাতালে ফিভার ক্লিনিক চালু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রতি হাসপাতালের ল্যাবরেটরিকে সক্রিয় থাকতে হবে। দু'সপ্তাহের জন্য প্রতিটি হাসপাতালে ডেঙ্গি পরীক্ষার জন্য কিট মজুত রাখার কথাও বলা হয়েছে। তার সঙ্গে প্রতিদিন রিভিউ বৈঠক করার নির্দেশও দিয়েছে স্বাস্থ্যভবন।

সম্প্রতি, ডেঙ্গিতে একাধিক মৃত্যুর খবর মিলেছে রাজ্যে। নদিয়ার হাঁসখালির বাসিন্দা 11 বছরের জয় বিশ্বাস জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ভরতি হয়েছিল এনআরএস হাসপাতালে। 24 জুলাই হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। অন্যদিকে, বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে এক মহিলার। বছর পঁয়তাল্লিশের মৃত গৃহবধূর নাম উমা সরকার। গত 21 জুলাই ডেঙ্গি তাঁর প্রাণ কেড়ে নেয়। ওই মহিলা নদিয়ার রানাঘাটের বাসিন্দা। একটানা জ্বর ছিল উমা সরকারের। প্রথমে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল রানাঘাট হাসপাতালে। সেখান থেকে কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় ৷

আরও পড়ুন: জমা জলে কিলবিল করছে লার্ভা, পশ্চিম বর্ধমানে সেঞ্চুরি পার ডেঙ্গির

সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে কলকাতা বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভরতি করা হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। এছাড়াও
ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে 10 বছরের পল্লবী দে'র। জ্বরে আক্রান্ত হয়ে পার্ক সার্কাসের শিশু হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল তাকে। সেখানেই 22 তারিখ মৃত্যু হয় ওই নাবালিকার ৷ পাশাপাশি লেকটাউনের এক বাসিন্দা রিংকি রায়ও ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন গত 21 জুলাই ৷

চিকিৎসকের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, যদি কোনও ব্যক্তির জ্বর দু'দিনের বেশি থাকে তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। অযথা প্যারাসিটামল খেয়ে বিপদ আরও বাড়তে পারে। স্বাস্থ্যভবন থেকে জারি করা গাইডলাইনে বলা হয়েছে, রোগীর প্লেটলেট কাউন্ট 10 হাজারের নীচে নেমে গেলে প্লেটলেট দিতে হবে। যেসব রোগীদের প্লেটলেট কাউন্ট 10 থেকে 20 হাজারের মধ্যে, প্লেটলেট দেওয়ার প্রয়োজন নেই। এমনকী কোন গ্রুপের প্লেটলেট প্রয়োজন, প্রেসক্রিপশনে উল্লেখ করতে হবে।

আরও পড়ুন: রাজ্যের ইমিগ্রেশন পয়েন্টেই হোক বাংলাদেশীদের ডেঙ্গি পরীক্ষা, প্রস্তাব কলকাতা পৌরনিগমের

কলকাতা, 26 জুলাই: ক্রমেই চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গি। সূত্রের খবর, চলতি মরশুমে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে 12 জনের। স্বাস্থ্য দফতর থেকে ইতিমধ্যেই জারি করা হয়েছে গাইডলাইন। ডেঙ্গি ইস্যুতে এবার ভার্চুয়াল বৈঠক করল স্বাস্থ্যভবন। সেই বৈঠকে ঠিক হয়েছে ফিভার ক্লিনিক চালু করার কথা। প্রতিটি হাসপাতালে ফিভার ক্লিনিক চালু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রতি হাসপাতালের ল্যাবরেটরিকে সক্রিয় থাকতে হবে। দু'সপ্তাহের জন্য প্রতিটি হাসপাতালে ডেঙ্গি পরীক্ষার জন্য কিট মজুত রাখার কথাও বলা হয়েছে। তার সঙ্গে প্রতিদিন রিভিউ বৈঠক করার নির্দেশও দিয়েছে স্বাস্থ্যভবন।

সম্প্রতি, ডেঙ্গিতে একাধিক মৃত্যুর খবর মিলেছে রাজ্যে। নদিয়ার হাঁসখালির বাসিন্দা 11 বছরের জয় বিশ্বাস জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ভরতি হয়েছিল এনআরএস হাসপাতালে। 24 জুলাই হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। অন্যদিকে, বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে এক মহিলার। বছর পঁয়তাল্লিশের মৃত গৃহবধূর নাম উমা সরকার। গত 21 জুলাই ডেঙ্গি তাঁর প্রাণ কেড়ে নেয়। ওই মহিলা নদিয়ার রানাঘাটের বাসিন্দা। একটানা জ্বর ছিল উমা সরকারের। প্রথমে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল রানাঘাট হাসপাতালে। সেখান থেকে কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় ৷

আরও পড়ুন: জমা জলে কিলবিল করছে লার্ভা, পশ্চিম বর্ধমানে সেঞ্চুরি পার ডেঙ্গির

সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে কলকাতা বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভরতি করা হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। এছাড়াও
ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে 10 বছরের পল্লবী দে'র। জ্বরে আক্রান্ত হয়ে পার্ক সার্কাসের শিশু হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল তাকে। সেখানেই 22 তারিখ মৃত্যু হয় ওই নাবালিকার ৷ পাশাপাশি লেকটাউনের এক বাসিন্দা রিংকি রায়ও ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন গত 21 জুলাই ৷

চিকিৎসকের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, যদি কোনও ব্যক্তির জ্বর দু'দিনের বেশি থাকে তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। অযথা প্যারাসিটামল খেয়ে বিপদ আরও বাড়তে পারে। স্বাস্থ্যভবন থেকে জারি করা গাইডলাইনে বলা হয়েছে, রোগীর প্লেটলেট কাউন্ট 10 হাজারের নীচে নেমে গেলে প্লেটলেট দিতে হবে। যেসব রোগীদের প্লেটলেট কাউন্ট 10 থেকে 20 হাজারের মধ্যে, প্লেটলেট দেওয়ার প্রয়োজন নেই। এমনকী কোন গ্রুপের প্লেটলেট প্রয়োজন, প্রেসক্রিপশনে উল্লেখ করতে হবে।

আরও পড়ুন: রাজ্যের ইমিগ্রেশন পয়েন্টেই হোক বাংলাদেশীদের ডেঙ্গি পরীক্ষা, প্রস্তাব কলকাতা পৌরনিগমের

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.