কলকাতা, 2 নভেম্বর: লোকাল ট্রেন চালুর দাবিতে দফায় দফায় বিক্ষোভ । হুগলির বৈদ্যবাটিতে আজও রাস্তা অবরোধ এবং বিক্ষোভ হয়েছে । এরই মধ্যে নবান্নে রাজ্য সরকারের সঙ্গে বৈঠক করল পূর্ব রেলের প্রতিনিধিদল । কোরোনা বিধি মেনেই চালু হবে লোকাল ট্রেন পরিষেবা । কোন রুটে বা স্বাস্থ্যবিধি মেনে কীভাবে লোকাল ট্রেন চলবে তা ঠিক করতে বৃহস্পতিবার (5 নভেম্বর) ফের বৈঠক করবে রেল এবং রাজ্য।
নবান্ন সূত্রে খবর, 72 ঘণ্টার মধ্যে ট্রেন চালাতে প্রস্তুত দক্ষিণ ও পূর্ব রেল । প্রাথমিক ভাবে 10 শতাংশ এবং কালী পুজোর পর 25 শতাংশ ট্রেন চলবে বলে রেলের তরফে জানানো হয়েছে রাজ্য সরকারকে । তবে প্রত্যেকটি ধাপে রেল চালনার পর সংখ্যা বাড়ানোর উপরে জোর দেওয়া হয়েছে ।
পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, স্বরাষ্ট্রসচিব হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদী, রাজ্যের পরিবহনসচিব, রাজ্য পুলিশের DG-সহ অন্যান্যরা। মনে করা হচ্ছে মেট্রোর মতো লোকাল ট্রেনেও চালু হতে পারে ই-পাস । বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ই-পাস সংস্থার প্রতিনিধিও ।
মুম্বই মডেলকে অনুসরণ করে রাজ্যেও রেল চালানোর চিন্তা ভাবনা । সূত্রের খবর, কত সংখ্যক ট্রেন কতক্ষণের জন্য চলবে সেই সব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে আজকের বৈঠকে । এছাড়া রেলের নিরাপত্তা নিয়েও আজকের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে ।
আইন শৃঙ্খলা রাজ্যের এক্তিয়ারভুক্ত । তাই রাজ্যের কাছে সমস্ত রকম নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার আবেদন জানিয়েছে রেল । তবে ট্রেনের সংখ্যা কম হলে, যাত্রী বিক্ষোভ কীভাবে সামাল দেওয়া সম্ভব হবে তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে ।
প্রসঙ্গত, গত মার্চ মাস থেকে বন্ধ রয়েছে লোকাল ট্রেন পরিষেবা । দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির লাইফ লাইন বলে পরিচিত লোকাল ট্রেন । শুরু হয়েছে দফায় দফায় প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি । রেলের স্টাফ স্পেশালে ওঠা নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই বিভিন্ন স্টেশনে রেল পুলিশ ও যাত্রীদের সঙ্গে চলছে চরম সংঘাত । গতকালও হাওড়াতে জোর সংঘর্ষ হয় । আজ সকাল থেকেই রিষড়া, শেওড়াফুলি ও বৈদ্যবাটি স্টেশনে অবরোধ বিক্ষোভ চলে, যা সামাল দিতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খায় রেল প্রশাসন ।
ঘটনাগুলিকে কেন্দ্র করে চরম অস্বস্তির মধ্যে রাজ্য সরকার । অবশেষে রেল কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে আলোচনা চেয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব । যদিও রেল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকেও আগে একটি চিঠি দেওয়া হয় রাজ্যকে । রাজ্যের আবেদন মেনে আজ নবান্নে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়।