কলকাতা, 1 অগস্ট: "চোর ধরো ও জেলে ভরো" অভিযানের পর সমাবেশ থেকে তৃণমূলকে দলীয় প্রতীক বদলের পরামর্শ দিলেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম । রবিবার শ্যামবাজার পাঁচমাথার মোড়ে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে দুর্নীতি ইস্যুতে তৃণমূলকে কড়া আক্রমণ করেন তিনি । অর্থ তছরূপ, সারদা, নারদা সংক্রান্ত একাধিক দুর্নীতি মামলায় মদন, অনুব্রত, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে টেনে আক্রমণ করেন তিনি (Md Salim slams Bengal Government) । সেলিম বলেন, "তৃণমূল বিপদে পড়লে হুইল চেয়ার লাগে । ওরা বরং হুইল চেয়ারটাকেই দলীয় প্রতীক করুক ।"
সারদা-নারদা কিংবা গরুপাচার, কয়লাপাচার মামলায় তৃণমূলের একাধিক নেতা-মন্ত্রী গ্রেফতার হয়েছেন বহুবার । অধিকাংশই গ্রেফতারের পর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, ভর্তি হতে হয়েছিল এসএসকেএম-এ । ব্যবহার করতে হয়েছিল হুইল চেয়ার । মদন মিত্র, অনুব্রতর পর তাতে নতুন সংযোজন হয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় । তাঁকেও হুইল চেয়ারে করে ঘোরাতে হয়েছে । পা ভেঙে যাওয়ায় একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও হুইল চেয়ারে বসে নির্বাচনী প্রচার করতে দেখা গিয়েছিল । আর প্রত্যেকটি ঘটনাকেই সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম একযোগে কটাক্ষ করেছেন ৷
আরও পড়ুন: এক চোরকে সরিয়ে দ্বিতীয় চোরকে বসানো হবে, মন্ত্রিসভার রদবদল প্রসঙ্গে তৃণমূলকে কটাক্ষ সুকান্তর
সেলিমের কথায়, "সোশাল মিডিয়ায় এখনও ছবি আছে । অনুব্রত, মদন....এমনকী গত নির্বাচনের সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সকলেরই হুইল চেয়ারে বসে থাকার ছবি আছে । আসলে তৃণমূল যখনই বিপদে পড়ে তখনই হুইল চেয়ারের প্রয়োজন হয় । ঘাসফুলের প্রতীক বদলে হুইল চেয়ার করে নিতে পারে ।"
একুশে জুলাই মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবকেও তৃণমূলী বলে চিহ্নিত করা হয়েছিল । সেই প্রসঙ্গ টেনেও করা আক্রমণ করেন সেলিম । গোটা তৃণমূল ব্যবস্থাটা কীভাবে চলছে তার ব্যাখ্যা দেন । ঠিক তেমনই পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের একাধিক ফ্ল্যাট থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার প্রসঙ্গে তৃণমূলের নিচু স্তর থেকে সর্বোচ্চ স্তর পর্যন্ত জড়িত থাকার অভিযোগ করেন সেলিম । তিনি জানান, এই যে টাকার পাহাড় উদ্ধার হয়েছে তা একা পার্থ বা অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নয় । অর্পিতার ফ্ল্যাটে টাকা জমাতে গ্রিন করিডরের ব্যবস্থা করেছিল পুলিশ । ঠিক যেমন মানুষের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে জরুরী ভিত্তিতে গ্রিন করিডোর করা হয় । সেই পদ্ধতিতে গ্রিন করিডর করে বিভিন্ন জায়গায় টাকা জমানো হয়েছিল বলেও দাবি করেন সেলিম ।