কলকাতা, 28 সেপ্টেম্বর: 'ইন্ডিয়া' জোট নিয়ে বিভ্রান্তি কাটাতে আসরে এবার সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম ৷ জোট নিয়ে বিভ্রান্তি রয়েছে দলের একাংশের মধ্যে। সেই বিভ্রান্তি কাটাতে দলীয় কর্মী সমর্থকদের প্রশ্নের উত্তর দেবেন খোদ সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সেলিম। আর সেই লক্ষ্যে 'যুক্তি-তক্ক-গপ্পো' নামে নতুন কর্মসূচি নিতে চলেছে দল। সেখানে ইমেল মারফৎ প্রশ্ন পাঠাতে পারবেন দলের কর্মী-সমর্থকরা।
সিপিএমের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, "প্রশ্ন আপনার, উত্তর আমাদের। দেশ ও রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্নোত্তরে সিপিআই(এম) নেতৃত্ব। শীঘ্রই আসছে 'যুক্তি-তক্কো-গপ্পো' সেলিমের সাথে।" সিপিএম-এর অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলে হবে এই কর্মসূচি ৷ যে কেউ cpimdigital@gmail.com -এ প্রশ্ন পাঠাতে পারেন বলেও জানানো হয়েছে দলের তরফে।
এদিকে রাজ্য জুড়ে বেহাল রাস্তার হাল ফেরাতে গণ আন্দোলন গড়ে তুলতে চাইছে সিপিএম। একারণে '#PotherDabi' নামে সিটিজেন রিপোর্টিং শুরু করেছে দল। সাধারণের থেকে এলাকার খবর নিতে হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরও চালু করা হয়েছে। সিপিমের তরফে বলা হয়েছে, "রাস্তাঘাটে মারণফাঁদ। প্রতিদিন নাস্তানাবুদ সাধারণ মানুষ। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রোজ পথ চলছেন আপনিও। পাঠান আপনার এলাকার রাস্তার বেহালদশার তথ্য, ভিডিও, ছবি। মেল করুন cpimdigital@gmail.com-এ, অথবা হোয়াটসঅ্যাপ করুন 080179 21866 এই নম্বরে। এবং পোস্ট করুন আপনার সোশ্যাল মিডিয়া হ্যাণ্ডেলে #PotherDabi-সহ।"
লোকসভা ভোটের আগে সিপিএমের এরকম একাধিক পদক্ষেপ জনসংযোগ বাড়ানোর উদ্যোগ বলেই মনে করা হচ্ছে। এর আগে পঞ্চায়েত ভোটের আগে চালু করা হয়েছিল, 'নজরে পঞ্চায়েত' ৷ 'পাহারায় পাবলিক' নামেও কর্মসূচি চালানো হয়। এর জন্য ডিজিটাল সৈনিকও তৈরি করেছে বঙ্গ সিপিএম। জোট করেও ভোট কমছে বামেদের ৷ 2011 সালের পর থেকে রাজ্যে বামপন্থীদের হাল এমনই। বঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল সরকার গঠনের পর থেকে বামেদের ভোট ব্যাংকে ধস আটকানো যায়নি। এবার সেই ধস আটকাতে উদ্যোগী হল সিপিএম। তাঁরা সাধারণ মানুষের দুয়ারে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আরও পড়ুন: শনিবার ধুপগুড়ির বিধায়কের শপথ, চিঠি গেল রাজভবন থেকে
সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম ইতিমধ্যে প্রত্যেকটি জেলা কমিটিকে সাধরণ মানুষের দুয়ারে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। মূলত, আসন্ন শারদোৎসবে সাধারণের বাড়িতে যাওয়ার কর্মসূচি শুরু হবে। সেলিম বলেন, "উৎসবের মরশুমে মানুষের কাছে আমরা যাব। ওরা (বিরোধীরা) উদ্বোধনে ব্যস্ত থাকবে। মানুষের দাবি দাওয়া নিয়ে বাড়ি বাড়ি যাব। বিদ্যুৎ থেকে কর্মসংস্থান মানুষের সমস্যার কথা শুনবে সিপিএমের প্রতিনিধিরা। এই ভাবেই জনমত গঠন করা হবে।"