কলকাতা, 31 অগস্ট: মুম্বইয়ে 'ইন্ডিয়া'র তৃতীয় বৈঠকের আগেই রাহুল গান্ধির সঙ্গে বৃহস্পতিবার ভোরে বৈঠক করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে সেই বৈঠক নিয়েই এবার কটাক্ষ করতে শোনা গেল সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমকে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করতে গিয়ে কার্যত এক সুতোয় তিনি বাঁধলেন নরেন্দ্র মোদি এবং রাহুল গান্ধিকেও। এদিন ধর্মতলার মহাসমাবেশ থেকে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, "কোনও রাহুল, কোনও মোদি অভিষেককে বাঁচাতে পারবে না। এক মাসের মধ্যে যদি ইডি-সিবিআই অভিষেককে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ না-করে, তাহলে সিজিও কমপ্লেক্স ঘেরাও করা হবে।"
মুম্বাইয়ে এদিন থেকে শুরু হয়েছে বিজেপি বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের মহাবৈঠক। সেই বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য বুধবারই মুম্বই পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়া ওই বৈঠকে ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, রাহুল গান্ধি এবং সীতারাম ইয়েচুরিরাও। তবে মুম্বই যাওায়ার আগে এদিন অভিষেক প্রথমে যান দিল্লিতে। সেখানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যোগাযোগ করেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধির সঙ্গে। ওই বৈঠকের পরই তারা 'ইন্ডিয়া' জোটের বৈঠকে অংশ নেন ৷ আর সেই বৈঠকে ছিলেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিও। যাঁর সঙ্গে রাহুল গান্ধির সম্পর্কও বেশ বন্ধুত্বপূর্ণ। তবে কি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে এদিন কটাক্ষ করতে গিয়ে সেলিম কোনওভাবে রাহুল এবং সীতারাম ইয়েচুরিকেও কটাক্ষ করে বসলেন, প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে ৷
আরও পড়ুন: আদানিদের বিরুদ্ধে এত দুর্নীতির অভিযোগ সত্ত্বেও মোদি কেন নীরব, প্রশ্ন তুললেন রাহুল
যদিও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাহুল গান্ধির এই বৈঠক নিয়ে তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, "অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একজন সর্বভারতীয় নেতা। তাঁর সঙ্গে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতাদের বৈঠক হতেই পারে। বিজেপি বিরোধী সংগঠনগুলো একত্রিত হবে। এই বৈঠকের পর বোঝা গেল কেন্দ্রীয়স্তরে কংগ্রেস এবং তৃণমূল একসঙ্গে আছে। তবে রাজ্যস্তরে থাকবে কি না, সেটা দুই দল নিজের মতো করে সিদ্ধান্ত নেবে।"