ETV Bharat / state

'বালু দা' লেখা ডাইরিতে কোটি টাকার হিসাব, দাবি ইডি'র

Maroon colored diary recovered by ED: জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের প্রাক্তন আপ্তসহায়ক অভিজিৎ দাসের থেকে উদ্ধার হল মেরুন রঙের ডায়েরি ৷ আর তা থেকে চাঞ্চল্যকর তথ্য এসেছে তদন্তকারীদের হাতে ৷ এমনটাই দাবি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের ৷

Etv Bharat
Etv Bharat
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jan 15, 2024, 7:14 PM IST

কলকাতা, 15 জানুয়ারি: রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী বর্তমানে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর হাতে গ্রেফতার হওয়া জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের প্রাক্তন আপ্তসহায়ক অভিজিৎ দাসের ঘর থেকে উদ্ধার হওয়া একটি মেরুন রঙের ডায়েরি থেকে চাঞ্চল্যকর তথ্য এসেছে তদন্তকারী সংস্থার হাতে ৷ এমনটাই দাবি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের ৷

সংশ্লিষ্ট মেরুন ডাইরিতে রয়েছে কোটি কোটি টাকার হিসাব। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, ডাইরিতে লেখা আছে যে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের প্রাক্তন আপ্তসহায়ক অভিজিৎ দাস কার থেকে কত দিন অন্তর কত টাকা করে তুলতেন। পাশাপাশি ডাইরির উপর বড় করে লেখা আছে 'বালু দা'। সংশ্লিষ্ট ডাইরিতে লেখা আছে ব্যবসায়ী হিতেশ চন্দকের কাছ থেকে টাকা তোলা হয়েছে সেই কতাও। ইডি সূত্রে খবর, ডাইরিতে লেখা আছে ওই টাকা তোলা হয়েছে সমাজ সেবার জন্য।

ইডি'র দাবি এই তথ্য পেয়ে হিতেস চন্দককে তারা তলব করে একপ্রস্থ জিজ্ঞাসাবাদও করেছে ৷ সূত্রের খবর, ইডিকে হিতেস জানিয়েছেন, জ্যোতিপ্রিয়র কথায় তিনি তাঁর প্রাক্তন আপ্তসহায়ক অভিজিৎ দাসকে টাকা দিয়েছিলেন। সেই টাকা নাকি সমাজ সেবার জন্য নেওয়া হয়েছিল। ইডি সূত্রের খবর, এই সকল তথ্য তারা আদালতে পেশ করবেন।

রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে কলিন স্ট্রিটে ত্রিনয়নী ফোর এক্স প্রাইভেট লিমিটেডের অফিসেও হানা দিয়েছে ইডি। এই কোম্পানির সঙ্গে যোগ রয়েছে শঙ্কর আঢ্যর বলে অভিযোগ এজেন্সির। আধিকারিকদের দাবি, এই কোম্পানির মাধ্যমেও নগদে টাকা জমা পড়েছে ভারতীয় মুদ্রায়। এছাড়াও এই ত্রিনয়নীর অফিসটি শঙ্কর আঢ্যর ভাতৃবধূ তানিয়া আঢ্য ও বাপ্পা রায়ের। কিন্তু বাপ্পা রায়ের সঙ্গে শঙ্করের সম্পর্ক কী, সেটা এখনও জানা যায়নি বলেই খবর।

শঙ্করের 90টির বেশি ফরেক্স সংস্থা (বিদেশি মুদ্রা কেনাবেচার হয় এমন এক সংস্থা) রয়েছে বলে আদালতে দাবি ইডি'র। তবে সেই সংস্থাগুলির সবক’টি শঙ্করের নামে নেই বলে দাবি ইডি'র। কিন্তু কার কার নামে আছে ? সিজিও কমপ্লেক্সে সূত্রের খবর, রয়েছে তাঁর আত্মীয়, পরিজন এবং একাধিক পরিচিতদের নামে। এই সংস্থার মাধ্যমে অন্তত 20 হাজার কোটি টাকা শঙ্কর বিদেশে লেনদেন করেছেন বলে দাবি ইডি'র।

অভিযোগ, টাকা আগে বিদেশি মুদ্রায় পরিবর্তন করে তার পর তা দুবাইয়ে পাঠানো হয়েছে। কখনও টাকা সরাসরি দুবাই পৌঁছেছে, কখনও গিয়েছে বাংলাদেশ হয়ে।

আরও পড়ুন

আড়াল থেকে হাইকোর্টের দ্বারে শেখ শাহজাহান, সন্দেশখালির মামলায় যুক্ত হওয়ার আবেদন

রেশন দুর্নীতি মামলায় বিদেশি মুদ্রার লেনদেন ! শহরের 10 জায়গায় ইডির তল্লাশি

লোকসভায় একাই লড়বে বিএসপি, ভোটের পর জোটের কথা ভাবব: মায়াবতী

কলকাতা, 15 জানুয়ারি: রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী বর্তমানে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর হাতে গ্রেফতার হওয়া জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের প্রাক্তন আপ্তসহায়ক অভিজিৎ দাসের ঘর থেকে উদ্ধার হওয়া একটি মেরুন রঙের ডায়েরি থেকে চাঞ্চল্যকর তথ্য এসেছে তদন্তকারী সংস্থার হাতে ৷ এমনটাই দাবি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের ৷

সংশ্লিষ্ট মেরুন ডাইরিতে রয়েছে কোটি কোটি টাকার হিসাব। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, ডাইরিতে লেখা আছে যে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের প্রাক্তন আপ্তসহায়ক অভিজিৎ দাস কার থেকে কত দিন অন্তর কত টাকা করে তুলতেন। পাশাপাশি ডাইরির উপর বড় করে লেখা আছে 'বালু দা'। সংশ্লিষ্ট ডাইরিতে লেখা আছে ব্যবসায়ী হিতেশ চন্দকের কাছ থেকে টাকা তোলা হয়েছে সেই কতাও। ইডি সূত্রে খবর, ডাইরিতে লেখা আছে ওই টাকা তোলা হয়েছে সমাজ সেবার জন্য।

ইডি'র দাবি এই তথ্য পেয়ে হিতেস চন্দককে তারা তলব করে একপ্রস্থ জিজ্ঞাসাবাদও করেছে ৷ সূত্রের খবর, ইডিকে হিতেস জানিয়েছেন, জ্যোতিপ্রিয়র কথায় তিনি তাঁর প্রাক্তন আপ্তসহায়ক অভিজিৎ দাসকে টাকা দিয়েছিলেন। সেই টাকা নাকি সমাজ সেবার জন্য নেওয়া হয়েছিল। ইডি সূত্রের খবর, এই সকল তথ্য তারা আদালতে পেশ করবেন।

রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে কলিন স্ট্রিটে ত্রিনয়নী ফোর এক্স প্রাইভেট লিমিটেডের অফিসেও হানা দিয়েছে ইডি। এই কোম্পানির সঙ্গে যোগ রয়েছে শঙ্কর আঢ্যর বলে অভিযোগ এজেন্সির। আধিকারিকদের দাবি, এই কোম্পানির মাধ্যমেও নগদে টাকা জমা পড়েছে ভারতীয় মুদ্রায়। এছাড়াও এই ত্রিনয়নীর অফিসটি শঙ্কর আঢ্যর ভাতৃবধূ তানিয়া আঢ্য ও বাপ্পা রায়ের। কিন্তু বাপ্পা রায়ের সঙ্গে শঙ্করের সম্পর্ক কী, সেটা এখনও জানা যায়নি বলেই খবর।

শঙ্করের 90টির বেশি ফরেক্স সংস্থা (বিদেশি মুদ্রা কেনাবেচার হয় এমন এক সংস্থা) রয়েছে বলে আদালতে দাবি ইডি'র। তবে সেই সংস্থাগুলির সবক’টি শঙ্করের নামে নেই বলে দাবি ইডি'র। কিন্তু কার কার নামে আছে ? সিজিও কমপ্লেক্সে সূত্রের খবর, রয়েছে তাঁর আত্মীয়, পরিজন এবং একাধিক পরিচিতদের নামে। এই সংস্থার মাধ্যমে অন্তত 20 হাজার কোটি টাকা শঙ্কর বিদেশে লেনদেন করেছেন বলে দাবি ইডি'র।

অভিযোগ, টাকা আগে বিদেশি মুদ্রায় পরিবর্তন করে তার পর তা দুবাইয়ে পাঠানো হয়েছে। কখনও টাকা সরাসরি দুবাই পৌঁছেছে, কখনও গিয়েছে বাংলাদেশ হয়ে।

আরও পড়ুন

আড়াল থেকে হাইকোর্টের দ্বারে শেখ শাহজাহান, সন্দেশখালির মামলায় যুক্ত হওয়ার আবেদন

রেশন দুর্নীতি মামলায় বিদেশি মুদ্রার লেনদেন ! শহরের 10 জায়গায় ইডির তল্লাশি

লোকসভায় একাই লড়বে বিএসপি, ভোটের পর জোটের কথা ভাবব: মায়াবতী

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.