কলকাতা, 27 মার্চ : বীরভূমের রামপুরহাটের বাগটুই গণহত্যা কাণ্ডের (Rampurhat Bagtui Massacre) ঘটনায় তৎকালীন রামপুরহাটের এসডিপিও সায়ন আহমেদ, বর্তমান জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠি-সহ পুলিশের একাধিক উচ্চপদস্থ আধিকারিক এবার সিবিআইয়ের স্ক্যানারে আসতে চলেছেন । তদন্তে নেমে সিবিআই আধিকারিকরা (CBI started Bagtui massacre probe) মনে করছেন, একটা এত বড় খুনের ঘটনা এবং সেই খুনের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আরও বৃহৎ গণহত্যার ঘটনা ঘটার সময় পুলিশের আইন মেনে যা যা করণীয়, এক্ষেত্রে তা করতে ব্যর্থ হয়েছে ৷ নিজেদের দায়ও এড়িয়ে গিয়েছেন পুলিশ আধিকারিকরা ৷
সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই রামপুরহাট থানার তৎকালীন ইন্সপেক্টর ইনচার্জ ত্রিদিপ প্রামাণিক, যিনি বর্তমানে অপসারিত এবং বর্তমানে কম্পালসারি ওয়েটিংয়ে থাকা রামপুরহাটের তৎকালীন এসডিপিও সায়ন আহমেদকে আলাদা আলাদাভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান সিবিআই গোয়েন্দারা । প্রয়োজনে বীরভূম জেলার পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবং বেশ কয়েকজন ডিএসপি পদমর্যাদার অধিকারিককেও জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা ।
আরও পড়ুন : রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সিবিআইয়ের টিম
গত সোমবার রাতে রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল উপপ্রধান ভাদু শেখ খুন হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ ৷ তাঁর দেহ উদ্ধারের পর ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন না করে কীভাবে ঘটনাস্থলে ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন রামপুরহাট থানার তৎকালীন ইন্সপেক্টর ইনচার্জ ত্রিদীপ প্রামাণিক এবং রামপুরহাটের তৎকালীন এসডিপিও সায়ন আহমেদ, এই প্রশ্ন উঠছে সিবিআইয়ের তদন্তকারীদের মনে ৷ তবে কি বীরভূমের কোনও দোর্দণ্ডপ্রতাপ প্রভাবশালীর ইশারায় ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়নি, যাতে ভাদু শেখ খুনের বদলা নেওয়া যায় ৷ অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটার আগে কি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এলাকা ছেড়েছিলেন এই দুই পুলিশ অফিসার, এই প্রশ্নও ভাবাচ্ছে সিবিআইকে ৷ এক্ষেত্রে সিবিআইয়ের প্রশ্ন, ভাদু শেখের দেহ উদ্ধারের পর তাঁর খুনের আততায়ীদের ধরতে কেন ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন না করেই সমস্ত পুলিশ বাহিনীকে নিয়ে এলাকা শূন্য করে চলে গিয়েছিলেন এই দুই পুলিশ অফিসার ৷ এলাকায় পুলিশ না থাকার ফলেই অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে বলে ধারণা সিবিআই তদন্তকারীদের ৷ তদন্তে নেমে এই দিকটিও খতিয়ে দেখছে সিবিআই ৷