ETV Bharat / state

কলকাতায় বিটকয়েনে বিনিয়োগের নামে কোটি টাকার প্রতারণার, গ্রেপ্তার অভিযুক্ত - man arrested over bitcoin fraud

বিটকয়েনে বিনিয়োগ করলে ভালো রিটার্ন পাওয়া যাবে বলে প্রলোভন দেখানো হয়েছিল ৷ আর সেই ফাঁদের পা দিয়েই 1 কোটি 28 লাখ টাকার প্রতারণার শিকার হলেন এক ব্যক্তি ৷

Bit Coin
বিট কয়েন
author img

By

Published : Aug 15, 2020, 1:28 PM IST

Updated : Aug 15, 2020, 1:38 PM IST

কলকাতা, 15 অগাস্ট : বিটকয়েনে বিনিয়োগ করলে মিলবে প্রচুর রিটার্ন । এমনই বলা হয়েছিল অভিযোগকারীকে । মাসে অন্তত 5 থেকে 10 শতাংশ রিটার্ন পাওয়া যাবে বলে বলা হয়েছিল । অভিযুক্তের কথার উপর ভিত্তি করে 1 কোটি 52 লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন অভিযোগকারী সায়ন্তন ভঞ্জ । বলা হয়, মাসে সাড়ে তিন লাখ টাকা রিটার্ন পাওয়া যাবে । দুমাস দেওয়া হয় সেই টাকা । কিন্তু তারপর সব বন্ধ । ইনভেস্টমেন্ট কম্পানির অফিসে তালা ঝুলিয়ে পালায় অভিযুক্ত সুজন রক্ষিত । ঘটনা নিয়ে অভিযোগ দায়ের হয় যুগ্ম-কমিশনার (অপরাধ)-এর কাছে । সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চালাচ্ছিল কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের স্পেশাল সেল । খোঁজ চলছিল অভিযুক্তের । অবশেষে তাকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ ।

একটা সময় ছিল অন্ধকার দুনিয়ার অর্থনীতির ভিত্তি ৷ ডার্ক ওয়েবের যাবতীয় কেনাবেচা হয় ক্রিপ্টোকয়েনের মাধ্যমে । তেমনই এক কয়েন বিটকয়েন । একটা সময় রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের নির্দেশে ভারতে নিষিদ্ধ ছিল ক্রিপ্টোকয়েনের ব্যবহার । 2018 সালের এপ্রিলে ক্রিপ্টোকয়েন বা ভার্চুয়াল মুদ্রার ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে করা নিয়ম করে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া । 2019 সালে "ব্যানিং অফ ক্রিপ্টোকারেন্সি অ্যান্ড রেগুলেশন অফ অফিশিয়াল ডিজিটাল কারেন্সি বিল 2019" আনে কেন্দ্রীয় সরকার । যেখানে বলা হয়, বিটকয়েনের লেনদেন এদেশে অবৈধ । এবছর মার্চে সুপ্রিম কোর্ট রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার নিষেধাজ্ঞা বাতিল করে বিটকয়েনে ব্যবসার অনুমতি দিয়েছে । আজ ভারতীয় মুদ্রায় এক বিটকয়েনের মূল্য 8 লাখ 84 হাজার 560 টাকা । এ গল্প তার বহু আগের ।

আদতে পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ির বাসিন্দা সায়ন্তন ভঞ্জ বর্তমানে থাকেন তেঘরিয়া গোল্ডেন পার্ক কমপ্লেক্সে । তিনি নেটওয়ার্ক মার্কেটিংয়ের ব্যবসা করেন । বাঘাযতীন এবং বাগুইআটি এলাকায় রয়েছে তাঁর অফিস । সেই সূত্র ধরে 2016 সালে তাঁর সঙ্গে আলাপ হয় সুজন রক্ষিতের । আলাপ হয় বাঘাযতীন এলাকায় । সুজন সায়ন্তনের কাছে নিজের পরিচয় দেয় ফোনেক্স ইন্টারন্যাশনাল নামে এক কম্পানির কর্ণধার হিসেবে । কথায় কথায় সুজন জানায়, বিটকয়েনে লগ্নি করলে পাওয়া যাবে ভালো রিটার্ন । সেই মুহূর্তে বিনিয়োগ করতে চাইছিলেন সায়ন্তন । চাইছিলেন, ব্যবসা করে তিল তিল করে জমানো টাকা বিনিয়োগের মাধ্যমে আরও বেশি করে তুলতে । সেই সূত্রে সুজনের প্রস্তাবে আগ্রহ দেখান তিনি । তারপরই চলে আসে সুজনের ঠিক করা লোক । নাম শুভজিৎ বিশ্বাস । সে বিটকয়েনের বিষয়টি সবিস্তারে বোঝায় সায়ন্তনকে । তারপর সায়ন্তন একটু একটু করে 1 কোটি 52 লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন । ব্যাঙ্কের মাধ্যমেই হয় টাকার ট্রানজ়াকশন ।

2017 সালের জানুয়ারি থেকে 2018 সালের মার্চের মধ্যে ওই টাকা বিনিয়োগ করেন সায়ন্তন । অভিযোগপত্রে তিনি বলেন, "আমার বিশ্বাস অর্জনের জন্য 2017 সালের অগাস্ট থেকে আমার অ্যাকাউন্টে 24 লাখ 22 হাজার টাকা দেয় অভিযুক্তরা ৷" যার মধ্যে 2018 সালে দু'মাসের জন্য সাড়ে তিন লাখ করে লাভের টাকা ফিরিয়ে দেয় সুজন । তারপর থেকে সব চুপচাপ । একটা সময় সুজনের হাজরা রোডের অফিসে গিয়ে সায়ন্তন দেখেন সেটি বন্ধ । বুঝতে পারেন প্রতারিত হয়েছেন । হিসেব করে দেখেন তিনি এক কোটি 28 লাখ টাকার প্রতারণার শিকার হয়েছেন । সেই সূত্র ধরেই দায়ের করেন অভিযোগ । তদন্তে নামে পুলিশ ।

তদন্তে নেমে 2019 সালের ডিসেম্বরে একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের দুটি অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ় করেন তদন্তকারীরা । পাশাপাশি চলছিল সুজনের খোঁজ । কিন্তু সে অধরা ছিল । গতকাল তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ । আদালত 19 অগাস্ট পর্যন্ত তার পুলিশি হেপাজত মঞ্জুর করেছে । এই চক্রে জড়িত অন্যদের খোঁজ করছে পুলিশ ।

কলকাতা, 15 অগাস্ট : বিটকয়েনে বিনিয়োগ করলে মিলবে প্রচুর রিটার্ন । এমনই বলা হয়েছিল অভিযোগকারীকে । মাসে অন্তত 5 থেকে 10 শতাংশ রিটার্ন পাওয়া যাবে বলে বলা হয়েছিল । অভিযুক্তের কথার উপর ভিত্তি করে 1 কোটি 52 লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন অভিযোগকারী সায়ন্তন ভঞ্জ । বলা হয়, মাসে সাড়ে তিন লাখ টাকা রিটার্ন পাওয়া যাবে । দুমাস দেওয়া হয় সেই টাকা । কিন্তু তারপর সব বন্ধ । ইনভেস্টমেন্ট কম্পানির অফিসে তালা ঝুলিয়ে পালায় অভিযুক্ত সুজন রক্ষিত । ঘটনা নিয়ে অভিযোগ দায়ের হয় যুগ্ম-কমিশনার (অপরাধ)-এর কাছে । সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চালাচ্ছিল কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের স্পেশাল সেল । খোঁজ চলছিল অভিযুক্তের । অবশেষে তাকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ ।

একটা সময় ছিল অন্ধকার দুনিয়ার অর্থনীতির ভিত্তি ৷ ডার্ক ওয়েবের যাবতীয় কেনাবেচা হয় ক্রিপ্টোকয়েনের মাধ্যমে । তেমনই এক কয়েন বিটকয়েন । একটা সময় রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের নির্দেশে ভারতে নিষিদ্ধ ছিল ক্রিপ্টোকয়েনের ব্যবহার । 2018 সালের এপ্রিলে ক্রিপ্টোকয়েন বা ভার্চুয়াল মুদ্রার ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে করা নিয়ম করে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া । 2019 সালে "ব্যানিং অফ ক্রিপ্টোকারেন্সি অ্যান্ড রেগুলেশন অফ অফিশিয়াল ডিজিটাল কারেন্সি বিল 2019" আনে কেন্দ্রীয় সরকার । যেখানে বলা হয়, বিটকয়েনের লেনদেন এদেশে অবৈধ । এবছর মার্চে সুপ্রিম কোর্ট রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার নিষেধাজ্ঞা বাতিল করে বিটকয়েনে ব্যবসার অনুমতি দিয়েছে । আজ ভারতীয় মুদ্রায় এক বিটকয়েনের মূল্য 8 লাখ 84 হাজার 560 টাকা । এ গল্প তার বহু আগের ।

আদতে পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ির বাসিন্দা সায়ন্তন ভঞ্জ বর্তমানে থাকেন তেঘরিয়া গোল্ডেন পার্ক কমপ্লেক্সে । তিনি নেটওয়ার্ক মার্কেটিংয়ের ব্যবসা করেন । বাঘাযতীন এবং বাগুইআটি এলাকায় রয়েছে তাঁর অফিস । সেই সূত্র ধরে 2016 সালে তাঁর সঙ্গে আলাপ হয় সুজন রক্ষিতের । আলাপ হয় বাঘাযতীন এলাকায় । সুজন সায়ন্তনের কাছে নিজের পরিচয় দেয় ফোনেক্স ইন্টারন্যাশনাল নামে এক কম্পানির কর্ণধার হিসেবে । কথায় কথায় সুজন জানায়, বিটকয়েনে লগ্নি করলে পাওয়া যাবে ভালো রিটার্ন । সেই মুহূর্তে বিনিয়োগ করতে চাইছিলেন সায়ন্তন । চাইছিলেন, ব্যবসা করে তিল তিল করে জমানো টাকা বিনিয়োগের মাধ্যমে আরও বেশি করে তুলতে । সেই সূত্রে সুজনের প্রস্তাবে আগ্রহ দেখান তিনি । তারপরই চলে আসে সুজনের ঠিক করা লোক । নাম শুভজিৎ বিশ্বাস । সে বিটকয়েনের বিষয়টি সবিস্তারে বোঝায় সায়ন্তনকে । তারপর সায়ন্তন একটু একটু করে 1 কোটি 52 লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন । ব্যাঙ্কের মাধ্যমেই হয় টাকার ট্রানজ়াকশন ।

2017 সালের জানুয়ারি থেকে 2018 সালের মার্চের মধ্যে ওই টাকা বিনিয়োগ করেন সায়ন্তন । অভিযোগপত্রে তিনি বলেন, "আমার বিশ্বাস অর্জনের জন্য 2017 সালের অগাস্ট থেকে আমার অ্যাকাউন্টে 24 লাখ 22 হাজার টাকা দেয় অভিযুক্তরা ৷" যার মধ্যে 2018 সালে দু'মাসের জন্য সাড়ে তিন লাখ করে লাভের টাকা ফিরিয়ে দেয় সুজন । তারপর থেকে সব চুপচাপ । একটা সময় সুজনের হাজরা রোডের অফিসে গিয়ে সায়ন্তন দেখেন সেটি বন্ধ । বুঝতে পারেন প্রতারিত হয়েছেন । হিসেব করে দেখেন তিনি এক কোটি 28 লাখ টাকার প্রতারণার শিকার হয়েছেন । সেই সূত্র ধরেই দায়ের করেন অভিযোগ । তদন্তে নামে পুলিশ ।

তদন্তে নেমে 2019 সালের ডিসেম্বরে একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের দুটি অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ় করেন তদন্তকারীরা । পাশাপাশি চলছিল সুজনের খোঁজ । কিন্তু সে অধরা ছিল । গতকাল তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ । আদালত 19 অগাস্ট পর্যন্ত তার পুলিশি হেপাজত মঞ্জুর করেছে । এই চক্রে জড়িত অন্যদের খোঁজ করছে পুলিশ ।

Last Updated : Aug 15, 2020, 1:38 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.