কলকাতা, 1 জুন: প্রতিবাদী কুস্তিগীরদের সমর্থনে ক্রীড়াবিদদের সঙ্গে মিছিলে পা মিলিয়েছিলেন বুধবারই ৷ সেদিনই জানিয়ে দিয়েছিলেন আজও ফের পথে নামার কথা ৷ সেই কথামতোই আজ বৃহস্পতিবার গোষ্ঠ পালের মূর্তির পাদদেশে মঞ্চ করে বিক্ষোভে সামিল হলেন তিনি ৷ মঞ্চ তৈরি করে সেখানে কুস্তি প্রদর্শন করলেন স্থানীয় কুস্তিগিররা ৷ আর সেই মঞ্চে দাঁড়িয়েই এদিন কুস্তিগীরদের সমর্থনে ফের সরব হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷
কুস্তিগীরদের সমর্থনে এদিনের কর্মসূচিতে গুরুত্বপূর্ণ একটি সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন এই কর্মসূচিতে গোষ্ঠ পাল মূর্তির পাদদেশে দেখা যায় দুই কুস্তিগীরকে। যারা কুস্তিগীরদের অসম্মানের প্রতিবাদে রাজপথে নেমেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী জানতে পারেন এদের স্থায়ী কোন চাকরি নেই। তারা এই কসরতের ফাঁকেই 100 দিনের কাজ করেন। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তে তাদের জীবন জীবিকা অনিশ্চয়তার মধ্যে। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন সিদ্ধান্ত নেন, মুখ্যমন্ত্রীর কোটা থেকে এই দুই জনকে চাকরি দেবেন। সেকথা ঘোষণাও করেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে তিনি যেদিন স্পষ্ট করে দেন কুস্তিগীরদের সমর্থনে তাঁর লড়াই চলবে।
এদিনের প্রতিবাদ আন্দোলনেও যোগ দিয়েছিলেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস-সহ বাংলার বিশিষ্ট ক্রীড়াবিদেরা । ব্রিজভূষণের গ্রেফতারির দাবিতে সোচ্চার কুস্তিগীরদের পাশে থাকার জন্য আরও একবার বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তিনি বলেন,"খেলোয়াড়দের মধ্যে জেদ থাকে, খেলোয়াড়দের কমিউনিটি অনেক বড় ৷ বিজেপি জোর করে খেলার সংস্থার মাথায় নেতাদের বসিয়ে দেয় ৷ আগে এসব ছিল না ৷ আমিও স্পোর্টস মিনিস্টার ছিলাম ৷ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা ক্রীড়া সংস্থার মাথায় বসতে পারবে না ৷ কিন্তু এখন ক্রিকেট থেকে শুরু করে দেশের সব জায়গায় বিজেপির নেতারা বসে আছে ৷ দেশের নাগরিক হিসেবে লজ্জাবোধ করছি কারণ বিশ্ব কুস্তি সংস্থা বলেছে এভাবে চললে লাইসেন্স বাতিল করে দেব ৷ জিতলে সব নেতারা চলে আসে আর খারাপ সময় পুলিশ দিয়ে মারা হয় ৷ পুলিশের দোষ নেই এখানে ৷ দেশের সবাইকে অনুরোধ আপনারাও এগিয়ে আসুন, প্রতিবাদ করুন ৷"
এদিন তিনি আরও বলেন,"স্পোর্টস লাভারদের খেলতে দেওয়া হয় না ৷ মেডেলটা দেশের সেটা বোঝা উচিত বিজেপির ৷ এটা সত্যের লড়াই ৷ জীবনের লড়াই ৷ হাল ছেড়ো না ৷ লড়াই চালিয়ে যাও ৷ কাউকে না কাউকে প্রতিবাদ তো করতেই হবে না হলে এরকম অন্যায় হতেই থাকবে ৷ কুস্তিগীররা কী পদক্ষেপ করে দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করব ৷ যা হবে ওদের সঙ্গে কথা বলেই হবে ৷ প্রতিবাদের জন্য রাস্তায় নামতেই হবে ৷"
আরও পড়ুন : দেশের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে প্রতিবাদী কুস্তিগীরদের সমর্থনে রাজপথে মমতা
এদিন গোষ্ঠ পালের মূর্তি থেকে গান্ধিমূর্তির পাদদেশ পর্যন্ত মোমবাতি নিয়ে হাঁটেন মুখ্যমন্ত্রী । এরপর বাইকে সওয়ারি হয়ে বেরিয়ে যান সেখান থেকে ।