ETV Bharat / state

প্রধানমন্ত্রীর ধমকেই বৈঠক বয়কট মমতার, বলছেন সুজন-মান্নান

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন 2019 ও জাতীয় নাগরিকপঞ্জির বিরুদ্ধে চলতি মাসের 13 তারিখ দিল্লিতে আয়োজন করা হয়েছে একটি বৈঠকের ৷ বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা BJP-বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির ৷ কিন্তু, এই বৈঠকে থাকবেন না বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ বলেন, "রাজ্য কংগ্রেস ও CPI(M)-র জন্য দিল্লি সফর বাতিল করলাম ৷" তবে, প্রধানমন্ত্রীর ধমকেই মমতা বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন না বলে মনে করছেন বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান ৷

প্রধানমন্ত্রীর ধমকেই বৈঠক বাতিল মমতার
প্রধানমন্ত্রীর ধমকেই বৈঠক বাতিল মমতার
author img

By

Published : Jan 9, 2020, 5:54 PM IST

Updated : Jan 9, 2020, 6:48 PM IST

কলকাতা, 9 জানুয়ারি : এই মাসেই BJP বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির বৈঠক হওয়ার কথা ৷ দিল্লির এই বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও ৷ কিন্তু, বিরোধীদের বক্তব্যে আজ বিধানসভায় মেজাজ হারিয়ে ফেলেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন 2019-এর বাতিলের বিষয়টি নিয়ে বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী নিজের মতামত রাখতে যান ৷ আর তাতেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন মমতা ৷ সঙ্গে জানিয়ে দেন, 13 তারিখের BJP-বিরোধী বৈঠকে তিনি থাকবেন না ৷ প্রধানমন্ত্রীর ধমক খেয়ে মমতা CAA বিরোধী বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন না মনে করছেন বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান ৷ একই মত বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তীর ৷

সুজন চক্রবর্তীর উপর বিরক্তি প্রকাশের পর মেজাজ হারিয়ে ফেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ বলেন, "আপনাদের জন্যই 13 তারিখ দিল্লির বৈঠক বয়কট করছি ৷ CPI(M)-র সঙ্গে আমি নেই ৷ রাজ্য কংগ্রেস ও CPI(M)-র জন্য দিল্লি সফর বাতিল করলাম ৷" মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পর BJP-র সঙ্গে তৃণমূলের ঘনিষ্ঠতার প্রসঙ্গটি তুলে ধরে বিরোধী বাম-কংগ্রেস ৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভায় অপ্রাসঙ্গিক বক্তব্য রেখেছেন বলে অভিযোগ করেন আবদুল মান্নান ৷ বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী নির্দিষ্ট বক্তব্যর বাইরে গিয়ে অপ্রাসঙ্গিক বক্তব্য রেখেছেন ৷ বিরোধীদের ধমক দিয়েছেন ৷ BJP-কে সন্তুষ্ট করতে চাইছেন ৷ অতীতের কার্যকলাপে BJP-র সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ BJP-র এজেন্ডা পূরণ করতে চাইছেন তিনি ৷ এই সুযোগে প্রধানমন্ত্রীকে সন্তুষ্ট করতে দিল্লি না যাওয়ার অজুহাত খুঁজছেন ৷"

ধানমন্ত্রীর ধমক খেয়ে মমতা CAA বিরোধী বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন না মনে করছেন বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান

রাজ্যে অন্য সরকার থাকলেও BJP-র কাছে পশ্চিমবঙ্গ হৃদয় রাজ্য বলে কটাক্ষ করেন আবদুল মান্নান ৷ বলেন, "ক'দিন পরে যদি প্রধানমন্ত্রী একটা থাপ্পড় দিয়ে দেন ৷ ধমকানি দিয়ে দেন ৷ যদি বলেন, বিধানসভায় আমার বিরুদ্ধে আলোচনা হচ্ছে ! অসমে তাদের সরকার আছে, তারপরও অসমবাসীরা প্রধানমন্ত্রীকে কালো পতাকা দেখানোর হুমকি দিয়েছে ৷ বাধ্য হয়ে সব সভা বয়কট করেছে ৷ প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সেখানে যেতে পারছেন না ৷ আর আমাদের রাজ্য তো তাঁদের হৃদয় রাজ্য ৷ এখানে অন্য সরকার থাকার পরও তাঁরা আসতে পারছেন ৷ মুখ্যমন্ত্রী এগুলোকে স্বাগত জানাবেন ৷ মুখ্যমন্ত্রী আমাদের ধমক দিলেন ৷ 13 তারিখ যাবেন না বললেন ৷ অজুহাত খুঁজছিলেন বৈঠকে না যাওয়ার ৷"

BJP-বিরোধী হিসেবে বিশ্বাসযোগ্য হলে 13 তারিখের বৈঠক কেন বয়কট করবেন মমতা ? প্রশ্ন করেন সুজন চক্রবর্তী ৷ সঙ্গে বলেন, "বিধানসভায় আজ মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, দিল্লিতে BJP-বিরোধী দলগুলোর বৈঠক বয়কট করছেন ৷ কেউ সত্যিই BJP-বিরোধী হলে, এই বৈঠক বয়কট করতে পারেন না ৷ কেন কাল বনধ সফল হয়েছে, সেই দুঃখে দিল্লি যাবেন না ৷ এটা ছেলেমানুষি না সেয়ানাগিরি ? তৃণমূল ছাড়া সব BJP-বিরোধী দলগুলো বনধ সমর্থন করেছে ৷ তিনি বাহানা খুঁজছিলেন সভা বয়কট করার ৷"

কলকাতা, 9 জানুয়ারি : এই মাসেই BJP বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির বৈঠক হওয়ার কথা ৷ দিল্লির এই বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও ৷ কিন্তু, বিরোধীদের বক্তব্যে আজ বিধানসভায় মেজাজ হারিয়ে ফেলেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন 2019-এর বাতিলের বিষয়টি নিয়ে বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী নিজের মতামত রাখতে যান ৷ আর তাতেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন মমতা ৷ সঙ্গে জানিয়ে দেন, 13 তারিখের BJP-বিরোধী বৈঠকে তিনি থাকবেন না ৷ প্রধানমন্ত্রীর ধমক খেয়ে মমতা CAA বিরোধী বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন না মনে করছেন বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান ৷ একই মত বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তীর ৷

সুজন চক্রবর্তীর উপর বিরক্তি প্রকাশের পর মেজাজ হারিয়ে ফেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ বলেন, "আপনাদের জন্যই 13 তারিখ দিল্লির বৈঠক বয়কট করছি ৷ CPI(M)-র সঙ্গে আমি নেই ৷ রাজ্য কংগ্রেস ও CPI(M)-র জন্য দিল্লি সফর বাতিল করলাম ৷" মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পর BJP-র সঙ্গে তৃণমূলের ঘনিষ্ঠতার প্রসঙ্গটি তুলে ধরে বিরোধী বাম-কংগ্রেস ৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভায় অপ্রাসঙ্গিক বক্তব্য রেখেছেন বলে অভিযোগ করেন আবদুল মান্নান ৷ বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী নির্দিষ্ট বক্তব্যর বাইরে গিয়ে অপ্রাসঙ্গিক বক্তব্য রেখেছেন ৷ বিরোধীদের ধমক দিয়েছেন ৷ BJP-কে সন্তুষ্ট করতে চাইছেন ৷ অতীতের কার্যকলাপে BJP-র সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ BJP-র এজেন্ডা পূরণ করতে চাইছেন তিনি ৷ এই সুযোগে প্রধানমন্ত্রীকে সন্তুষ্ট করতে দিল্লি না যাওয়ার অজুহাত খুঁজছেন ৷"

ধানমন্ত্রীর ধমক খেয়ে মমতা CAA বিরোধী বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন না মনে করছেন বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান

রাজ্যে অন্য সরকার থাকলেও BJP-র কাছে পশ্চিমবঙ্গ হৃদয় রাজ্য বলে কটাক্ষ করেন আবদুল মান্নান ৷ বলেন, "ক'দিন পরে যদি প্রধানমন্ত্রী একটা থাপ্পড় দিয়ে দেন ৷ ধমকানি দিয়ে দেন ৷ যদি বলেন, বিধানসভায় আমার বিরুদ্ধে আলোচনা হচ্ছে ! অসমে তাদের সরকার আছে, তারপরও অসমবাসীরা প্রধানমন্ত্রীকে কালো পতাকা দেখানোর হুমকি দিয়েছে ৷ বাধ্য হয়ে সব সভা বয়কট করেছে ৷ প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সেখানে যেতে পারছেন না ৷ আর আমাদের রাজ্য তো তাঁদের হৃদয় রাজ্য ৷ এখানে অন্য সরকার থাকার পরও তাঁরা আসতে পারছেন ৷ মুখ্যমন্ত্রী এগুলোকে স্বাগত জানাবেন ৷ মুখ্যমন্ত্রী আমাদের ধমক দিলেন ৷ 13 তারিখ যাবেন না বললেন ৷ অজুহাত খুঁজছিলেন বৈঠকে না যাওয়ার ৷"

BJP-বিরোধী হিসেবে বিশ্বাসযোগ্য হলে 13 তারিখের বৈঠক কেন বয়কট করবেন মমতা ? প্রশ্ন করেন সুজন চক্রবর্তী ৷ সঙ্গে বলেন, "বিধানসভায় আজ মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, দিল্লিতে BJP-বিরোধী দলগুলোর বৈঠক বয়কট করছেন ৷ কেউ সত্যিই BJP-বিরোধী হলে, এই বৈঠক বয়কট করতে পারেন না ৷ কেন কাল বনধ সফল হয়েছে, সেই দুঃখে দিল্লি যাবেন না ৷ এটা ছেলেমানুষি না সেয়ানাগিরি ? তৃণমূল ছাড়া সব BJP-বিরোধী দলগুলো বনধ সমর্থন করেছে ৷ তিনি বাহানা খুঁজছিলেন সভা বয়কট করার ৷"

Intro: চলতি মাসে দিল্লিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠক হওয়ার কথা ছিল বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে। কিন্তু আজ বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মেজাজ হারিয়ে ফেললেন বিরোধীদের বক্তব্যে। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বাতিলের বিষয়টি নিয়ে বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী বলতে চাইলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি অধিবেশন কক্ষে দাঁড়িয়ে সুজন চক্রবর্তীকে প্রশ্ন করেন," কে আপনি?" একাধিকবার এই প্রশ্ন করা হয় সুজন চক্রবর্তীকে।


Body:মেজাজ হারিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলে ওঠেন "আপনাদের জন্যই 13 তারিখ দিল্লির বৈঠক বয়কট করছি। সিপিএমের সঙ্গে আমি নেই। রাজ্যে কংগ্রেস এবং সিপিএম এর জন্য দিল্লি সফর বাতিল করলাম।"
মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পর আরও একবার বিজেপির সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের ঘনিষ্ঠতার প্রসঙ্গটি সামনে নিয়ে আসে বিরোধী বাম এবং কংগ্রেস। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান আজ বলেন, মুখ্যমন্ত্রী নির্দিষ্ট বক্তব্যের বাইরে গিয়ে অপ্রাসঙ্গিক বক্তব্য রেখেছেন বিধানসভার মধ্যে। বিরোধীদের ধমক দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিজেপি কে সন্তুষ্ট করতে চাইছেন। অতীতের কার্যকলাপে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির এজেন্ডা পূরণ করতে চাইছেন তিনি। এই সুযোগে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে সন্তুষ্ট করতে দিল্লি না যাওয়ার অজুহাত খুঁজলেন। বললেন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান।
বাম পরিষদীয় দলের নেতা সুজন চক্রবর্তী স্পষ্ট জানালেন, বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী দিল্লিতে বিজেপি বিরোধী বৈঠক বয়কট করে স্পষ্ট করলেন তিনি বিজেপির সঙ্গেই আছেন। কেন তিনি বৈঠক বয়কট করবেন বিজেপি বিরোধী হিসেবে তিনি বিশ্বাসযোগ্য হলে, প্রশ্ন সুজন চক্রবর্তীর। তিনি বলেন," গতকালের ধর্মঘট সফল হয়েছে সেই দুঃখে মুখ্যমন্ত্রীর দিল্লি যাবেন না। গতকাল ধর্মঘটের পর সম্ভবত দিল্লির বসের কাছ থেকে বকা খেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বাংলায় ধর্মঘট সফল হল কেন, মানুষের ওপর রাগ করে দিল্লির বৈঠক বয়কট করলেন। এই বাহানা তিনি খুঁজছিলেন।"


Conclusion:
Last Updated : Jan 9, 2020, 6:48 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.