কলকাতা, 23 নভেম্বর: কেন্দ্রীয় বরাদ্দের বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গকে বঞ্চনা করা হচ্ছে বলে বারবার অভিযোগ করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ এবার এই ইস্যুতে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করতে চান তিনি ৷ বৃহস্পতিবার কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দলের এক সাংগঠনিক কর্মসূচি থেকে এই বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী ৷
এ দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, আগামী ডিসেম্বরের দ্বিতীয় অথবা তৃতীয় সপ্তাহে তিনি নয়াদিল্লি যাবেন ৷ যে সময় নয়াদিল্লিতে সংসদের অধিবেশন হবে, সেই সময়ই তিনি যাবেন ৷ সেখানে গিয়ে দেখা করবেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ৷ সেই সাক্ষাতের বিষয়ে তিনি সময় চাইবেন ৷
এত দিন প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে একাধিক সাক্ষাৎ হয়েছে ৷ তবে প্রতিবারই তাঁরা একান্ত বৈঠক করেছেন ৷ কিন্তু এ দিন মমতা স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে এবার তিনি একা বৈঠক করতে চান না ৷ বরং তিনি সঙ্গে নিয়ে যাবেন তৃণমূল কংগ্রেসের সমস্ত সাংসদকে ৷ আর প্রধানমন্ত্রী সময় না দিলে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ নিয়ে আবার পথে নেমে আন্দোলন হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷
উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে চলতি বছরের শুরু থেকেই একাধিকবার সরব হতে দেখা দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসকে ৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে ধরনা দিয়েছেন রেড রোডে আম্বেদকরের মূর্তির নিচে ৷ তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম দিল্লিতে গিয়ে সাংসদদের নিয়ে দেখা করার চেষ্টা করেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়নমন্ত্রীর সঙ্গে ৷ দেখা না হওয়ায় কেন্দ্রীয় প্রকল্পে বঞ্চিতদের নিয়ে ফের দিল্লি যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন ৷
সেই মতো গত 2 অক্টোবর দিল্লিতে গিয়ে ধরনা কর্মসূচি করে তৃণমূল ৷ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দেখা না পেয়ে দফতরেও ধরনা দেওয়া হয় তৃণমূলের তরফে ৷ তার পর ফিরে রাজভবনের সামনে ধরনা দেয় তৃণমূল ৷ পরে রাজভবনে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করে ৷ এই আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায় ৷
এবার এই ইস্যুতে দিল্লিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার ও আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিলেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় ৷ পাশাপাশি তিনি তৃণমূলের বিধায়কদেরও নির্দেশ দিয়েছেন আসন্ন শীতকালীন অধিবেশনের সময় বিধানসভা চত্বরে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে সরব হতে ৷ এ দিনের সভা মঞ্চ থেকে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ তুলে একাধিক মন্তব্যও করেন তিনি ৷
আরও পড়ুন: