দিল্লি, 20 জুন : লাদাখ সীমান্তে চিনা আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে ও চিনকে যোগ্য জবাব দিতে কেন্দ্র সরকারকে পূর্ণ সমর্থন করা হবে, জানালেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তিনি, প্রধানমন্ত্রীর ডাকা সর্বদল বৈঠক থেকে চিনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য সবাইকে এক হওয়ার আহ্বানও জানান ।
দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে বৈঠকে আহ্বান জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী ৷ সেই বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যোগ দেবেন কি না তা নিয়ে জল্পনা ছিল ৷ কারণ, কোরোনা নিয়ে ডাকা প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে যোগ দেননি ৷ তবে জল্পনার অবসান ঘটিয়ে তৃণমূল নেত্রী বৃহস্পতিবারই জানিয়ে দিয়েছিলেন, দেশের সুরক্ষার বিষয়ে ডাকা বৈঠকে তিনি যোগ দেবেন । সেই মতো বৈঠকে যোগ দিয়ে নিজের মতামত জানান তিনি ।
বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধায় বলেন, ‘‘এটা চিনের পূর্বপরিকল্পিত ৷ গোটা দেশ যখন অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার জন্য লড়াই করছে, তখনই সীমান্তে ভারতীয় জওয়ানদের উপর আক্রমণ করা হচ্ছে ৷ এই সময় দেশের সবাইকে এক হয়ে মাতৃভূমিকে সুরক্ষা দেওয়া জওয়ানদের পাশে দাঁড়াতে হবে ৷ এই সময় এই সর্বদল বৈঠক জওয়ানদের আত্মবিশ্বাস জোগাবে ৷ দেশের সর্বভৌমত্ব বজায় রাখতে তৃণমূল কংগ্রেস সবসময় সরকারের সঙ্গে আছে ৷’’ মমতা পরিষ্কার করে দেন, দেশের সুরক্ষার প্রশ্নে তৃণমূল কংগ্রেস রাজনীতি করবে না ৷ কেন্দ্রের সমস্ত সিদ্ধান্ত সমর্থন করবে তাঁর দল ৷
আরও পড়ুন :- কেউ সীমানায় প্রবেশ করেনি, আমাদের পোস্টও দখল হয়নি : মোদি
একইসঙ্গে তৃণমূল সুপ্রিমো পরিকাঠামো ক্ষেত্রে চিনকে বয়কট করার বার্তা দেন । বলেন, চিনা প্রযুক্তি, সামগ্রী ও পরিষেবা বন্ধ করলে সাময়িকভাবে দেশের কিছু সমস্যা হবে ঠিকই, তবে এতে চিনকে কড়া বার্তা দেওয়া যাবে ৷ কোরোনার কারণে মুখ থুবড়ে পড়া ভারতীয় অর্থনীতিও ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করতে পারে ৷ একই সঙ্গে দেশের মধ্যে আরও কর্মক্ষেত্রর সুযোগ বৃদ্ধি পাবে ৷ তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘চিন হল এক নায়কতান্ত্রিক দেশ ৷ সেখানে ভারত গণতান্ত্রিক ৷ তাই সমস্ত রাজনৈতিক প্রতিবন্ধকতা সরিয়ে ভারতকে এক হয়ে চিনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে ৷ ভারতের জয় হবে ৷ চিন হারবে ৷ ঐক্যের কথা বলো ৷ ঐক্যের কথা চিন্তা করো ৷ এক হয়ে কাজ করো ৷ আমরা সরকারের পাশেই আছি ৷ ’’
কতবার চিন আন্তর্জাতিক সীমান্ত চুক্তি লঙ্ঘন করেছে তারও তালিকা তুলে ধরেন মমতা ৷ তিনি বলেন, ‘‘চিন 1962, 1967, 1975, 2015 ও 2017 সালেও চুক্তি লঙ্ঘন করেছিল ৷ যদি চিন ভাবে তারা খুব শক্তিশালী এবং বড় ভাইয়ের মতো ব্যবহার করবে, তাহলে ভারতও কারও সামনে মাথা নত করে হাঁটু গেড়ে বসে থাকবে না ৷’’ প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সৌভাতৃত্ব বজায় রাখার পক্ষে তিনি, তবে দেশের সর্বভৌমত্ব ক্ষতি করে নয়, তা স্পষ্ট করে দেন তৃণমূল সুপ্রিমো ৷