কলকাতা, 11 মে: রাজ্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রে শূন্যপদ ক্রমেই বাড়ছে ৷ আর তার জেরেই ব্যাহত হচ্ছে পরিষেবা ৷ উৎকর্ষ বাংলার পর্য়ালোচনা বৈঠকে এবার সেইসব ক্ষেত্রে বিশেষ নজর দিতে নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ৷ পাশাপাশি নিয়োগের ক্ষেত্রে একাধিক পথও নিজেই বাতলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ যেমন পুলিশে নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রার্থীদের সাত দিনের ট্রেনিং দিতে বললেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ তেমনই চিকিৎসক নিয়োগের ক্ষেত্রে তাঁর পরামর্শ পাঁচ বছরের ডিগ্রি কোর্স নয়, বরং তিন বছরের ডিপ্লমা কোর্স করে চিকিৎসক নেওয়া হোক ৷
ইঞ্জিনিয়ারের ক্ষেত্রে ডিপ্লোমা কোর্সের ব্যবস্থা চালু থাকলেও চিকিৎসক নিয়োগের ক্ষেত্রে তেমন কোনও ব্যবস্থা নেই গোটা দেশে ৷ রাজ্যও তার বাইরে নয় ৷ কিন্তু হাসপাতালে চিকিৎসক এবং নার্সের ঘাটতি পূরণে এমনই অভিনব প্রস্তাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ পাশাপাশি জেলায় আরও 100 নার্সিং ট্রেনিং ইনস্টিটিউট খেলার বিষয়টিও খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ এদিন পাঁচ বছরের ডিগ্রি কোর্সের বদলে তিন বছরের ডিপ্লোমা কোর্সের মাধ্যমে চিকিৎসক নিয়োগ করা যায় কি না, তা খতিয়ে দেখতে স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমকে নির্দেশ দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ ডিপ্লোমার মাধ্যমে চিকিৎসক তৈরি করে তাঁদের নিয়োগ করা যায় কি না, তার জন্য প্রয়োজনে স্বাস্থ্য সচিবকে কমিটি তৈরিরও নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ৷
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "রাজ্যে প্রচুর হাসপাতাল হয়েছে, হচ্ছে ৷ কিন্তু অনেক জায়গাতেই দেখা যাচ্ছে ডাক্তার নেই, নার্স নেই ৷" এরপরই স্বাস্থ্য সচিবের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "ডাক্তারদের একটা ডিপ্লোমা কোর্স চালু করতে পার কি না দেখ, ইঞ্জিনিয়ারদের মতো ৷ তাহলে অনেক ছেলেমেয়ে সেই কোর্সে সুযোগ পাবে ৷" মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, ডাক্তারদের পাঁচ বছরের কোর্সে অনেক সময় চলে যাচ্ছে ৷ এমনকী পড়ার সময় তাঁদের জুনিয়র ডাক্তার হিসাবেও কাজ করানো হয় ৷ কিন্তু সেই তুলনায় অনেক হাসপাতাল বাড়ছে রাজ্যে ৷ সেখানে প্রয়োজন মতো চিকিৎসক দেওয়া যাচ্ছে না ৷
যদিও এই মুহূর্তে রেজ্যের বিভিন্ন জেলার প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে প্রায় 17 হাজার ছেলে-মেয়েকে ট্রেনিং দিয়ে কাজে লাগানো হয়েছে বলে জানান স্বাস্থ্য সচিব ৷ কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "কেন ডিপ্লোমা কোর্স চালু করা যাচ্ছে না? ডিপ্লোমা ট্রেনিংয়ের পর তাদের বড় বড় হাসপাতালেও তো কাজের জন্য দিয়ে দিতে পারবে ৷" পাশাপাশি এর আইনি দিক খতিয়ে দেখার কথাও বলেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ তবে আইনি দিকের সঙ্গেই মানবিক দিক থেকেও বিষয়টি চালু করার কথা বলেন তিনি ৷
আরও পড়ুন: নিয়োগের গড়িমসিতে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী, সাতদিনের ট্রেনিং দিয়ে পুলিশে নিয়োগের নির্দেশ