কলকাতা, 5 জুলাই: নবজোয়ার কর্মসূচি থেকে শুরু করে পঞ্চায়েতের প্রচার । বারবার তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায় শোনা গিয়েছে, 100 দিনের টাকার দাবি আদায়ে পঞ্চায়েতের পর দিল্লি গিয়ে আন্দোলনের কথা । তিনি এও জানিয়েছেন, প্রয়োজনে রাজ্য থেকে 10 লক্ষ মানুষকে নিয়ে গিয়ে এই আন্দোলনে বসবেন তিনি ।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বাকি 72 ঘণ্টা । প্রচারও শেষ পর্যায়ে । এই অবস্থায় তৃণমূলের অন্দরে দিল্লিতে এই কর্মসূচি নিয়ে ছক কষা শুরু হয়েছে বলে খবর । তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক নিজেই ইঙ্গিত দিয়েছেন, এটা এক দু’দিনের কর্মসূচি নয়, দাবি না আদায় হওয়া পর্যন্ত চলতে পারে এই কর্মসূচি । একা তিনি নন, দিল্লিতে দলের এই কর্মসূচিতে যোগ দিতে পারেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ।
বুধবার পশ্চিম বর্ধমান পঞ্চায়েত নির্বাচনের কর্মসূচি থেকে অভিষেক বলেছেন, ‘‘10 লক্ষ মানুষকে নিয়ে দিল্লিতে গেলে কোনও নেতার ক্ষমতা নেই আমাদের আটকায় । আপনাদের দিল্লি নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব আমার । অনেক সৌজন্যের রাজনীতি হয়েছে ৷ আর নয় । দরকার হলে আমাদের দাবি ছিনিয়ে আনব আমরা । দিল্লি পুলিশ নাকি মায়েদের লাঠি দিয়ে মারবে । আমিও দেখব পুলিশের কত ক্ষমতা । লড়াই ততদিন পর্যন্ত হবে, যতদিন পর্যন্ত টাকা আদায় না হচ্ছে । প্রয়োজনে আমাদের দলনেত্রীও উপস্থিত থাকবেন । বাংলার মানুষের প্রাপ্য টাকায় উত্তরপ্রদেশের রাম মন্দির, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত প্রচার, তার বিলাসবহুল বিমানে খরচ করতে দেব না আমরা ।’’
যদিও কবে এই কর্মসূচি হতে চলেছে সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলেননি তিনি । তবে যতদূর শোনা যাচ্ছে সংসদে বাদল অধিবেশনের শেষ পর্বে অথবা তার পরে এই কর্মসূচি হতে পারে । তৃণমূল মনে করছে, ওই নির্দিষ্ট সময়ে এই কর্মসূচি করার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ কৌশল রয়েছে রাজ্যের শাসকদলের । দিল্লিতে এই ধরনের কর্মসূচি একদিকে যেমন বিরোধী মুখ হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তুলে ধরতে সহায়ক হবে । একইভাবে কেন্দ্রের সরকার জনবিরোধী বলে সরব হওয়া যাবে ৷ তাছাড়া বাদল অধিবেশনের শেষ পর্বে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হলে অন্য বিরোধী রাজনৈতিক দলের সমর্থনও সেখানে পাওয়া যেতে পারে ।
আরও পড়ুন: কাজ না করলে সরিয়ে দেওয়া হবে, তৃণমূলের প্রার্থীদের আগাম সতর্কবার্তা অভিষেকের