একবালপুর (কলকাতা), 16 মে: বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মা ও মেয়ের মৃত্যুর ঘটনায় পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ৷ মঙ্গলবার নবান্ন থেকে সোজা সেই ঘটনাস্থল কলকাতার একবালপুরে তিনি পৌঁছে যান ৷ সঙ্গে ছিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম ৷ মৃত দু’জনের পরিবারের হাতে তুলে দেন আর্থিক সাহায্য়ের চেক ৷ দু’টি পরিবারকেই রাজ্য সরকারের তরফে আড়াই লক্ষ টাকা করে দেওয়া হল ৷
ওই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে গত রবিবার সকালে ৷ একবালপুরের বাসিন্দা ইজহার আখতার বিদ্যুস্পষ্ট হন ৷ তাঁকে বাঁচাতে ছুটে যান তাঁর শাশুড়ি মুন্তাহা বেগম ৷ তিনিও তড়িদাহত হন ৷ সেই সময় মা ও স্বামীকে এইভাবে দেখে বাঁচাতে ছুটে যান ইজহারের স্ত্রী খায়রুলন্নেসা ৷ তিনিও বিদ্যুৎস্পষ্ট হন ৷ পরে স্থানীয়রা তিনজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান ৷ এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর মা-মেয়ে মুন্তাহা ও খায়রুলন্নেসাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা ৷ মোমিনপুর হাসাপাতালে ভরতি করা হয় ইজহারকে । এখন তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন ৷
এদিন ঘটনাস্থলে গিয়ে মুন্তাহার স্বামী এবং ইজহার ও খায়রুলন্নেসার মেয়ের হাতে আড়াই লক্ষ টাকা করে পাঁচ লক্ষ টাকার দু’টি চেক তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ৷ তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ কীভাবে এই ঘটনা ঘটল, সেই খবরও নেন ৷
মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন, ‘‘ফরেনসিক তদন্ত হচ্ছে ৷ পরিবারগুলির সঙ্গে দেখা করলাম ৷ সরকারের পক্ষ থেকে দু’টো পরিবারকে আড়াই লক্ষ টাকা করে পাঁচ লক্ষ টাকা দিয়ে গেলাম ৷’’
এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, সেখানে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়ার প্রবণতা রয়েছে ৷ ফলে বিপজ্জনকভাবে এমন তার এলাকায় অনেক দেখা গিয়েছে ৷ এলাকাবাসীর এই অভিযোগ তুলে ধরা হয় মুখ্যমন্ত্রীর সামনেও ৷ তিনি জানান, এই নিয়ে প্রশাসন ও সিইএসসির মধ্যে বৈঠক হবে ৷ সেখানেই এই বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে ৷
তবে শুধু হুকিং নয়, অবৈধ বাড়ি তৈরির অভিযোগ রয়েছে ওই এলাকায় ৷ এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য পুরো বিষয়টির দায় পূর্বতন বাম সরকারের উপর চাপিয়ে দেন ৷ তাঁর অভিযোগ, ‘‘এগুলো আগের সরকারের সময় হয়ে গিয়েছে ৷ কাজেই এগুলো আমাদের ধরবেন না ৷ এগুলো 2011 সালের আগে যা যা বেআইনি কাজ সব সিপিএম করে এখন ছুপারুস্তম সেজে বসে আছে ৷ ফাইল খোলা হলে দেখা যাবে, কাজের কাজ কিছু করেনি, অকাজের কাজ করে গিয়েছে ৷’’
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়া যুবককে বাঁচাতে গিয়ে মৃত্যু স্ত্রী-শাশুড়ির, এলাকায় শোকের ছায়া