ETV Bharat / state

ব্যর্থতা ঢাকতেই দোষারোপ, মুখ্যমন্ত্রীকে পালটা বিরোধীদের

মুখ্যমন্ত্রীর আজকের সাংবাদিক বৈঠক নিয়ে সরব রাজ্য়ের বিরোধী দলগুলি । তাঁদের কটাক্ষ, বর্তমান পরিস্থিতির মোকাবিলায় ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।

ছবি
ছবি
author img

By

Published : May 12, 2020, 10:24 PM IST

কলকাতা, 12 মে : মুখ্যমন্ত্রীর সাংবাদিক বৈঠকের পর পালটা আক্রমণে সরব রাজ্যের বিরোধীরা। বর্তমান কোরোনা পরিস্থিতি, রেশন বণ্টন, কোরোনা তথ্য় ও আজকের সাংবাদিক বৈঠক নিয়ে একে একে সরব হন BJP- রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, রাজ‍্যের বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান ও বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী । তাঁদের কথায় বর্তমান পরিস্থিতির মোকাবিলায় ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । নিজের ব্যর্থতা ঢাকতেই এভাবে অন্যদের সরাচ্ছেন । কেন্দ্রকে দোষ দিচ্ছেন ।

BJP-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, "মুখ্যমন্ত্রীর কাছে কোনও ইশু নেই । রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বেহাল ছবি ঢাকতে কখনও স্বাস্থ্য সচিবকে তার পদ থেকে সরাচ্ছেন, আবার কখনও কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে বকেয়া টাকা পাওয়ার বিষয় তুলে ধরেছেন। কেন্দ্রীয় সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা বাংলার জন্য বরাদ্দ করেছে। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি করছেন, কেন্দ্রীয় সরকার পাওনা টাকা দিচ্ছে না। কেন্দ্রীয় সরকারকে দোষারোপ করে রাজ্যের দোষ ঢাকতে চান মুখ্যমন্ত্রী।"

মুখ্যমন্ত্রী রাজনীতি করছেন বলে পালটা অভিযোগ তুলেছেন BJP-র রাজ্য সভাপতি । তাঁর বক্তব্য, "প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে অন্য মুখ্যমন্ত্রীরা তাঁদের সুবিধা-অসুবিধা কথা জানিয়েছেন । কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী রাজনীতি করছেন। তৃণমূলকে তুলে ধরেছেন, কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ মানুষের সমস্যা তুলে ধরেননি।"

বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তীর কটাক্ষ, "নিজের ব্যর্থতা ঢাকতে আজ সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সদ‍্য তিনি স্বাস্থ্য সচিবকে সরিয়েছেন। আগে খাদ্য সচিবকে সরিয়েছেন । তার মানে কারও উপর ভরসা করতে পারছেন না মুখ্যমন্ত্রী। কেন সচিবদের ঘাড়ে কোপ পড়বে ? মন্ত্রীরা কী করে বেঁচে যাচ্ছেন ? সমস্ত ব্যর্থতার দায় মুখ্যমন্ত্রীর। অবিলম্বে কয়েকদিনের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর সরে দাঁড়ানো উচিত। দলের বরিষ্ঠ কোনও নেতাকে স্বাস্থ্য দপ্তরের দায়িত্ব দেওয়া উচিত।"

রেশন ব্যবস্থা ও পরিযায়ী শ্রমিকদের প্রসঙ্গে সুজন চক্রবর্তীর বক্তব্য, "গণবণ্টন ব্যবস্থা স্বচ্ছতার সঙ্গে করতে পারেননি মুখ্যমন্ত্রী। পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরাতে পারেননি তিনি। মৃতের সংখ্যা ধামাচাপা দিয়েছেন। অবিলম্বে রাজ্যকে বাঁচাতে নিজের জায়গা থেকে সরে দাঁড়ান। মুখ্যমন্ত্রী রেড জ়োনে ছাড়ের কথা বলেছেন। মানুষকে বিপথে চালিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।"

রাজ‍্যের বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান বলেন, "গত 23 মার্চের সর্বদলীয় বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমরা যে আবেদন করেছিলাম, কোনওভাবেই আমাদের আবেদনের কথা গ্রাহ্য করা হয়নি। মুখ্যমন্ত্রীকে দিনের পর দিন বলা হয়েছে গণবণ্টন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনতে। সেসব না করে মুখ্যমন্ত্রী এখন লকডাউন তোলার সুযোগ খুঁজছেন। মৃতের সংখ্যা এবং আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে তথ্য গোপন করেছেন। সেজন্য মুখ্যমন্ত্রীর শ্বেতপত্র পেশ করার দাবি করছি আমরা। মুখ্যমন্ত্রী জানান, এরাজ্যে কতজন মারা গিয়েছে। ধাপায় এপর্যন্ত কটা মৃতদেহ সৎকার করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর সাংবাদিক বৈঠক দৃষ্টি ঘোরানোর জন্য করা হয়েছে।"

কলকাতা, 12 মে : মুখ্যমন্ত্রীর সাংবাদিক বৈঠকের পর পালটা আক্রমণে সরব রাজ্যের বিরোধীরা। বর্তমান কোরোনা পরিস্থিতি, রেশন বণ্টন, কোরোনা তথ্য় ও আজকের সাংবাদিক বৈঠক নিয়ে একে একে সরব হন BJP- রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, রাজ‍্যের বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান ও বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী । তাঁদের কথায় বর্তমান পরিস্থিতির মোকাবিলায় ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । নিজের ব্যর্থতা ঢাকতেই এভাবে অন্যদের সরাচ্ছেন । কেন্দ্রকে দোষ দিচ্ছেন ।

BJP-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, "মুখ্যমন্ত্রীর কাছে কোনও ইশু নেই । রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বেহাল ছবি ঢাকতে কখনও স্বাস্থ্য সচিবকে তার পদ থেকে সরাচ্ছেন, আবার কখনও কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে বকেয়া টাকা পাওয়ার বিষয় তুলে ধরেছেন। কেন্দ্রীয় সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা বাংলার জন্য বরাদ্দ করেছে। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি করছেন, কেন্দ্রীয় সরকার পাওনা টাকা দিচ্ছে না। কেন্দ্রীয় সরকারকে দোষারোপ করে রাজ্যের দোষ ঢাকতে চান মুখ্যমন্ত্রী।"

মুখ্যমন্ত্রী রাজনীতি করছেন বলে পালটা অভিযোগ তুলেছেন BJP-র রাজ্য সভাপতি । তাঁর বক্তব্য, "প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে অন্য মুখ্যমন্ত্রীরা তাঁদের সুবিধা-অসুবিধা কথা জানিয়েছেন । কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী রাজনীতি করছেন। তৃণমূলকে তুলে ধরেছেন, কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ মানুষের সমস্যা তুলে ধরেননি।"

বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তীর কটাক্ষ, "নিজের ব্যর্থতা ঢাকতে আজ সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সদ‍্য তিনি স্বাস্থ্য সচিবকে সরিয়েছেন। আগে খাদ্য সচিবকে সরিয়েছেন । তার মানে কারও উপর ভরসা করতে পারছেন না মুখ্যমন্ত্রী। কেন সচিবদের ঘাড়ে কোপ পড়বে ? মন্ত্রীরা কী করে বেঁচে যাচ্ছেন ? সমস্ত ব্যর্থতার দায় মুখ্যমন্ত্রীর। অবিলম্বে কয়েকদিনের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর সরে দাঁড়ানো উচিত। দলের বরিষ্ঠ কোনও নেতাকে স্বাস্থ্য দপ্তরের দায়িত্ব দেওয়া উচিত।"

রেশন ব্যবস্থা ও পরিযায়ী শ্রমিকদের প্রসঙ্গে সুজন চক্রবর্তীর বক্তব্য, "গণবণ্টন ব্যবস্থা স্বচ্ছতার সঙ্গে করতে পারেননি মুখ্যমন্ত্রী। পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরাতে পারেননি তিনি। মৃতের সংখ্যা ধামাচাপা দিয়েছেন। অবিলম্বে রাজ্যকে বাঁচাতে নিজের জায়গা থেকে সরে দাঁড়ান। মুখ্যমন্ত্রী রেড জ়োনে ছাড়ের কথা বলেছেন। মানুষকে বিপথে চালিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।"

রাজ‍্যের বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান বলেন, "গত 23 মার্চের সর্বদলীয় বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমরা যে আবেদন করেছিলাম, কোনওভাবেই আমাদের আবেদনের কথা গ্রাহ্য করা হয়নি। মুখ্যমন্ত্রীকে দিনের পর দিন বলা হয়েছে গণবণ্টন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনতে। সেসব না করে মুখ্যমন্ত্রী এখন লকডাউন তোলার সুযোগ খুঁজছেন। মৃতের সংখ্যা এবং আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে তথ্য গোপন করেছেন। সেজন্য মুখ্যমন্ত্রীর শ্বেতপত্র পেশ করার দাবি করছি আমরা। মুখ্যমন্ত্রী জানান, এরাজ্যে কতজন মারা গিয়েছে। ধাপায় এপর্যন্ত কটা মৃতদেহ সৎকার করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর সাংবাদিক বৈঠক দৃষ্টি ঘোরানোর জন্য করা হয়েছে।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.