কলকাতা, 4 মে : কোরোনা সম্পর্কিত তথ্যে স্বচ্ছতা ও ধারাবাহিকতা রাখতে বলে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে শেষ দিনে চিঠি দিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলের প্রধান অপূর্ব চন্দ্র । পাশাপাশি কেন্দ্রীয় দলের সঙ্গে অসহযোগিতা করার বিষয়টিও চিঠিতে উল্লেখ করেন তিনি ।
পশ্চিমবঙ্গের কোরোনা পরিস্থিতি দেখতে আসা কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলের আজ শেষ দিন । আর এই দিনেই রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি দেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলের প্রধান অপূর্ব চন্দ্র । জানান, রাজ্যের তরফে তাঁদের প্রতি বিরোধী মনোভাব প্রকাশ করা হয়েছে । চিঠিতে তিনি লেখেন, "রাজ্যে আসার পর 23 এপ্রিল একটি ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যেমে প্রধান সচিবের(স্বাস্থ্য) সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়েছে । পাশাপাশি স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে আংশিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে । রাজ্য সরকারের আর কোনও দপ্তরের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি । সংক্ষেপে বলা যেতে পারে যে, রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় দলের প্রতি বিরোধী দৃষ্টিভঙ্গির আশ্রয় নেয় । একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলের কাজে কোনও সহযোগিতাও করেনি । অথচ অন্যান্য রাজ্যে পরিদর্শনে যাওয়া কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল সেখানকার সরকারের উচ্চ পদাধিকারী থেকে শুরু করে তৃণমূল স্তরের আধিকারিকদের সঙ্গেও বৈঠক করেছে । "
-
IMCT writes to West Bengal Chief Secretary on their final day in the state. “State needs to be transparent & consistent in reporting figures & not play down spread of virus”, writes IMCT leader Apurva Chandra pic.twitter.com/u6mtaWRZtt
— ANI (@ANI) May 4, 2020 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data="
">IMCT writes to West Bengal Chief Secretary on their final day in the state. “State needs to be transparent & consistent in reporting figures & not play down spread of virus”, writes IMCT leader Apurva Chandra pic.twitter.com/u6mtaWRZtt
— ANI (@ANI) May 4, 2020IMCT writes to West Bengal Chief Secretary on their final day in the state. “State needs to be transparent & consistent in reporting figures & not play down spread of virus”, writes IMCT leader Apurva Chandra pic.twitter.com/u6mtaWRZtt
— ANI (@ANI) May 4, 2020
কোরোনায় মৃতের সংখ্যার ক্ষেত্রে রাজ্যের স্বচ্ছতা নিয়েও চিঠিতে প্রশ্ন তোলেন অপূর্ব চন্দ্র । তিনি লেখেন, "30 এপ্রিল রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয় যে, এখন থেকে পশ্চিমবঙ্গে কোরোনায় মৃতের সংখ্যা দৈনিক পরিসংখ্যানে বলা হবে । পাশাপাশি বলা হয়, কারও মৃত্যু হলে তাঁর নমুনার দ্রুত পরীক্ষা করে চিকিৎসকদের কমিটি ডেথ সার্টিফিকেট দেবে । কোরোনা সংক্রান্ত তথ্যের বিষয়ে স্বচ্ছতার ক্ষেত্রে এটা একটা বড় পদক্ষেপ । "
কোরোনা নিয়ে রাজ্যের দিকে আঙুল তুলে চিঠিতে জানানো হয়, "30 এপ্রিল স্বীকার করা হয়েছে 72 জন কোরোনা আক্রান্ত রোগীর রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে । অথচ তাঁদের মৃত্যুর কারণ হিসেবে অন্যান্য শারীরিক অসুস্থতাকে উল্লেখ করা হয়েছে । 1 মে ও 2 মে-র মেডিকেল বুলেটিনে তো রাজ্যের মোট আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যারই উল্লেখ করা হয়নি । কোরোনায় মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যার ক্ষেত্রে রাজ্যের স্বচ্ছ ও ধারাবাহিক হওয়া উচিত । "
কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের প্রধান চিঠিতে জানান, "রাজ্যের তরফে দাবি করা হয়েছে, কনটেনমেন্ট জ়োনগুলিতে প্রতিদিন প্রত্যেকের উপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে । কিন্তু তার কোনও তথ্য বা নথি নেই । রাজ্যে থাকাকালীন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলই চার জেলায় 50 লাখের বেশি মানুষের সমীক্ষা করেছে ।"
কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল কোরোনা মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ঠিকই । কিন্তু পাশাপাশি রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের চেষ্টার প্রশংসাও করেছে তারা । আর অপূর্ব চন্দ্রর চিঠিতেও তার উল্লেখ রয়েছে । চিঠিতে তিনি লেখেন, "রাজ্যে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানোর জন্য স্বাস্থ্য দপ্তরের যে প্রয়াস তার প্রশংসা করছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল । 20 এপ্রিল পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা প্রতি দিনপিছু ছিল 400 । 2 মে-র পরিসংখ্যান অনুযায়ী তা বেড়ে হয়েছে 2 হাজার 410 ।"
চিঠিতে জানানো হয়, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল তাদের চূড়ান্ত রিপোর্ট স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে দেবে । পাশাপাশি কোরোনা মোকাবিলায় পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে যে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে সেগুলি গ্রহণ করা হবে বলে আশা কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলের ।