কলকাতা, 10 ফেব্রুয়ারি : ফের ভিক্ষুকের বেশে, থালা হাতে রাস্তায় নামলেন রাজ্যের সরকারি অনুমোদিত আন-এডেড মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষিকারা। বাজেটে আন-এডেড মাদ্রাসাগুলিকে সাহায্যপ্রাপ্ত করার ঘোষণা নিয়ে প্রকাশ করতে হবে সরকারি নির্দেশিকা। এই দাবিতে আজ পার্কসার্কাস থেকে মৌলালি রামলীলা ময়দান পর্যন্ত মিছিলে অংশগ্রহণ করেন শতাধিক মাদ্রাসা শিক্ষক-শিক্ষিকা। মিছিল শেষে দুই সদস্যের প্রতিনিধি দল নবান্নে গিয়ে ডেপুটেশনও দেন।
12 জানুয়ারি থেকে বেতন ও ছাত্র-ছাত্রীদের মিড-ডে মিল, পোষাক সহ সমস্ত সরকারি সুযোগ-সুবিধার দাবিতে ওয়েস্ট বেঙ্গল রেকগনাইজ়ড আন-এডেড মাদ্রাসা টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃত্বে সল্টলেকে সিটি সেন্টারের কাছে অবস্থান-অনশন চলছে। আজ তাঁদের অবস্থানের 30তম দিন ও অনশনের 26তম দিন। অবস্থান-অনশনের সঙ্গে মৃত্যু পরবর্তী পোশাক পরে কাফন আন্দোলনও করছেন তাঁরা৷ প্রতিদিনই অনশনকারী শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মধ্যে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। অবস্থান অবনতি হওয়ায় হাসপাতালেও ভরতি করা হয়েছে অনেককে।
কিন্তু, এতদিনেও সরাসরি এই সকল আন্দোলনকারী মাদ্রাসা শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসেনি রাজ্য সরকার। এই পরিস্থিতিতে একদিকে রাস্তার ধারের ফুটপাতে দিনরাত কাটানোর পাশাপাশি মাঝে মাঝেই কলকাতার রাজপথে এসে দাবিদাওয়া তুলে ধরছেন মাদ্রাসা শিক্ষক-শিক্ষিকারা। আজ আবারও তাঁরা পথে নামলেন। আজ দুপুরে পার্কসার্কাস থেকে মৌলালি রামলীলা ময়দান পর্যন্ত মিছিল করেন তাঁরা। তাতে অংশগ্রহণ করেন শতাধিক মাদ্রাসা শিক্ষক-শিক্ষিকা। দীর্ঘ নয় বছর বেতন না পেয়ে তাঁদের যে দুরাবস্থা হয়েছে সেকথা তুলে ধরতে 26 জানুয়ারির মতো এদিনও 'ভিক্ষুক'-এর মতো থালা হাতে কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছিলেন তাঁরা। এদিন মিছিল শেষে নবান্নে ডেপুটেশনও দেন তাঁরা।
আরও পড়ুন : অনশনের 23তম দিন, শনি-রবিতে অসুস্থ পাঁচ শিক্ষক
ওয়েস্ট বেঙ্গল রেকগনাইজ়ড আন-এডেড মাদ্রাসা টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শেখ জাভেদ মিয়াঁদাদ বলেন, "বাজেট অধিবেশনে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন আমাদের মাদ্রাসাগুলোকে এডেড করে দেবেন। যদি তাই হয় তাহলে সরকারি নির্দেশিকা তো জারি করতে হবে। সেই নির্দেশিকা যতক্ষণ না প্রকাশ হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের এই আন্দোলন চলবে। আমাদের মনে হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী মন ভোলানোর জন্য বলে দিয়েছেন। যদি তা না হয় তাহলে কোথায় নির্দেশিকা? মুখ্যমন্ত্রী একটি সভায় বলেছেন, আমি মিথ্যে বলি না। উনি মিথ্যে কথা বলেন না তা প্রমাণ করতে হলে আমাদের মাদ্রাসার জন্য যে ঘোষণা করেছেন তা ওনাকে পূরণ করতেই হবে। নির্দেশিকা বের করতেই হবে।"