কলকাতা, 13 ডিসেম্বর: কলকাতায় বাড়ি দখলের অভিযোগ কোনও নতুন ঘটনা নয় ৷ তবে, প্রাক্তন মেয়রের বাড়ি দখল হয়ে যাওয়ার কোনও ইতিহাস নেই এই শহরে ৷ সেই ঘটনাই ঘটেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়র বাড়ির ঢিল ছোড়া দূরত্বে জগুবাবুর বাজারের কাছে (Madan Mitra Close Associate Accused in Former Mayors House Takeover) ৷ ভবানীপুর থানার অন্তর্ভুক্ত 1/1এ দেবেন্দ্র ঘোষ রোডে । এই বাড়ির মালিক কলকাতা পৌরনিগমের প্রাক্তন মেয়র গোবিন্দ চন্দ্র দে ৷ কংগ্রেসের হয়ে জিতে ছিলেন তিনি ৷ 1967-1968 সাল পর্যন্ত মেয়র ছিলেন । তাঁর ছেলে সুজয় দে’র অভিযোগ, ওই বাড়ির একটি ঘর বেশ কয়েকদিন আগেই ঝন্টু দে নামে স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার মদতে দখল করে নেওয়া হয়েছে ৷ এই ঝন্টু দে তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রের ঘনিষ্ট বলে দাবি সুজয় দে’র ৷
অভিযোগ, কলকাতার ওই বাড়িতে আগে যে ভাড়াটিয়া ছিলেন তিনি মারা গিয়েছেন ৷ তারপর বেশ কিছু সময় বাড়ির ঘরগুলি তালা বন্ধ করেই রেখেছিলেন মেয়র পুত্র সুজয় দে ৷ অভিযোগ সম্প্রতি কয়েকদিন আগে মদন মিত্র ঘনিষ্ট ঝন্টু দে একটি পরিবারকে ওই ঘরে ঢুকিয়ে দেন ৷ এরপর সুজয় দে স্থানীয় ভবানীপুর থানায় লিখিত জবরদখলের অভিযোগ দায়ের করেন ৷ তবে ঝন্টু দে’র বিরুদ্ধে পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন সুজয় দে ৷
সুজয় দে বলেন, ‘‘থানায় জানিয়েছি ৷ আদালতের থেকে 144 ধারা জারির নির্দেশিকা এনেছি ৷ পুলিশ যখন যাচ্ছে তখন তালা লাগিয়ে রাখছে ৷ পরে পুলিশ চলে গেলে তালা খুলে ফেলছে ৷ ঝন্টু মদন মিত্র ঘনিষ্ট বলে পুলিশ সক্রিয় হচ্ছে না ৷ বিষয়টি ডিভিশনাল ডেপুটি কমিশনারের কাছে জানিয়েও চিঠি দিয়েছি ৷’’ এই ঘটনায় কার্যত হতবাক সুজয় বাবুর আক্ষেপ, ‘‘বাবা এক সময় দু’বারের মেয়র ছিলেন এই শহরের ৷ আর তাঁর বাড়ির ঘর দখল হয়ে যাচ্ছে, এটা বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে ৷’’
আরও পড়ুন: শিলিগুড়ি সংলগ্ন জঙ্গলের জমি জবরদখল, রাতারাতি পুনরুদ্ধার করে বৃক্ষরোপণ বন বিভাগের
গোটা ঘটনায় যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল, সেই ঝন্টু দে বলেন, ‘‘আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তলা হচ্ছে সেটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ৷ ওই বাড়িতে আমি পা পর্যন্ত রাখিনি ৷ আমি শুনেছি ওখানে যে ভাড়াটিয়া থাকতেন, তিনি নাকি আরও একজনকে বসিয়েছেন ৷ এর সঙ্গে আমার কোনও যোগ নেই ৷ আমার এলাকায় নামডাক আছে ৷ সবাই ভালোবাসেন ৷"