কলকাতা, 31 অগস্ট: গণেশ টকিজ, মালা পাড়ার থেকে এগিয়ে কলাকার স্ট্রিট বা হরিরাম গোয়েঙ্কা স্ট্রিট, বটতলা স্ট্রিট বহুতলের দেওয়াল হোক বা অলিগলি বড় রাস্তা মাথা তুললে শুধুই তার। একটু অসাবধান হলেই ধাক্কা লাগবে (Bara Bazar Street Situation)। একাধিক দোকানের সামনে সেই জটলা মাটি পর্যন্ত নেমে এসেছে। যে কোনও সময় ঘটতে পারে অঘটন ৷ এই নিয়ে উদাসীন প্রশাসন (Local Peoples Affected on Bara Bazar Street Situation) ৷
উত্তর থেকে দক্ষিণ তারের জট মুক্ত করার কাজ চলছে। পরিত্যক্ত কেবল তার কেটে ফেলে চালু তারগুলি রাস্তার দু'পার দিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ চলছে। ফলে শহরের একাধিক এলাকা তার থেকে জট মুক্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: বড়বাজার ও বিমানবন্দর থেকে বাজেয়াপ্ত দেড় কোটি টাকার সোনা
কিন্তু সেই ছবি লক্ষ্য করা যাচ্ছে না বড়বাজার (Bara Bazar) পোস্তা এলাকায়। এখানে বিভিন্ন সংস্থা তাদের কেবল তারে নিজেদের ট্যাগ লাগিয়েছে ঠিকই। তবে কোথাও কোনও পরিচ্ছন্নতা নেই। এই বাড়ি থেকে ওই বাড়ি রাশি রাশি তার। কোথাও বহুতল থেকে নীচে বিপরীত ফুটের আলোকস্তম্ভ লাগানো। আবার কোথাও মাটি থেকে মাত্র 10-12 ফুট উচ্চতায় আড়াআড়ি হয়ে একাধিক তার।
এই সমস্ত এলাকায় কাপড় থেকে, সবজি, ওষুধ, কেমিক্যাল বা প্লাস্টিকের পাইকারি বাজার ও বড় গুদাম রয়েছে। একবার কোনও অগ্নিকাণ্ড হলে দমকলের গাড়ি বা ল্যাডার ঢুকতে প্রধান বাধা হল এই সমস্ত কেবল তার। আর তার জেরে পুরনো কলকাতার গায়ে গায়ে লাগোয়া বাড়িতে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে আগুন। এই রাশি রাশি তারে আকাশ দেখা মুশকিল। লোকজনের বাড়ির সামনে এমন অবস্থা যে সকলেই সর্বদা ভয়ে থাকেন। অসন্তুষ্ট ব্যবসায়ী মহলও।
আরও পড়ুন: বিমা সংস্থার নাম করে প্ৰতারণার জাল শহরে, সতর্ক করল লালবাজার
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, "বিভিন্ন জায়গায় দেখছি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু ঘটেছে। সেসব থেকে দেখে কলকাতার নানা জায়গায় তার সরালেও বড়বাজার ব্রাত্য। এখানে তো আরও খারাপ অবস্থা। যেভাবে তারগুলি রয়েছে, যে কোনওদিন বিপদ ঘটতে পারে। এ বিষয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর মিনাদেবী পুরোহিতের অভিযোগ, কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি নিয়ে অবগত করেছি। সেভাবে কোনও কাজ হয়নি। সম্প্রতি কথাটি আমি মিটিংয়ে ফের এই প্রসঙ্গ তুলেছি। ওনারা জানিয়েছেন কাজ চলছে। কিন্তু বাস্তবে তার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না। কবে তারমুক্ত হবে এলাকা সেটাই দেখার অপেক্ষায় বড়বাজারবাসী ৷