ETV Bharat / state

ত্রিকোণ প্রেমের জেরে খুন, যাবজ্জীবন অপরাধীর

ত্রিকোণ প্রেমের জেরে খুন ৷ ফুটবল খেলার নামে ডেকে সুভাষ সরোবরে খুন করা হয় এক ব্যক্তিকে ৷ সেই মামলায় দোষী সাব্যস্তকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল আদালত ৷

ছবিটি প্রতীকী
ছবিটি প্রতীকী
author img

By

Published : Jan 15, 2020, 9:08 AM IST

কলকাতা, 15 জানুয়ারি : ত্রিকোণ প্রেমের জেরে গুলি করে খুন ৷ আড়াই বছর ধরে বিচার চলার পর দোষী সাব্যস্ত করা হল অভিজিৎ চক্রবর্তী নামের এক ব্যক্তিকে ৷ দেওয়া হল যাবজ্জীবন ৷

2017 সালে সুভাষ সরোবরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার হয় পাগলাডাঙার বাসিন্দা আশিস সর্দারের দেহ ৷ ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয় অভিজিৎকে ৷ গতকাল তাকে শিয়ালদা আদালতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হল ৷ সঙ্গে জরিমানা 50 হাজার টাকা ৷ অনাদায়ে আরও এক বছরের জন্য হাজতবাস করতে হবে অভিজিৎকে ৷

29 জুন 2017 ৷ দুপুর দু'টো নাগাদ সুভাষ সরোবরের এক নিরাপত্তারক্ষী ফোন করেন বেলেঘাটা থানায় ৷ জানান, অপরিচিত এক যুবক সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পড়ে রয়েছে সুভাষ সরোবরে ৷ দ্রুত তৎকালীন OC পীযূষ কুণ্ডুর নেতৃত্বে ঘটনাস্থানে যায় পুলিশের দল ৷ আশিসের গলায় গভীর ক্ষত চিহ্ন মেলে ৷ নীলরতন সরকার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন আশিসকে ৷ ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা যায়, আশিসকে গুলি করে খুন করা হয়েছে ৷

ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হয় সাব-ইনস্পেক্টর জি পি সিংহ রায়কে ৷ তদন্তে উঠে আসে, ত্রিকোণ প্রেমের জেরে খুন করা হয়েছে আশিসকে ৷ ফুটবল খেলার নামে আশিসকে ডেকে সুভাষ সরোবরে খুন করে অভিজিৎ ও মহম্মদ ওয়াসিম ৷ ওয়াসিমের কাছ থেকে উদ্ধার হয় খুনে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র ৷ তদন্তের কাজ শেষ করে 90 দিনের মধ্যেই পেশ করা হয় চার্জশিট ৷ তারপর শুরু হয় শুনানি ৷ তাতেই দোষী সাব্যস্ত হয় অভিজিৎ ৷ জানা যায়, ওয়াসিম খুন করেনি ৷ সে অস্ত্র সরবরাহ করেছিল ৷ অস্ত্র আইনে ওয়াসিমকে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত ৷

কলকাতা, 15 জানুয়ারি : ত্রিকোণ প্রেমের জেরে গুলি করে খুন ৷ আড়াই বছর ধরে বিচার চলার পর দোষী সাব্যস্ত করা হল অভিজিৎ চক্রবর্তী নামের এক ব্যক্তিকে ৷ দেওয়া হল যাবজ্জীবন ৷

2017 সালে সুভাষ সরোবরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার হয় পাগলাডাঙার বাসিন্দা আশিস সর্দারের দেহ ৷ ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয় অভিজিৎকে ৷ গতকাল তাকে শিয়ালদা আদালতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হল ৷ সঙ্গে জরিমানা 50 হাজার টাকা ৷ অনাদায়ে আরও এক বছরের জন্য হাজতবাস করতে হবে অভিজিৎকে ৷

29 জুন 2017 ৷ দুপুর দু'টো নাগাদ সুভাষ সরোবরের এক নিরাপত্তারক্ষী ফোন করেন বেলেঘাটা থানায় ৷ জানান, অপরিচিত এক যুবক সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পড়ে রয়েছে সুভাষ সরোবরে ৷ দ্রুত তৎকালীন OC পীযূষ কুণ্ডুর নেতৃত্বে ঘটনাস্থানে যায় পুলিশের দল ৷ আশিসের গলায় গভীর ক্ষত চিহ্ন মেলে ৷ নীলরতন সরকার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন আশিসকে ৷ ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা যায়, আশিসকে গুলি করে খুন করা হয়েছে ৷

ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হয় সাব-ইনস্পেক্টর জি পি সিংহ রায়কে ৷ তদন্তে উঠে আসে, ত্রিকোণ প্রেমের জেরে খুন করা হয়েছে আশিসকে ৷ ফুটবল খেলার নামে আশিসকে ডেকে সুভাষ সরোবরে খুন করে অভিজিৎ ও মহম্মদ ওয়াসিম ৷ ওয়াসিমের কাছ থেকে উদ্ধার হয় খুনে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র ৷ তদন্তের কাজ শেষ করে 90 দিনের মধ্যেই পেশ করা হয় চার্জশিট ৷ তারপর শুরু হয় শুনানি ৷ তাতেই দোষী সাব্যস্ত হয় অভিজিৎ ৷ জানা যায়, ওয়াসিম খুন করেনি ৷ সে অস্ত্র সরবরাহ করেছিল ৷ অস্ত্র আইনে ওয়াসিমকে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত ৷

Intro:কলকাতা, 14 জানুয়ারি: ত্রিকোণ প্রেমের জেরে গুলি করে খুন। গত 2017 সালের 29 জুন ঘটে ঘটনা। সুভাষ সরোবর গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার হয় পাগলা ঢাকার বাসিন্দা আশীষ সর্দারের দেহ। ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয় অভিজিৎ চক্রবর্তীকে। সেই ঘটনার আড়াই বছর ধরে বিচার চলার পর দোষী সাব্যস্ত করা হয় অভিজিৎকে। আজ তাকে শিয়ালদা আদালতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হলো। সঙ্গে 50 হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। যা অনাদায়ে আরও এক বছরের জন্য কারাবাস কাটাতে হবে অভিজিৎকে।


Body:29 জুন 2017। দুপুর দুটো নাগাদ সুভাষ সরোবর এক সিকিউরিটি গার্ড ফোন করেন বেলেঘাটা থানায়। জানান, অপরিচিত এক যুবক সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পড়ে রয়েছে সুভাষ সরোবরে। দ্রুত তৎকালীন ওসি পিয়ুস কুন্ডুর নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশের দল। পুলিশ বুঝতে পারে ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তারপরেই আবিষ্কার করা হয় তার গলায় গভীর ক্ষত চিহ্ন। যেখান থেকে রক্ত বের হচ্ছে। তাকে দ্রুত নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট বলে গুলি করে খুন করা হয়েছে ওই যুবককে। পরে ওই যুবকের পরিচয় জানা যায়। তার নাম আশীষ সর্দার। বয়স 30 বছর। তিনি পাগলা ডাঙা রোডের বাসিন্দা ছিলেন।


Conclusion:এই ঘটনার তদন্ত ভার দেওয়া হয় সাব-ইন্সপেক্টর জিপি সিংহ রায়কে। তদন্তে নেমে জানা যায় ত্রিকোণ প্রেমের জেরেই এই খুন। আশীষ কে ফুটবল খেলার নামে ডেকে সুভাষ সরোবর এ খুন করে অভিজিৎ এবং মহম্মদ ওয়াসিম। ওয়াসিম এর কাছ থেকে উদ্ধার হয় খুনে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র। ঘটনায় দ্রুত তদন্তের কাজ শেষ করে পুলিশ। 90 দিনের মধ্যেই পেশ করা হয় চার্জশিট। তারপর শুরু হয় ট্রায়াল'। তাতেই দোষী সাব্যস্ত হয় অভিজিৎ। জানা যায়, ওয়াসিম এই খুন করেনি। সে শুধুমাত্র অস্ত্র সরবরাহ করেছিল। তাকে অস্ত্র আইনে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.