ETV Bharat / state

রাজ্যজুড়ে বেড়ে চলেছে রক্তের সংকট, রক্তদান শিবিরের পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের

রাজ্যের ব্লাড ব্যাঙ্কগুলিতে মজুত রক্তের পরিমাণ কার্যত তলানিতে । এমনিতেই গরম পড়লে রক্তের চাহিদা বাড়ে । চলতি বছরে পরিস্থিতি জটিল হয়েছে কোরোনা সংক্রমণের জেরে । উদ্বিগ্ন রাজ্যের চিকিৎসক থেকে ব্লাড ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ । তাই রক্তদানই একমাত্র উপায়, বলছেন তাঁরা ।

image
ছবি
author img

By

Published : Apr 1, 2020, 10:29 AM IST

কলকাতা, 31 মার্চ : কোরোনার জেরে বন্ধ রক্তদান শিবির । রাজ্যজুড়ে ক্রমেই বেড়ে চলেছে রক্তের সংকট । সরকারি এবং বেসরকারি ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্তের মজুত কমছে । সমস্যায় পড়ছেন রোগীরা । বিশেষ করে থ‍্যালাসেমিয়া এবং হিমোফিলিয়া রোগীদের কপালে চিন্তার ভাঁজ । রীতিমতো বরফ পাত্র হাতে নিয়ে ব্লাড ব্যাঙ্কগুলিতে ছুটছে রোগী পরিবার । রক্তের সংকটে উদ্বিগ্ন চিকিৎসকরাও । এই পরিস্থিতিতেও রক্তদান শিবিরেরই পরামর্শ দিলেন ডাক্তার ও বিশেষজ্ঞরা ।

কলকাতার পাশাপাশি রাজ্যের ব্লাড ব্যাঙ্কগুলিতে মজুত রক্তের পরিমাণ কার্যত তলানিতে । এমনিতেই গরম পড়লে রক্তের চাহিদা বাড়ে । চলতি বছরে পরিস্থিতি জটিল হয়েছে কোরোনা সংক্রমণের জেরে । উদ্বিগ্ন রাজ্যের চিকিৎসক থেকে ব্লাড ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ । থ‍্যালাসেমিয়া রোগীদের নিয়মিত রক্তের চাহিদা থাকে । ক্যানসার, হিমোফেলিয়া-সহ নানা রোগের সঙ্গে পুড়ে যাওয়া বা বড় দুর্ঘটনায় জখমদেরও পর্যাপ্ত রক্ত লাগে । প্রসূতি ও অস্ত্রোপচারের সময় সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল এবং নার্সিংহোমগুলিকে রক্ত মজুত রাখতে হয় । কারণ রক্তের অভাবে যেকোনও মুহূর্তে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে । তাই রক্তদানই একমাত্র উপায় বলছেন বিশেষজ্ঞরা ।

চিকিৎসক কুনাল সরকারের কথায়, একসময় গোটা দেশের মধ্যে এই রাজ্য তথা কলকাতা রক্তদানে অনেকটাই এগিয়েছিল । সর্বোচ্চ মাত্রায় রক্তদান হত এরাজ্যে । কিন্তু এখন মানুষ বাড়ি থেকে বেরতে পারছে না । ইচ্ছে থাকলেও রক্তদান শিবির করা যাচ্ছে না । বেশি জমায়েত করা যাবে না । তাই পাড়ায় পাড়ায় সীমিত সংখ্যায় সমবেত হয়ে রক্ত দান করার আবেদন জানিয়েছেন তিনি । এলাকার ক্লাবগুলিকে এব্যাপারে এগিয়ে আসার পরামর্শ দিয়েছেন । ব্লাড ব্যাঙ্কের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারাই সবরকম সাহায্য করবেন । কুণাল সরকারের কথায়, থ্যালাসেমিয়া রোগীকে রক্ত দেওয়া যাবে না । অসংখ্য রোগীর রক্তের অভাবে মারা যাবে । এই দুর্যোগ কাটিয়ে ফেলতেই হবে ।

সেন্ট্রাল ব্লাড ব্যাঙ্কের সম্পাদক ডি আশিস জানিয়েছেন, কোরোনা আতঙ্কে রাজ্যের সব ব্লাড ব্যাঙ্কগুলিতে রক্তের সংকট দেখা দিয়েছে । রক্তশূন্য অবস্থায় রয়েছে ব্লাড ব্যাঙ্কগুলি । এক ফোঁটা রক্ত নেই । ব্লাড ব্যাঙ্কের দরজায়ও তা লেখা রয়েছে । যাদের রক্তের প্রয়োজন, দিশেহারার মতো বিভিন্ন ব্লাড ব্যাঙ্কে ঘুরে বেড়াচ্ছে । বরফ এবং পাত্র নিয়ে । কিভাবে প্রিয়জনের জীবন বাঁচবে সেটাই এখন চিন্তার । বহু মানুষ নিয়মিত যোগাযোগ করছে সেন্ট্রাল ব্লাড ব্যাঙ্কের সঙ্গে । হাসপাতালে বহু রোগী ভরতি রয়েছে । কারও থ্যালাসেমিয়া, কারও হিমোফেলিয়া, কারও ক্যানসার । তাদের ভবিষ্যৎ এখন কেউ জানে না । পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বাস্থ্য দপ্তর নির্দেশিকা জারি করে মাত্র 30 জন করে জমায়েত করে রক্তদান শিবিরের কথা বলেছে । তারপরও কোরোনা আতঙ্কে কেউ বাড়ি থেকে বেরিয়ে ইচ্ছে থাকলেও রক্ত দিতে পারছে না । বন্ধ হয়ে গিয়েছে রক্তদান শিবির । ডি আশিসের কথায়, অন্তত এই 30 জন জন করেই সমবেত হয়ে রক্তদান শিবির করুন । তাহলে বেঁচে যায় অনেকগুলো প্রাণ ।

ডি আশিস জানিয়েছেন, 18 থেকে 65 বছরের মানুষ ইচ্ছে করলেই রক্ত দিতে পারবে । 45 কেজির উপর ওজন হওয়া চাই । শরীরে সাড়ে 6 লিটার রক্ত থাকতে হবে । যার মধ্যে মাত্র সাড়ে 300 মিলিলিটার রক্ত দান করলেই ব্লাড ব্যাঙ্কগুলি এবং রোগীরা বাঁচবে । বছরে চারবার অর্থাৎ তিন মাস অন্তর নির্ভয়ে রক্তদান করা যেতে পারে ।

গরম বাড়ছে, রক্তের ভাণ্ডার কমছে । কোরোনা থেকে ঠিক কবে মুক্তি মিলবে বা আদৌ মিলবে কি না তা জানা নেই । এসবের মাঝে অন্যান্য অসুখের রোগীরাও সমস্যায় পড়ছে । তাদের বাঁচাতে কিছু মানুষ একজোট হয়ে রক্তদান শিবির আয়োজনের পরামর্শ দিলেন বিশেষজ্ঞরা । সব নিয়ম মেনে রক্তদান করা যেতেই পারে বলে জানাচ্ছেন ডাক্তাররাও ।

কলকাতা, 31 মার্চ : কোরোনার জেরে বন্ধ রক্তদান শিবির । রাজ্যজুড়ে ক্রমেই বেড়ে চলেছে রক্তের সংকট । সরকারি এবং বেসরকারি ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্তের মজুত কমছে । সমস্যায় পড়ছেন রোগীরা । বিশেষ করে থ‍্যালাসেমিয়া এবং হিমোফিলিয়া রোগীদের কপালে চিন্তার ভাঁজ । রীতিমতো বরফ পাত্র হাতে নিয়ে ব্লাড ব্যাঙ্কগুলিতে ছুটছে রোগী পরিবার । রক্তের সংকটে উদ্বিগ্ন চিকিৎসকরাও । এই পরিস্থিতিতেও রক্তদান শিবিরেরই পরামর্শ দিলেন ডাক্তার ও বিশেষজ্ঞরা ।

কলকাতার পাশাপাশি রাজ্যের ব্লাড ব্যাঙ্কগুলিতে মজুত রক্তের পরিমাণ কার্যত তলানিতে । এমনিতেই গরম পড়লে রক্তের চাহিদা বাড়ে । চলতি বছরে পরিস্থিতি জটিল হয়েছে কোরোনা সংক্রমণের জেরে । উদ্বিগ্ন রাজ্যের চিকিৎসক থেকে ব্লাড ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ । থ‍্যালাসেমিয়া রোগীদের নিয়মিত রক্তের চাহিদা থাকে । ক্যানসার, হিমোফেলিয়া-সহ নানা রোগের সঙ্গে পুড়ে যাওয়া বা বড় দুর্ঘটনায় জখমদেরও পর্যাপ্ত রক্ত লাগে । প্রসূতি ও অস্ত্রোপচারের সময় সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল এবং নার্সিংহোমগুলিকে রক্ত মজুত রাখতে হয় । কারণ রক্তের অভাবে যেকোনও মুহূর্তে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে । তাই রক্তদানই একমাত্র উপায় বলছেন বিশেষজ্ঞরা ।

চিকিৎসক কুনাল সরকারের কথায়, একসময় গোটা দেশের মধ্যে এই রাজ্য তথা কলকাতা রক্তদানে অনেকটাই এগিয়েছিল । সর্বোচ্চ মাত্রায় রক্তদান হত এরাজ্যে । কিন্তু এখন মানুষ বাড়ি থেকে বেরতে পারছে না । ইচ্ছে থাকলেও রক্তদান শিবির করা যাচ্ছে না । বেশি জমায়েত করা যাবে না । তাই পাড়ায় পাড়ায় সীমিত সংখ্যায় সমবেত হয়ে রক্ত দান করার আবেদন জানিয়েছেন তিনি । এলাকার ক্লাবগুলিকে এব্যাপারে এগিয়ে আসার পরামর্শ দিয়েছেন । ব্লাড ব্যাঙ্কের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারাই সবরকম সাহায্য করবেন । কুণাল সরকারের কথায়, থ্যালাসেমিয়া রোগীকে রক্ত দেওয়া যাবে না । অসংখ্য রোগীর রক্তের অভাবে মারা যাবে । এই দুর্যোগ কাটিয়ে ফেলতেই হবে ।

সেন্ট্রাল ব্লাড ব্যাঙ্কের সম্পাদক ডি আশিস জানিয়েছেন, কোরোনা আতঙ্কে রাজ্যের সব ব্লাড ব্যাঙ্কগুলিতে রক্তের সংকট দেখা দিয়েছে । রক্তশূন্য অবস্থায় রয়েছে ব্লাড ব্যাঙ্কগুলি । এক ফোঁটা রক্ত নেই । ব্লাড ব্যাঙ্কের দরজায়ও তা লেখা রয়েছে । যাদের রক্তের প্রয়োজন, দিশেহারার মতো বিভিন্ন ব্লাড ব্যাঙ্কে ঘুরে বেড়াচ্ছে । বরফ এবং পাত্র নিয়ে । কিভাবে প্রিয়জনের জীবন বাঁচবে সেটাই এখন চিন্তার । বহু মানুষ নিয়মিত যোগাযোগ করছে সেন্ট্রাল ব্লাড ব্যাঙ্কের সঙ্গে । হাসপাতালে বহু রোগী ভরতি রয়েছে । কারও থ্যালাসেমিয়া, কারও হিমোফেলিয়া, কারও ক্যানসার । তাদের ভবিষ্যৎ এখন কেউ জানে না । পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বাস্থ্য দপ্তর নির্দেশিকা জারি করে মাত্র 30 জন করে জমায়েত করে রক্তদান শিবিরের কথা বলেছে । তারপরও কোরোনা আতঙ্কে কেউ বাড়ি থেকে বেরিয়ে ইচ্ছে থাকলেও রক্ত দিতে পারছে না । বন্ধ হয়ে গিয়েছে রক্তদান শিবির । ডি আশিসের কথায়, অন্তত এই 30 জন জন করেই সমবেত হয়ে রক্তদান শিবির করুন । তাহলে বেঁচে যায় অনেকগুলো প্রাণ ।

ডি আশিস জানিয়েছেন, 18 থেকে 65 বছরের মানুষ ইচ্ছে করলেই রক্ত দিতে পারবে । 45 কেজির উপর ওজন হওয়া চাই । শরীরে সাড়ে 6 লিটার রক্ত থাকতে হবে । যার মধ্যে মাত্র সাড়ে 300 মিলিলিটার রক্ত দান করলেই ব্লাড ব্যাঙ্কগুলি এবং রোগীরা বাঁচবে । বছরে চারবার অর্থাৎ তিন মাস অন্তর নির্ভয়ে রক্তদান করা যেতে পারে ।

গরম বাড়ছে, রক্তের ভাণ্ডার কমছে । কোরোনা থেকে ঠিক কবে মুক্তি মিলবে বা আদৌ মিলবে কি না তা জানা নেই । এসবের মাঝে অন্যান্য অসুখের রোগীরাও সমস্যায় পড়ছে । তাদের বাঁচাতে কিছু মানুষ একজোট হয়ে রক্তদান শিবির আয়োজনের পরামর্শ দিলেন বিশেষজ্ঞরা । সব নিয়ম মেনে রক্তদান করা যেতেই পারে বলে জানাচ্ছেন ডাক্তাররাও ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.